Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » মেহেরপুরের সৃষ্টির ইতিহাস ও আমঝুপী নীলকুঠি নিয়েও বিকৃত ইতিহাস সৃষ্টি




মেহেরপুরের ইতিহাসকে বিকৃত করা হচ্ছে ইতিহাস ইাতহাসের গতিতেই চলে। ইতিহাসের গতিকে থামানো যায় না; কিংবা বিকৃত করে ইতিহাসকে পরিবর্তন করা যায় না। ইতিহাস বিকৃত করে হয়ত সাময়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করা যায়। কিন্তু বৃহত্তর ইতিহাসের পাতায় পতিষ্ঠিত করা সম্ভব হয় না। আমাদের অঞ্চলের ইতিহাস অত্যন্ত ঐতিহ্যবাহী। কিন্তু সাম্প্রতিককালে এই ইতিহাসও বিকৃত করার প্রায়াস লক্ষ্য করা গেছে। দুঃখ লাগে যারা ইচ্ছাকৃতভাবে ইতিহাস বিকৃত করে তাদের আচরন দেখে। আমি মেহেরপুরের নামকরণের কথা বলছি। মেহেরপুরের প্রাচীন নাম মিহিরপুর তা সকলেই জানে। প্রাচীন বই ঘাটলেই তা দেখা যায়। এখনো মেহেরপুরের ইংরেজী বানান গঊঐঊজচটজ (মিহিরপুর) প্রাচীন সব বইপত্রে বলা হচ্ছে মিহির ও খনার বচন থেকেই মিহিরপুর হয়েছে এবং তা পরবর্তীতে মেহেরপুর হয়েছে। প্রাচীন কোন গ্রন্থে মেহেরউল্লাহ থেকে মেহেরপুর হয়েছে এ কথা কেউ দেখাতে পারবে না। মেহেরউল্লাহ থেকে মেহেরপুর নামকরণ বিষয়ে সম্প্রতিক কালের কিছু সংখ্যক ব্যক্তির সাজানো ঘটনা। কুমুদনাথ মল্লিকের “নদীয়া কাহিনী” (প্রথম প্রকাশ ১৩১৭) এ অঞ্চলের একটি প্রাচীন গ্রন্থ। এই গন্থে মেহেরপুর প্রসঙ্গে মেহেরুল্লাহ কথাটি নেই। সেখানে বলা হয়েছে মিহির নাম হইতে মিহিরপুর, অপভ্রংশে মেহেরপুর নামের উৎপত্তি। ১৯৪০ সালে প্রকাশিত আরেক ইতিহাস গ্রন্থ“বাংলার ভ্রমন”-এ মেহেরুল্লাহর কথা নেই। সেখানেও মিহির ও খনার কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে মিহিরের নাম থেকেই মিহিরপুর। পরবর্তীতে তা অপভ্রংশ হয়ে মেহেরপুর নামের উৎপত্তি। শ,ম শওকত আলীও তার কুষ্টিয়ার ইতিহাস (১৯৭৮) গন্থে একই মত প্রকাশ করে বলেন, মেহেরপুর একটি প্রাচীন গ্রাম। কেহ কেহ এই স্থানেই মিহির খনার বাসস্থান বলিয়া নির্দেশ করেন এবং মিহিরপুর নাম হইতে মেহেরপুর হইয়াছে বলেন। এই সব প্রাচীন গন্থকে বাদ দিয়ে যারা মেহেরপুরের নাম করণের ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা করেছেন তাদের এ অঞ্চলের মানুষ কোন দিন ভালো চোখে দেখবে না। মেহেরপুর কোন ক্রমেই মেহেরুল্লাহ এর নামে হয়নি। মেহেরুল্লাহ নামে কোন দরবেশ মেহেরপুরে আসেননি এবং তাঁর কোন মাজারও নেই। মেহেরুল্লাহ কবর রয়েছে যশোরের মেহেরুল্লাহ নগরে। কেউ কেউ শাহা ভালায়ের দরগাকে মেহেরুল্লাহর মাজার চিন্থত করতে গেয়ে রীতিমত অপমানিত হয়েছেন। আশা করি সংশ্লিষ্ট সকলে অনুধাবন করার চেষ্টা করবেন। আমঝুপী নীলকুঠি নিয়েও বিকৃত ইতিহাস সৃষ্টি করা হয়েছে। নীল চাষের জন্য ইংরেজরা ১৮০০ সালের দিকে এখানে নীলকুঠি স্থাপন করে। ইতিহাস ও বিল্ডিংয়ের নির্মাণ কৌশল তাই বলে। অথচ বিকৃত ইতিহাস সৃষ্টিকারীরা পঞ্চাশ বছর আগে ১৭৫৭ সালে গৃহীত জঙ্গলের মধ্যে মীর জাফর ও লর্ড ক্লাইভকে যাদুর কাঠি দিয়ে দু’টি বিশাল নদী পার করিয়ে এনে শেষ ষড়যন্ত্র করিয়েছেন। ধন্যবাদ ঐ সব বুদ্ধিজীবিদের, তারা কি করে জানেন না নবাব সিরাজের ভয়ে মীর জাফর যখন ঘর থেকে বের হতে পারছেলেন না। ওয়াটস অবশেষে মহিলা সেজে বোরকা পরে তাঁর সাথে দেখা করতে বাধ্য হলেন। সেই মীর জাফরকে অপরিচিত অর্ধশত মাইল দূরে বিশাল নদী ভৈরব ও জলঙ্গী পার করিয়ে বিকৃত ইতিহাস সৃষ্টিকারীরা আমঝুপিতে আনলেন কি করে? তাঁর এতটুকু ভাবলেন না যে, তখনও এদ্বতঞ্চলে নীল চাষ শুরু হয়নি এবং নীলকুঠি নির্মানের প্রশ্নই উঠেনা। আমঝুপিতে রয়েছে নীলকুঠি। এই নামই প্রমান করে নীল চাষের জন্য এই ভবন তৈরী করা হয়েছে। এ অঞ্চলের আকাল বৃদ্ধ বনিতাকে জিজ্ঞাস করুন। তারা বলবে এটি নীলকুঠি। অন্য কিছু নয়। আমার প্রশ্ন অর্ধশতাব্দী পরে নির্মিত এবং নীল চাষের জন্য তৈরি নীল কুঠিটিতে কিভাবে এই ষড়যন্ত্র হলো। উত্তর দেবেন কে? হাই আমাদের ইতিহাস হাই আমাদের বুদ্ধিজীবি সমাজ। এদেশের বুদ্ধিজীবি সমাজ কি পারে! তাঁদের ধন্যবাদ না জানিয়ে উপায় কি? তাঁরা রাতকে শুধু দিনই করতে পারেন তা নয় তাঁরা পঞ্চাশ বছরের পরের বিল্ডিংকে পঞ্চাশ বছর পূর্বেই নির্মান করে ষড়যন্ত্রর আসর বানাতে পারেন। এ অঞ্চলের মানুষ মীর জাফরের দোসর হওয়ার ইতিহাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এ অঞ্চলের মানুষ ছিল নবাব আলিবর্দী খানের স্রেহধন্য। নবাব আলিবর্দী এসেছিলেন এখানে শিকার করতে এবং রাজু গোলালিনীর আপ্যায়নে খুশী হয়ে তিনি বাগোয়ান পরগানা তার নামে লিখে দিয়েছিলেন। এ অঞ্চলের জমিদার গোয়ালা চৌধুরী ছিলেন সব সময় নবাব আলীবর্দী ও নবাব সিরাজের ভক্ত। তাঁরা এলাকায় মীর জাফরের ষড়যন্ত্রের কথা ইতিহাস স্বীকার করে না। ইতিহাস বলে কাশিম বাজার কুঠিতেই ষড়যন্ত্রকারীদের শেষ বৈঠক হয়েছিল। তাই স্থানীয় প্রশাসনের কাছে এ অঞ্চলের মানুষ প্রত্যাশা আমঝুপী নীলকুঠি বিকৃত ইতিহাস সম্বলিত শ্বেত পাথর ভেঙ্গে ফেলুন এবং নীলকুঠি তথ্য এ অঞ্চলের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরুন।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply