Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » ইসরাইল-তুরস্ক সম্পর্ক ভেঙেও ভাঙে না




ইসরাইল-তুরস্ক সম্পর্ক ভেঙেও ভাঙে না

ইসরাইল-তুরস্কের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের গতিপথ বহুবার পাল্টেছে। শুরু থেকে দুই দেশের সম্পর্কে তিক্ততা, ক্ষোভ ও অবিশ্বাস ছিল। এসবের পরও দুই দেশ সম্পর্কের এক গভীর টান অনুভব করে। এর মূলে রয়েছে কূটনীতি ও বাণিজ্য। ইসরাইল বা তুরস্ক কেউ চায় না একে অন্যকে কখনো হাতছাড়া করতে। বিভিন্ন সময়ে একে অন্যের মান-অভিমান ভাঙাতে এগিয়ে এসেছে। বৈরী, কিন্তু বৈরী নয়–এমন এক অবস্থানে দুই দেশ কূটনীতি ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপনে সবসময় তৈরি ছিল এবং আছে। মুসলিম দেশ হিসেবে ইসরাইলকে প্রথম স্বীকৃতি ফিলিস্তিনিদের ওপর ধারাবাহিক দমন-পীড়নের কারণে ইসরাইলকে মুসলিম বিশ্বের অনেক দেশ এখনো স্বীকৃতি দেয়নি। কিন্তু ইসরাইলের সঙ্গে তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক বহু পুরোনো। ১৮৪৯ সালে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিয়েছিল তুরস্ক। অথচ ফিলিস্তিন ভূখণ্ড ভাগ করে দুটি আলাদা রাষ্ট্র গঠনের বিষয়ে জাতিসংঘের প্রস্তাবের বিপক্ষে ছিল তুরস্ক। সে সময় তুরস্কের স্বীকৃতির ঘোষণায় অনেক মুসলিম দেশ চমকে গিয়েছিল। ইহুদি কোনো রাষ্ট্রকে (ইসরাইল) মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে তুরস্কই প্রথম স্বীকৃতি দেয়। স্বীকৃতির পরের বছর ১৯৫০ সালে তেল আবিবে কূটনৈতিক মিশন স্থাপন করে তুরস্ক। তখন থেকে দুই দেশের সামরিক, কূটনৈতিক, বাণিজ্যিক ও কৌশলগত সম্পর্ক দ্রুত বাড়তে থাকে। এ ছাড়া দুই দেশের অন্তরঙ্গতার কারণে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতির পটপরিবর্তন হতে থাকে। ফিলিস্তিনকেও স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি ফিলিস্তিনকেও স্বীকৃতি দেয়ার ব্যাপারে এগিয়ে ছিল তুরস্ক। আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৭৫ সালে ফিলিস্তিনের শান্তিকামী রাজনৈতিক ও সামরিক সংস্থা প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনকে (পিএলও) স্বীকৃতি দেয় দেশটি। ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক চলমান থাকার মধ্যেও ১৯৮৮ সালের ১৫ নভেম্বর ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় তুরস্ক। একদিকে ফিলিস্তিনের ওপর ইসরাইলের দমনপীড়ন, অন্যদিকে ইসরাইলের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক রক্ষা—দুটোই সামলানো কঠিন হয়ে পড়ে তুরস্কের। ইসরাইলের দখলদারিত্ব আচরণ ও দমনপীড়ন আচরণ সহ্য করে না তুরস্কও। এরপরও সম্পর্ক রক্ষায় বিভিন্ন সময় তুরস্কের একাধিক প্রেসিডেন্ট ও নীতিনির্ধারকরা ইসরাইল সফর করেছিলেন। কারণ, ইসরাইল দেশ হিসেবে ছোট হলেও এর উদ্ভাবন, শক্তি ও কৌশলে তাৎপর্য রয়েছে। একই সঙ্গে ইসরাইল যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সান্নিধ্যেও থাকতে পেরেছে। ইতিহাস যা বলে ইসরাইল যে ভূখণ্ডে রয়েছে, সেটি ৪০০ বছর (১৫১৭ থেকে ১৯১৭) অটোমান সাম্রাজ্যের অধীনই ছিল। অর্থাৎ, মুসলিমদের অধীন ছিল। এরপর প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তুরস্কের ওসমানীয় সাম্রাজ্যের পতনের পর এটি ব্রিটিশদের দখলে চলে যায়। এর নাম রাখা হয় মেন্ডেটরি প্যালেস্টাইন। ১৯১৭ সালে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্থার জেমস বালফোর ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। সপ্তম শতাব্দী থেকেই ইহুদিদের নিজস্ব ভূখণ্ড ছিল না। তারা বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেড়িয়েছিল। একপর্যায়ে তারা ইউরোপে পাড়ি জমায়। এরপর ইহুদিরা ফিলিস্তিনে এসে গেড়ে বসে। ১৯২৩ সালে স্বাধীন তুরস্কের জন্ম হলে এ অঞ্চলে ইহুদিরা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য উদগ্রীব হয়ে যান। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ইহুদিদের ইসরাইলে বসতি গড়ার আহ্বান জানানো হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে প্রায় আড়াই লাখ ইহুদি ইসরাইলে পাড়ি জমান। ১৯২১ সালে ইহুদিরা 'হাগানাহ' নামের এক বাহিনী তৈরি করে। এই বাহিনী মুসলিমদের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদিদের সহায়তা করতে থাকে। আধা সামারিক এই বাহিনী জোরপূর্বক ফিলিস্তিন ভূমি দখলের পর ইসরাইলের মূল সামরিক বাহিনী গঠন করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে ইউরোপ থেকে আরও ইহুদি ইসরাইলে আসেন। তাদের অনেককেই হাগানাহসহ অন্যান্য বাহিনীতে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নেয়। ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডকে দ্বিখণ্ডিত করার বিষয়ে প্রস্তাব গৃহীত হয়। জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে দ্বিখণ্ডিত করার প্রস্তাব পাস করে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৪৫ শতাংশ ভূমি ফিলিস্তিনিদের এবং বাকি ৫৫ শতাংশ ইহুদিবাদিদের হাতে ছেড়ে দেয়া হয়। এভাবে ১৯৪৮ সালের ১৪ মে ইসরাইল স্বাধীনতা ঘোষণা করে। সে সময় ইসরাইলের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ডেভিড বেনগুরিয়ান। তাকে ইহুদি ‘রাষ্ট্রের জনক’ বলা হয়। এর দুদিন পর সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ইসরাইলকে প্রথম স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। ইসরাইল-তুরস্কের সম্পর্কের উত্থানপতন ১৯৫৬ সালে মিশরের সিনাই উপদ্বীপে আক্রমণ ও সুয়েজ খাল দখলের চেষ্টা করে ইসরাইল। এর জেরে তুরস্ক ইসরাইল থেকে কূটনীতিক প্রত্যাহার করে নেয়। এ ঘটনায় বিরাগ তুরস্কের মান ভাঙাতে আঙ্কারা সফর করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড বেনগুরিয়ান। এতে দুই দেশ সম্পর্কের উষ্ণতা খুঁজে পায়। এরপর ১৯৬৭ সালে আরব বিশ্বের বিশাল এলাকা (জেরুজালেমসহ) দখলে নেয় ইসরাইল। তুরস্ক তখন আরও অসন্তুষ্ট হয়। সেই ঘটনায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, নিন্দা ও চাপ সৃষ্টি করে তুরস্ক। কিন্তু ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেনি। দুই দেশের সম্পর্ক থাকা না-থাকার মধ্যেও সময় যাচ্ছিল। কিন্তু ২০০০ সালের পর থেকে তাদের মধ্যকার সম্পর্ক আরও তিক্ত হতে শুরু করে। ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের অন্যায়ের ব্যাপারে সোচ্চার হয় এরদোগান সরকার। শুধু তাই নয়, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ও আঞ্চলিক অন্যান্য ইস্যুতেও সমর্থন জানায় আঙ্কারা। ইসরাইলের কাছে তুরস্ক বড় আঘাত পায় ২০১০ সালে। ইসরাইল তখন গাজায় আগ্রাসন চালাচ্ছিল। সে বছর ৩১ মে তুরস্ক থেকে কয়েকশ স্বেচ্ছাসেবী ত্রাণ নিয়ে ‘মাভি মারমারা’ নামে একটি জাহাজে করে গাজার দিকে রওনা হন। যাত্রাপথে ইসরাইলি হামলায় ১০ জন তুর্কি স্বেচ্ছাসেবী নিহত হন। ওই ঘটনায় তুরস্ক ক্ষমা চাওয়ার জন্য ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানায়। কিন্তু তেল আবিব ক্ষমা চায়নি। এর ফলে তেল আবিব-আঙ্কারা সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। পরে ২০১৩ সালে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ ঘটনার জন্য ক্ষমা চান এবং দুই কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেন। এতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আবার স্বাভাবিক হওয়ার পথে ফেরে। এক বছর না-যেতেই ২০১৪ সালে গাজায় তীব্র হামলা করে ইসরাইল। এতে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতিশীল তুরস্ক আবারও ইসরাইলের ওপর নাখোশ হয়। তাই ওই ঘটনা তেল আবিব-আঙ্কারা সম্পর্ক আরও অনিশ্চয়তায় ফেলে। ২০১৫ সালে দেশ দুটি আবারও সমঝোতা ও সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠায় জোর দেয়। ইসরাইল একজন রাষ্ট্রদূত তুরস্কে নিয়োগ দেয়। ২০১৬ সালের জুন মাসে তারা একটি সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করে। এরপর ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিলে ফিলিস্তিনে শুরু হয় বিক্ষোভ। বিক্ষোভ দমনে ইসরাইলি বাহিনী নির্বিচার গুলি চালায় এবং গাজায় ৬০ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে। এ ঘটনায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান ক্ষুব্ধ হয়ে ইসরাইলের সঙ্গে আবারও সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেন। ২০১৮ সালে ইসরাইলি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে তুরস্ক। এর পাল্টা জবাবে জেরুজালেম থেকে তুরস্কের কনসাল জেনারেলকেও তাড়িয়ে দেয় ইসরাইল। এতে দুদেশের সম্পর্ক আরও অবনতির দিকে যায়। এ ছাড়া মিশরে ২০১৩ সালের সামরিক অভ্যুত্থান, ২০১৫ সালের ইরান পরমাণু চুক্তি, ২০১৯ সালে সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার ও তুর্কি সামরিক অভিযানের মতো আঞ্চলিক ইস্যুগুলোতে দেশ দুটির নেতাদের মতানৈক্য রয়েছে। এত তিক্ততার পরও দুদেশের সাম্প্রতিক সম্পর্ক উন্নতির দিকে রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে আরও কাছাকাছি ইসরাইল-তুরস্ক সাম্প্রতিক সময়ে পারস্পরিক স্বার্থে আরও কাছে আসছে তুরস্ক-ইসরাইল। দুই দেশের নেতারা তেল আবিব ও আঙ্কারা সফর করছেন। তুরস্কের ইসরাইলবিরোধী মনোভাব দেখা গেলেও দুই দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নিতেও আগ্রহী তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। গত মে মাসের শেষ সপ্তাহে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু, জ্বালানিমন্ত্রী ফেইথ দনমেজ ইসরাইল সফর করেন। গত ১৫ বছরের মধ্যে তুরস্কের উচ্চপদস্থ কোনো প্রতিনিধিদলের ইসরাইল সফর ছিল এটি। ওই সফরে দুই দেশের মধ্যে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ, জ্বালানি খাতে কৌশলগত সহযোগিতার মতো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া ২০২১ সালের শেষদিকে ইসরাইলি এক দম্পতিকে গোয়েন্দা সন্দেহে ধরে ছেড়ে দিয়েছিল তুরস্ক। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তারা গোপনে তুর্কি প্রেসিডেন্টের বাসভবনের ছবি তুলছিলেন। অভিযুক্ত দম্পতিকে মুক্তি দেয়ায় খুশি হয়ে আঙ্কারা সফর করেন ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ। সবশেষ তুরস্ক সফরে ইসরাইলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার লাপিদের যাওয়ার খবর প্রকাশ পেয়েছে। দুদেশের মধ্যে বর্তমান উষ্ণ সম্পর্কের ধারাবাহিকতায় আগামী ২৩ জুন আঙ্কারা সফর করার কথা রয়েছে তার। