দাবদাহে বিপর্যস্ত ভারত
গত কয়েক দিনে দাবদাহে অতীষ্ঠ ভারতবাসী। রাজধানী নয়াদিল্লিতে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। এ অবস্থায় প্রচণ্ড গরমে শুষ্ক আবহাওয়ায় আগুন লাগার শঙ্কা থেকে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। খবর এনডিটিভি।
মাথার ওপর গনগনে সূর্য, প্রখর তাপ থেকে বাঁচতে মরিয়া ভারতবাসী। প্রচণ্ড গরমে চলার পথে একটু স্বস্তির খোঁজে মানুষ তাই রাস্তার পাশ থাকা নানা রকম ঠাণ্ডা পানীয় কিনে খাচ্ছে মানুষ। কেউ কেউ আবার ডাবের পানি পান করছেন। অনেকেই আবার উপায় না পেয়ে গরম থেকে বাঁচতে নেমেছেন পানিতে।
রিকশাচালক, দিনমজুর, শ্রমিকরা ও কৃষিকরা এই অবস্থায় মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছেন। শিশু ও বয়স্কদের আবহাওয়ার প্রভাব পড়ছে সবচেয়ে বেশি।
মানুষের পাশাপাশি প্রচণ্ড গরমে অতীষ্ঠ পশুপাখিরাও। গরম থেকে বাঁচাতে ফ্যানের বাতাস দেওয়া হচ্ছে চিড়িয়াখানায় থাকা বাঘকে। দেশটিতে হঠাৎ করেই বেড়ে যাওয়া এ তাপমাত্রার জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবকেই দায়ী করছে দেশটির সাধারণ মানুষ।
দেশটির এক নাগরিক বলেন, প্রকৃতি আমাদের থেকে যেমনটা পাচ্ছে ঠিক তেমনটাই আমাদের ফেরত দিচ্ছে। এইযে আমরা গাছ কেটে ফেলে কার্বনডাই অক্সাইডের মাত্রা বাড়িয়েছি। তার বিরূপ প্রভাব হিসেবেই এখন এত গরমের মুখোমুখি হয়েছি।
আরও পড়ুন: গরমে পশ্চিমবঙ্গে হলুদ সতর্কতা
দেশটির রাজধানী নয়াদিল্লিতে তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। এ ছাড়াও গুরুগ্রামে তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৪৫ ডিগ্রিতে পৌঁছেছে। যা ১২ বছরের মধ্যে এপ্রিল মাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। সামনের কয়েক দিন তাপমাত্রা আরো বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
মার্চ মাসে ভারতের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের তাপমাত্রা ছিল গত ১২২ বছরের সর্বোচ্চ। কর্মক্ষেত্র থেকে শুরু করে স্বাভাবিক জীবনযাত্রাতেও এর প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা অনেকের।
সামাজিক মাধ্যমেও অতিরিক্ত গরম নিয়ে অভিযোগ আর হতাশা জানিয়েছেন অনেকেই। অনেকেই প্রশ্ন রেখেছেন, মার্চ-এপ্রিলেই যদি এই দুর্দশা, মে মাসে কী হবে?
আরও পড়ুন: কাশ্মীরের স্কুলে হিজাব নিষিদ্ধ, সেনাবাহিনী বলছে নিকাব
প্রচণ্ড গরমে নদ-নদী শুকিয়ে শুষ্ক পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় যে কোনো সময় দাবানল বা আগুনের শঙ্কা থেকে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
গরমের কারণে বেড়েছে বিদ্যুতের ব্যবহারও। চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন না বাড়ায় বিদ্যুৎ সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কাও করা হচ্ছে।
No comments: