করোনা বিধি-নিষেধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উত্তাল তিউনিশিয়া।

বিক্ষোভে উত্তাল তিউনিসিয়া করোনা বিধি-নিষেধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উত্তাল তিউনিশিয়া। শুক্রবার দেশটির রাজধানী তিউনিসের রাজপথে নেমে করোনা বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান শত শত মানুষ। এ সময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান নিক্ষেপ করে পুলিশ।

মধ্য তিউনিসের হাবিব বোরগুইবা এভিনিউ। যা এক সময় গণতন্ত্র আন্দোলনের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু ছিল। ২০১১ সালে এখান থেকেই শুরু হয়েছিল আরব বসন্ত। যার ঢেউ আছড়ে পড়েছিল মধ্যপ্রাচ্যের দেশে দেশে। শুক্রবার সেখানেই করোনা বিধিনিষধের বিরুদ্ধে জড়ো হন কয়েক হাজার মানুষ। এসময় বিক্ষোভকারীদের দমন কঠোর অবস্থানে ছিল পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান নিক্ষেপ করে নিরাপত্তাবাহিনী। বিক্ষোভকারীরাও পাল্টা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পুরো এলাকা। সম্প্রতি দেশটিতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় কারফিউসহ বিধিনিষেধ আরোপ করে তিউনিশিয়া সরকার। সমাবেশসহ বিভিন্ন জনসমাগমের ওপর জারি করা হয় নিষেধাজ্ঞা। এদিন করোনা বিধিনিষেধের প্রতিবাদের পাশাপাশি সংসদ অধিবেশন স্থগিত, নির্বাহী ক্ষমতা গ্রহণ এবং সংবিধান সংশোধনের তীব্র নিন্দা জানান তারা। আরও পড়ুন: ইরান নিয়ে বিশ্বকে সতর্ক করল ইসরায়েল একজন আন্দোলনকারী বলেন, তিউনিশিয়াকে রক্ষায় অভ্যুত্থানের দিন আজ। এখান থেকেই শুরু হয়েছিল গণতন্ত্রের আন্দোলন। প্রতিবাদ জানানো গণতান্ত্রিক অধিকার। ফলে স্বাধীন জনগণের এখানে জড়ো হওয়াতে কোনো বাধা থাকা উচিত নয়। আরেকজন বলেন, আজ আমাদের গণতন্ত্র মুক্তির দিন। এদিন এখানে অনেকেই শহীদ হয়েছিলেন। তিউনেশিয়াকে এই অবস্থায় দেখে আমার কান্না পাচ্ছে। দেশে মানবিকতার চরম বিপর্যয় হয়েছে। করোনা মহামারিতে দীর্ঘ দিনের লকডাউনের কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে দেশটির অর্থনীতি। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন বহু মানুষ। এতে বাড়ছে হতাশা। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বিধিনিষেধ জারি করা হলেও বিক্ষোভকারীরা বলছেন, ক্ষমতায় টিকে থাকতে করোনার দোহাই দিয়ে কারফিউ জারি করেছে সরকার।