ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশ হামলা অব্যাহত, মধ্যাঞ্চলে ১৩টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে হামলা আরও জোরদার করেছে রুশ বাহিনী। মধ্যাঞ্চলের একটি শহরে ১৩টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রুশ সেনারা। পাশাপাশি মস্কো জানিয়েছে, শুক্রবার ইউক্রেনের চারটি আর্টিলারি রকেট ধ্বংস করেছে তারা। অন্যদিকে মস্কোর এ দাবিকে পুরোপুরি গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছে কিয়েভ। এদিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনকে ২৭ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে হোয়াইট হাউজ। অন্যদিকে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ভূমি পুনরুদ্ধার না করা পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি করবে না কিয়েভ। খবর রয়টার্সের। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশ হামলা অব্যাহত, মধ্যাঞ্চলে ১৩টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ গেল ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে শুরু হওয়া রুশ বাহিনীর সামরিক অভিযানের মাত্রা কমেনি বরং বেড়েছে। প্রতিদিনই বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী। আবাসিক ভবন থেকে শুরু করে বাদ যাচ্ছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে দোনেস্ক প্রদেশে হামলা অব্যাহত আছে। পাওয়া যাচ্ছে হতাহতের খবর। নতুন করে ইউক্রেনের কিরোভোহরাদ অঞ্চলে ১৩টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এদিকে চলমান যুদ্ধে, ইউক্রেনের গেম চেঞ্জার হিসেবে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া চারটি মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম বা হিমার্স ধ্বংসের দাবি জানিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে, মস্কোর এই দাবিকে পুরোপুরি মিথ্যা ও বানোয়াট বলে উড়িয়ে দিয়েছে কিয়েভ। কিয়েভ বলেছে, পশ্চিমা বিশ্বের থেকে প্রাপ্ত সহায়তা বন্ধে এবং সম্পর্কের অবনতি ঘটানোর জন্যই এমন গুজব ছড়াচ্ছে রুশ সেনারা। আরও পড়ুন: যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করার আভাস জেলেনস্কির এদিকে, শুক্রবার (২২ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের জন্য আরও ২৭ কোটি ডলার সামরিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে হোয়াইট হাউজ। এই প্যাকেজটিতে মধ্যম পাল্লার রকেটসহ বেশ কয়েকটি ড্রোন থাকবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রেস সেক্রেটারি জন কিরবি। প্রেস সেক্রেটারি জন কিরবি বলেন, ‘আরও ৪টি হিমার্স এবং ৫৮০টি ফিনিক্স ঘোস্ট ড্রোন থাকবে সামরিক সহায়তার মধ্যে। যত সময় লাগুক না কেন, ইউক্রেনের বাসিন্দাদের সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাব আমরা।’ আরও পড়ুন: ইউক্রেনীয় বাহিনীর হাতে হাজারো রুশ সেনা কর্মকর্তা নিহত: যুক্তরাষ্ট্র এদিকে, রাশিয়ার দখল করে নেয়া অঞ্চল পুনরুদ্ধার না করে মস্কোর সঙ্গে কোনো যুদ্ধবিরতি হবে না বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি দাবি করেন, এমন কিছু করা হলে তাতে কেবল যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হবে। শুক্রবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন জেলেনস্কি।