Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » মেহেরপুর পৌর নির্বাচনে ১ নম্বর ওয়ার্ডের চালচিত্র




মেহেরপুর পৌর নির্বাচনে ১ নম্বর ওয়ার্ডের চালচিত্র

আগামী ১৫ জুন অনুষ্ঠিতব্য মেহেরপুর পৌরসভা নির্বাচন। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা ততই জমে উঠেছে। চায়ের দোকানে আড্ডার ফাঁকে চলছে প্রার্থীদের নিয়ে আলাপ-আলোচনা। পোস্টার, ব‌্যানার, ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো শহর। কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত নির্বাচনকে সামনে রেখে ব‌্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে করছেন প্রচার চালাচ্ছেন। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। মেহেরপুর শহরের প্রধান সড়ক সহ পাড়া মহল্লার ওলিতে গলিতে এখন শুধুই চোখে পড়ছে প্রার্থীদের ছবি সম্বলিত পোস্টার। নির্বাচনের প্রাক্কালে কাউন্সিলর প্রার্থীদের কার কেমন অবস্থান সেটি এখন তুলে ধরা হচ্ছে। শুরুতে থাকছে মেহেরপুর পৌরসভার-১ নম্বর ওয়ার্ডের চালচিত্র। মেহেরপুর শহরের কোটপাড়া, উপজেলা পরিষদ এলাকা, ঘোষপাড়া, মিশনপাড়া, পিয়াদা পাড়া শহীদ গফুর সড়ক, হোটেল বাজারও পুরাতন পোস্ট অফিস পাড়া, বোসপাড়া (দক্ষিণ অংশ), নতুন পাড়া কাসাঁরী পাড়া নিয়ে গঠিত মেহেরপুর পৌরসভার-১ নম্বর ওয়ার্ড। ১ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে ৫ হাজার ২৯ জন ভোটার । ৩ টি কেন্দ্রে ১ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট গ্রহণ চলবে। এর মধ্যে রয়েছে মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয়, গ্লোরিয়াস প্রি ক্যাডেট একাডেমী এবং নতুন পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ১ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটারদের মন জয় করতে মেহেরপুর পৌরসভার কাউন্সিলর পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে সদ্য সাবেক কাউন্সিলর মীর জাহাঙ্গীর আলম (পানির বোতল), সাবেক কাউন্সিলর মোয়াজ্জেম হোসেন (টেবিল ল্যাম্প) , গত নির্বাচনের দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারি গোলাম ফারুক (পাঞ্জাবি) , রাজিব(ডালিম) এবং রাসেদুজ্জামান (উটপাখি) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১ নং ওয়ার্ডে ৫ জন প্রার্থী হলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে মূলত মীর জাহাঙ্গীর হোসেন এবং গোলাম ফারুকের মধ্যে এমনটিই ধারণা করছে এলাকাবাসী। ১ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে এমটিই জানা গেছে। আবার অনেক ভোটারের মনে করেন মীর জাহাঙ্গীরের সাথে রাজিব অথবা মোয়াজ্জেম হোসেনের সঙ্গেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে। এক্ষেত্রে অনেক সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন মীর জাহাঙ্গীর হোসেন। কেননা দীর্ঘ ৫ বছর কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন কালীন সময়ে তার নির্বাচনী এলাকায় যাতায়াত ছিল এবং ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। এদিকে গোলাম ফারুক ১ নং ওয়ার্ডের উত্তর অংশে একক প্রার্থী হওয়ার পাশাপাশি দুটি নির্বাচনে তিনি পরাজিত হয়েছেন। অত্র এলাকায় কোন মানুষের মৃত্যু হলে গোলাম ফারুক সর্বাগ্রে ছুটে যান তার দাফন কাফনের ব্যবস্থা করার জন্য। এ কারণে তিনি অধিকাংশ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছেন। তিনি মনে করেন তার সঙ্গে মূলত মীর জাহাঙ্গীরের সঙ্গে লড়াই হবে। এদিকে সাবেক কাউন্সিলর মোয়াজ্জেম হোসেন ইতোপূর্বে-১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর ওই সময় সকল মানুষের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। গত ৫ বছর সাধারণ ভোটারদের সান্নিধ্যে না আসলেও তফসিল ঘোষণার পর মাঠে নেমেছেন মোয়াজ্জেম হোসেন। ১ নম্বর ওয়ার্ডের অপর প্রার্থী রাজিব তার প্রচারণার ধার বাড়িয়ে দিয়েছেন। এদিকে নির্বাচনে অন্যতম প্রার্থী রাশেদ লতিফ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর থেকে তাকে ভোটারদের দ্বারস্থ হতে দেখা যায়নি। অর্থাৎ মাঠে প্রচারের ক্ষেত্রে মীর জাহাঙ্গীর, গোলাম ফারুক এবং রাজিব এগিয়ে রয়েছেন। শেষ পর্যন্ত বিজয়ের হাসি কে হাসবে, জাহাঙ্গীর, গোলাম ফারুক নাকি রাজিব?






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply