দক্ষিণ কোরিয়ার বিদায়ী প্রেসিডেন্টকে যা বললেন কিম
দক্ষিণ কোরিয়ার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইনকে একটি চিঠি দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। মূলত মুনের পাঠানো চিঠির জবাবই দিয়েছেন তিনি। এতে গত দিনগুলোতে সম্পর্ক উন্নয়নে মুনের প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন উত্তরের নেতা।
কয়েকদিন পরই ক্ষমতা হস্তান্তর হতে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন রক্ষণশীল ইয়ন সুক ইয়ল। দায়িত্ব নেওয়ার আগেই পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন নতুন এ নেতা। ক্ষমতার পালাবদলের আগে সাবেক নেতা মুনের সঙ্গে উত্তরের নেতার চিঠি বিনিময় হলো।
গত বুধবারই (২০ এপ্রিল) মুনের পাঠানো একটি চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার করেন কিম। চিঠিতে মুন বলেন, অবসর নেওয়ার পরও দুই কোরিয়ার পুনরেকত্রীকরণের লক্ষ্যে কাজ করে যাবেন তিনি। দুদিন পর শুক্রবার (২২ এপ্রিল) ফিরতি চিঠি দেন কিম। তাতে মুনকে প্রশংসা করে ‘ক্ষমতার শেষ দিন পর্যন্ত কোরীয় জাতির মহান স্বার্থের অনুকূলে কাজ করা’র জন্য মুনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কিম।
আরও পড়ুন : আফগানিস্তানের মসজিদে নামাজের সময় বিস্ফোরণ, বহু হতাহতের আশংকা
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএন বলেছে, ‘দুই দেশের দুই শীর্ষ নেতার এই ব্যক্তিগত চিঠির বিনিময় পরস্পরের প্রতি তাদের গভীর আস্থা ও বিশ্বাসেরই বহিঃপ্রকাশ।’
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই চিঠির মধ্য দিয়ে মূলত প্রতিবেশী দুই দেশের দুই নেতার (কিম ও মুন) কয়েক বছরের অস্থির সময়ের শেষ হচ্ছে। ১৯৫৩ সালে শেষ হওয়া কোরীয় যুদ্ধের পর থেকে একপ্রকার দা-কুমড়া সম্পর্ক দেশ দুটির মধ্যে। ২০১৭ সালে মুন ক্ষমতায় আসার পর বহুদিনের সেই শীতল সম্পর্ক ফের উষ্ণ হতে শুরু করে।
উত্তরের সঙ্গে দক্ষিণের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে সংলাপের শুরু করেন মুন। যার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালেই কিম ও মুনের মধ্যে পরপর তিনটি শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় এবং উভয় পক্ষ একটা চুক্তিতে পৌঁছায়, যা পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে ঐতিহাসিক আলোচনার পথও প্রশস্ত করে।
আরও পড়ুন : ইমরান খানের সঙ্গে ইলহান ওমরের বৈঠক নিয়ে বিতর্ক
মুনের মধ্যস্থতাতেই ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কিম। কিন্তু এ সম্মেলন ব্যর্থ হওয়ার পর দুই কোরিয়ার মধ্যে ফের আন্তঃসীমান্ত সম্পর্কের অবনতি ঘটে। সম্প্রতি দুই দেশের সম্পর্কে আবারও উত্তেজনা ফিরে এসেছে। একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করছে পিয়ংইয়ং।
এমন পরিস্থিতিতে সিউলের ক্ষমতার পালাবদল হতে চলেছে। আগামী ১০ মে দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন রক্ষণশীল নেতা ইয়ন সুক ইয়ল। তিনি ইতোমধ্যে কিম ও মুনের সামরিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
Play
00:00
-01:48
Mute
Settings
Enter fullscreen
Tag: English News lid news world
No comments: