এলটিটিইর পুনরায় সংগঠিত হওয়ার দাবি অস্বীকার শ্রীলঙ্কার

এলটিটিইর পুনরায় সংগঠিত হওয়ার দাবি অস্বীকার শ্রীলঙ্কার লিবারেশন টাইগারস অব তামিল ইলাম (এলটিটিই)-এর সাবেক ক্যাডারদের শ্রীলঙ্কায় হামলা চালানোর জন্য পুনর্গঠিত হওয়ার খবর অস্বীকার করেছে দেশটি। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় শনিবার (১৪ মে) ভারতের সংবাদ মাধ্যম দ্য হিন্দুতে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত খবরের বিষয়ে অস্বীকার করে। খবর দ্য হিন্দুর। এর আগে দ্য হিন্দু ভারতের গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দি

য়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলেছিল, এলটিটিইর সাবেক ক্যাডাররা শ্রীলঙ্কায় হামলা চালানোর জন্য পুনরায় সংগঠিত হচ্ছে। দ্য হিন্দুতে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি শ্রীলঙ্কার সংবাদ মাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘ওই প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমরা এমন কোনো নিরাপত্তা হুমকির ব্যাপারে গোয়েন্দা সতর্কতা পাইনি।’ আরও পড়ুন: যেভাবে শ্রীলঙ্কা এই সংকটে পড়ল দেশটির রাজনৈতিক নেতারাও ভারতের নিরাপত্তা সংস্থার এমন দাবির জোরালো প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তামিল প্রগেসিভ অ্যালায়েন্স নেতা এবং কলম্বো থেকে জয়ী বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্য মানো গানেসান বলেন, এলটিটিইর পুনর্গঠন সংক্রান্ত দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনটি শ্রীলঙ্কার আজকের সামাজিক প্রেক্ষাপটে খুবই পীড়াদায়ক, যেখানে বিভিন্ন জাতির মধ্যে সম্পকের উন্নতি হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এ সংবাদ কতটুক বিশ্বাসযোগ্য? গোয়েন্দা সূত্রটি কি? এটা কি ভারতীয়/বিদেশি? ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এবং কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে অনুরোধ জানাই। কয়েক মাস ধরে নজিরবিহীন অর্থনৈতিক পতন প্রত্যক্ষ করছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ শ্রীলঙ্কা, যা দেশটির সরকারকে গভীর সংকটে ফেলেছে। সোমবার (৯ মে) সকাল থেকে শুরু হওয়া সহিংসতায় ক্ষমতাসীন সরকারের এক সংসদ সদস্যসহ অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন দুই শতাধিক। দেশটিতে কয়েক সপ্তাহ ধরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ-আন্দোলন চলছে। সরকারবিরোধীদের ক্ষোভ মূলত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঘাটতি ও খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, জ্বালানি তেলের অপ্রতুলতা ও নজিরবিহীন লোডশেডিং তথা বিদ্যুৎবিভ্রাটের কারণে।