ভারতেএয়ার ইন্ডিয়াকে আনুষ্ঠানিকভাবে টাটা গোষ্ঠীর কাছে হস্তান্তর

এয়ার ইন্ডিয়ার দায়িত্ব নিল টাটা

ভারতের জাতীয় এয়ারলাইনস এয়ার ইন্ডিয়াকে আনুষ্ঠানিকভাবে টাটা গোষ্ঠীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গত বছরের অক্টোবরের ঋণে-জর্জরিত এয়ারলাইনসটি কিনে নিয়েছিল টাটা। জাতীয় বিমান সংস্থাটি পরিচালনা করতে ভারত সরকারের প্রতিদিন ২৬ লাখ মার্কিন ডলার লোকসান গুণতে হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেন টাটা সনসের প্রধান এন. চন্দ্রশেখর। এরপরই এয়ারলাইনসটিকে টাটা গোষ্ঠীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গেল কয়েক দশকে ভারতে বেসরকারিকরণের একটি সফল চুক্তি হয়ে দেখা দিল এই হস্তান্তর।-খবর বিবিসির এদিন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা নয়াদিল্লিতে এয়ার ইন্ডিয়ার প্রধান কার্যালয়ে যান। এয়ার ইন্ডিয়া বোর্ড সদস্যরা পদত্যাগ করলে আনুষ্ঠানিকভাবে কোম্পানির দায়িত্ব টাটা গোষ্ঠীকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন টাটা গোষ্ঠী নতুন বোর্ড সদস্য নিয়োগ দেবে। তবে টাটার ব্যানারেই এয়ারলাইনসটি পরিচালিত হবে কি না, তা এখনো পরিষ্কার হওয়া সম্ভব হয়নি। আবার এ সিদ্ধান্তকে এয়ার ইন্ডিয়াকে নিজের ঘরে ফিরে যাওয়াও বলা যায়। কারণ ১৯৩২ সালে এয়ারলাইনসটির যাত্রা শুরু হয়েছিল সাবেক টাটা চেয়ারম্যান জেআরডি টাটার হাত ধরে। স পরে ১৯৫৩ সালে এয়ারলাইনসটির দায়িত্ব ভারতীয় সরকারের হাতে চলে যায়। বর্তমানে এয়ার ইন্ডিয়ার সাড়ে ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ রয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়ার সব শেয়ার বিক্রি করে দিতে অনেক আগে থেকেই উন্মুখ হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। এবার তিনি তাতে সফল হয়েছেন। এছাড়া ২০১৪ সালে তিনি ক্ষমতায় আসার পর সরকারি মালিকানাধীন সম্পত্তি থেকে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘটনা এটি। এর আগে বেশ কয়েকটি লোকসানে থাকা কোম্পানি থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহারে ব্যর্থ হয়েছে ভারত সরকার। এয়ার ইন্ডিয়ার সম্পদের মধ্যে রয়েছে, লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ স্লট, ১৩০টির মতো বিমান বহর ও কয়েক হাজার প্রশিক্ষিত পাইলট ও ক্রু। ভারতে টাটা গোষ্ঠীর আরও দুটি এয়ারলাইনস রয়েছে: সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের অংশীদারত্বে ভিস্তারা ও মালয়েশিয়ার এয়ারএসিয়াবিএইচডির অংশীদারত্বে এয়ারএশিয়া ইন্ডিয়া।