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, সফরকালে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসগলুর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন ইসরাইলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাপিদ। কেন এই কাছে আসা ইসরাইল-তুরস্ক দুই দেশই চায় নিজেদের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে। বর্তমানে তাদের বাণিজ্যিক সম্পর্কও ঊর্ধ্বমুখী। গত বছর তুরস্ক-ইসরাইল ৮ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্যিক লেনদেন করেছে। চলতি বছরের প্রথম চার মাসেও দুই দেশের মধ্যে যে বাণিজ্য হয়েছে, সেটিও আশাব্যঞ্জক। কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, যতই রাজনৈতিক উত্তেজনা ও টানাপোড়েন থাকুক না কেন; বাণিজ্য, জ্বালানি, গোয়েন্দা ও প্রতিরক্ষা বিষয়ে দেশ দুটি একে অপরের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে পারে। ইসরাইলের প্রাকৃতিক গ্যাস ইউরোপে সরবরাহের জন্যও তারা একসঙ্গে কাজ করতে পারে। এ ছাড়া তাদের মধ্যে বিদ্যুৎক্ষেত্রে সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা চলছে। আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধে ফায়দা লুটছেন এরদোগান মুসলিম বিশ্বে তুরস্ক ও এর জাতীয়তাবাদী নেতা এরদোগানের আলাদা গ্রহণযোগ্যতা আছে। মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট ন্যাটোয় তুরস্কের শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে। অধিকাংশ মুসলিম দেশ এখনো ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়নি। এ কারণে তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্কের স্বাভাবিকতা থাকলে হয়তো ইসরাইল ফায়দা পেতে পারে। অপরদিকে মার্কিন কংগ্রেসে তুরস্ক সম্পর্কে ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরিতে ইসরাইল সহায়তা করতে পারে। ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউট ফর নিয়ার ইস্ট পলিসির এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, ইসরাইলের সে সামর্থ্য আছে এবং দেশটি তুরস্কের জন্য কিছুটা করছেও। এ ছাড়া ইরাকের উত্তরাঞ্চলে সক্রিয় কুর্দি গোষ্ঠীগুলোকে সহযোগিতা করে ইসরাইল। আঙ্কারার অভিযোগ, এই কুর্দিরা তুরস্কের বিরুদ্ধে নানা তৎপরতায় লিপ্ত। অন্যদিকে ফিলিস্তিনের হামাস গোষ্ঠীকে সহায়তা দেয় তুরস্ক। যেটি ইসরাইল সহ্য করে না। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে আগ্রহী পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইসরাইলের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক রক্ষা নির্ভর করে ফিলিস্তিন ইস্যুর ওপর। গত বছর তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীও একই মত দিয়ে বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ইসরাইলি আচরণের ওপর ইসরাইল-তুরস্ক সম্পর্ক নির্ভর করে। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত, ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইসরাইলবিরোধী অবস্থান না নিয়ে তুরস্ক বরং মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিতে পারে। তাহলে দুই দেশের সম্পর্ক আরও এগিয়ে যাবে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply