Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » ফিলিস্তিনি গ্রামে মিলল ১২০০ বছরের পুরনো মসজিদ




ইসরাইলের এক ফিলিস্তিনি গ্রামে একটি প্রাচীন মসজিদের পুরাকীর্তির সন্ধান পাওয়া গেছে। বুধবার (২২ জুন) দেশের দক্ষিণে নেগেভ অঞ্চলের বেদুইন শহর রাহাতে খননকালে মসজিদটির ধ্বংসাবশেষ বের হয়ে আসে। ওই এলাকায় নতুন করে বসতি স্থাপনের কাজ করছে ইসরাইল। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, দ্য গার্ডিয়ান ও এএফপির প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। নেগেভের (আরবিতে নাকাব বলেও পরিচিত) ওই এলাকাটি কিছুটা মরু অঞ্চলের মতো। মসজিদটি এক হাজার দুইশ বছরেরও বেশি পুরোনো বলে ধারণা করছেন ইসরাইলি প্রত্নতাত্ত্বিকেরা। কর্মকর্তারা বলছেন, খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী অধ্যুষিত একটি অঞ্চল কীভাবে ইসলাম চর্চায় ধাবিত হয়েছে, মসজিদটি সেটাকেই সামনে এনেছে। এক বিবৃতিতে ইসরাইল পুরাকীর্তি কর্তৃপক্ষ (আইএএ) বলেছে, মসজিদের ধ্বংসাবশেষগুলো এক হাজার দুই শ বছরের বেশি পুরোনো হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বেদুইন শহর রাহাতে একটি নতুন বসতি স্থাপনের কাজ চলাকালে এর সন্ধান পাওয়া যায়। আইএএ বলছে, মসজিদটিতে একটি বর্গাকার কক্ষ রয়েছে। এর একটি দেয়াল পবিত্র মক্কার (কাবা শরিফ) দিকে মুখ করা। দেয়ালটির একটি ছোট খোপ (মিম্বারের অংশ) দক্ষিণ দিকে বের করা রয়েছে। ইসরাইল থেকে পবিত্র মক্কা শরিফ দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব দিকে অবস্থিত। ফলে সেদিকে মুখ করে মসজিদ নির্মাণ করা যৌক্তিক। আইএএ বলছে, স্থাপত্যের এ অনন্য বৈশিষ্ট্যগুলো থেকে বোঝা যায়, ভবনটি একটি মসজিদ হিসেবে ব্যবহৃত হত। সে সময় সম্ভবত একসঙ্গে কয়েক ডজন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারতেন। কর্তৃপক্ষেআরও জানিয়েছে, মসজিদের অল্প কিছু দূরেই একটি ‘অভিজাত আবাসিক ভবন’র সন্ধান পাওয়া গেছে। পাওয়া গেছে কাচের তৈজসপত্রও। এতে এর বাসিন্দারা বেশ সম্পদশালী ছিল বলে মনে হচ্ছে। মাত্র তিন বছর আগে এই এলাকার নিকটেই আরও একটি মসজিদের পুরাকীর্তির সন্ধান পাওয়া যায়। ওই মসজিদটিও সপ্তম থেকে অষ্টম শতাব্দীর একই সময়ের বলে মনে করা হচ্ছে। প্রথম দিকে ব্যাপকভাবে পরিচিত মসজিদগুলোর মতো এই দুটি মসজিদও সুপরিচিত ছিল। আইএএ বলছে, নেগেভ অঞ্চলের ঐতিহাসিক বিবর্তন প্রক্রিয়াটি কীভাবে সংঘটিত হয়েছিল এই মসজিদগুলো, আবাসন এবং আশপাশে পাওয়া অন্যান্য ঘরবাড়ি থেকে তা আচ করা যায়। সেই সঙ্গে এ অঞ্চলে নতুন একটি ধর্ম হিসেবে কিভাবে ইসলামের সূচনা হয়েছিল, কিভাবে নতুন শাসনব্যবস্থা ও সংস্কৃতি বিকশিত হয়েছিল তাও বোঝা যায়। কর্তৃপক্ষ বলছে, তৎকালীন বাইজেন্টাইন সরকারের আমলে খ্রিষ্টধর্ম থেকে ইসলামের দিকে ধাবিত হওয়ার ধারাবাহিক প্রক্রিয়া হিসেবে এসব স্থাপনাগুলো প্রতিষ্ঠিত হয়। বাইজেন্টাইন সরকার ও খ্রিষ্টধর্ম এই ভূখণ্ডে কয়েকশ বছর কর্তৃত্ব করেছিল। এরপর সপ্তম শতাব্দীর প্রথমার্ধে এই অঞ্চল বিজয় করে মুসলিমরা। আইএএ বলছে, রাহাতে পাওয়া মসজিদগুলো সেগুলোর বর্তমান অবস্থানেই সংরক্ষণ করা হবে। এটা হতে পারে ঐতিহাসিক স্থাপনা হিসেবে অথবা নামাজের জন্য চালু মসজিদ হিসেবে






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply