ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ: ১৩তম দিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা
ইউক্রেনে রুশ হামলা গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়। এরপর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রুশ বাহিনী। ধ্বংস করে বিভিন্ন বিমানঘাঁটি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। সোমবার (৭ মার্চ) ১৪তম দিনেও হামলা অব্যাহত রয়েছে।
যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়া ও ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বেলারুশ সীমান্তে দুই দফায় বৈঠকে বসেন। তবে দুবারই বৈঠক কোনো কাজে আসেনি। ইউক্রেন বলছে, তারা চলতি সপ্তাহে আবারও বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এই প্রতিবেদনে জেনে নেওয়া যাক ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে রোববারের (৬ মার্চ) উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা-
১. কিয়েভের কাছে ইরপিন শহর থেকে একটি মর্টারের গুলির আঘাতে কমপক্ষে তিন জন মারা গেছে। এরমধ্যে একজন মা ও দুটি শিশু রয়েছে। শহরটি ভারি বোমাবর্ষণের মধ্যে রয়েছে। বেসামরিক নাগরিকরা ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি সেতুর ওপর দিয়ে শহরটি ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। রুশ বাহিনীকে ঠেকাতে সেতুটিতে ইউক্রেনীয় বাহিনী বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল।
২. দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মারিউপোলে মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য যুদ্ধবিরতির আরেকটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এজন্য রাশিয়া-ইউক্রেন উভয়পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করছে। রেড ক্রস বলেছে, তারা লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য সম্মত হয়নি। কয়েকদিন ধরে শহরটি বিদ্যুৎ ও পানিবিহীন রয়েছে।
৩. রাশিয়ান কমান্ডারের আদেশে জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক প্ল্যান্ট দখলে নেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পারমাণবিক পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা গ্লোবাল নিউক্লিয়ার ওয়াচডগ। এটি ইউরোপের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর অ্যাটমিক এনার্জির প্রধান রাফায়েল গ্রসি বলেছেন, নিরাপত্তার জন্য পারমাণবিক প্লান্টটির কর্মীদের নিরাপদে চাপমুক্তভাবে কাজ করতে হবে।
৪. ইউক্রেন থেকে ১০ লাখের বেশি মানুষ পোল্যান্ডে প্রবেশ করেছে। প্রায় ১৫ লাখ মানুষ এখন পর্যন্ত দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।
৫. দুই ঘণ্টার ফোনালাপে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে বলেছেন, রাশিয়া ‘আলোচনা বা যুদ্ধের মাধ্যমে তার লক্ষ্য অর্জন করবে। এর আগে রোববার তিনি তুরস্কের নেতা রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানকেও একই কথা বলেছিলেন।
৬. রাশিয়ায় যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভে চার হাজার ৬০০ জনেরও বেশি লোককে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ১৩ হাজার জনেরও বেশি লোককে আটক করা হয়েছে।
৭. রাশিয়া থেকে কর্পোরেট কার্যক্রম স্থগিত করেছে নেটফ্লিক্স, পিডাব্লিউসি ও আমেরিকান এক্সপ্রেস। টিকটকও দেশটিতে ভিডিও লাইভ স্ট্রিমিং এবং নতুন কনটেন্ট দেখানো বন্ধ করেছে।
এর আগে পুরো দোনবাস অঞ্চলের স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পূর্ব ইউক্রেনের অঞ্চলটিতে গেল আট বছরের লড়াইয়ে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।
No comments: