Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » মুজিবনগর রেল লইন স্থাপন করে এর বাস্তবায়ন দেখতে চায় মেহেরপুরবাসি।




মেহেরপুর-দর্শনা ভায়া মুজিবনগর রেলপথের বাস্তবায়ন দাবি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালের ১৭ই এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের অনুষ্ঠানে গিয়ে ঘোষনা দিয়েছিলেন শীঘ্রই মুজিবনগরে রেললাইন চালু করা হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের শুরু হয়েছিল সমীক্ষার কাজ। সমীক্ষাও শেষ হয়েছে প্রায় এক যুগ। ১২ কোটি টাকা বায়ে রেল লাইন কাজের সমিক্ষা ভুমি জরিপ ছাড়া দৃশ্যত লাইন স্থাপন নির্মাণ কাজ শুরুই হয়নি এখনো। দ্রুত রেল লইন স্থাপন করে এর বাস্তবায়ন দেখতে চায় মেহেরপুরবাসি। ২০১১ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনার পর পরই একই ব

ছর ২৫ শে এপ্রিল তৎকালিন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক তহিদুল আনোয়ার চৌধুরী, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মোঃ শাহজামান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) মো. আবুল কাশেম, প্রধান প্রকৌশলী পশ্চিম জোন রাজশাহী মো. মোজাম্মেল হক, চিফ অপারেটিং সুপারেনটেন্ড আখম সাইফুল ইসলাম, ডিআরএস (পাকশী) আজয় কুমার পোদ্দার, বিভাগীয় প্রকৌশলী (পাকশী) এএফএম মাসুদুর রহমান ও বিভাগীয় ট্রান্সপোটেশন অফিসার (পাকশী) মুহিত কুমার বিশ্বাস পরিদর্শন করেন মুজিবনগর। সেদিন মেহেরপুর সার্কিট হাইজে জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়ের সময় রেলওয়ে মহাপরিচালক বলেছিলেন, ১২ এপ্রিল ২০১১ জাতীয় অর্থনীতি পরিষদের বৈঠকে দর্শনা-মেহেরপুর ভায়া মুজিবনগর রেললাইন নির্মান কর্মসুচীর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আগামি তিন বছরের মধ্যে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থেকে মুজিবনগর হয়ে মেহেরপুর জেলা শহর পর্যন্ত ৫৬ কিমি রেল লাইন নির্মাণ করা হবে। তার জন্য ৭শ একর জমি ও ৭’শ কোটি টাকা দরকার। যেহেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি তাই স্থানীয় প্রশাসন কে দ্রুত জমি অধিগ্রহণ করতে সহযোগিতা করার কথা বলা হয়। মেহেরপুরের তখনকার স্থানীয় প্রশাসন, রাজনৈতীক নেতা সহ সকলে সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতিও দেন। রেল পথ হলে মেহেরপুরের সাথে অনান্য জেলার যোগাযোগ, পণ্য পরিবহণ ও মুজিবনগর ভ্রমন সহজ হবে এই আশায় উৎফুল্য ছিল জেলাবাসি। ঘোষনার প্রায় এক যুগ পেরিয়ে যাচ্ছে। এখন দির্ঘদিন অপেক্ষায় থেকে মেহেরপুর বাসি বলছেন আর কবে হবে রেল লাইন? ইতিহাস থেকে জানা যায় প্রথম ১৯৭৪ সালে মুজিবনগর সরকারের ঐতিহাসিক স্থানটির গুরুত্ব বাড়াতে দর্শনা-মেহেরপুর ভায়া মুজিবনগর রেলপথ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট একটি কুচক্রিমহল কর্তৃক বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে নিহত হলে সব উদ্যোগ থেমে যায়। ৯৬ পরবর্তী ২০০৮ সালে আ’লীগ সরকার পূণরায় ক্ষমতায় গিয়ে সরকারের এ সময়ের ২০১১ সালের ১৭ই এপ্রিল মুজিবনগর দিবসে মুজিবনগরে এসে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা পূণরায় রেলপথটি নির্মাণ করার ঘোষনা দেন। বাংলাদেশ রেলওয়ে সুত্রে জানা গেছে, প্রস্তাবিত ৫৬ কিলোমিটার রেল পাথে ৩টি ব্রীজ ও ৬টি স্টেশন নির্মাণ করার কথা। স্টেশনগুলো হলো চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলা সদর, হাতিভাঙ্গা, চন্দ্রবাস, মুজিবনগর উপজেলা সদর, মুজিবনগরের মোনাখালি এবং মেহেরপুর সদর উপজেলায়। ৩টি ব্রীজের মধ্যে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার মাথাভাঙ্গা নদীর চিৎলা পয়েন্টে একটি, একই উপজেলার ভৈরব নদীর কানাইডাঙ্গা পয়েন্টে একটি এবং মেহেরপুরে মুজিবনগর উপজেলার বল্লবপুর পয়েন্টে একটি। প্রস্তাবিত সার্ভে অনুযায়ী চুয়াডাঙ্গা -দর্শনা রেলপথের মাঝখানে গাইদঘাট ও জয়রামপুর স্টেশন থেকে নতুন সৃষ্ট ভিন্ন দুইটি নতুন লাইন মিলিত হবে দামুড়হুদা স্টেশনে। যেটি মুজিবনগর স্টেশন হয়ে মেহেরপুর পৌঁছাবে। রেল লাইনটি বাস্তবায়ন হলে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা, যশোর, নড়াইল, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, বরিশাল, ঝালকাঠি, ভোলা, বরগুনা, পিরোজপুর, পটুয়াখালি এবং ঢাকা সহ দেশের অন্তত ২০/২৫ টি জেলার সাথে যোগাযোগ ও পণ্য পরিবহন সহজ হত। প্রতিবছর মেহেরপুর কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহ জেলা থেকে হাজার হাজার মানুষ জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের কবর জিয়ারত করতে যান। প্রস্তাবিত রেল পথটি চালু হলে এ এলাকার মানুষ সহজেই জাতীর জনকের কবর জিয়ারত করতে যেতে পারতেন। স্বাধীন বাংলাদেশের মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রীদের গার্ড অব অনার প্রদান কারী ১২ আনসার সদস্যদের মধ্যে এখনও বেঁচে আছেন ৩ জন। তাদেরই একজন আনসার সদস্য আজিম উদ্দীন সেখ বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মুজিবনগর সরকারকে গার্ড অব অনার প্রদান করেছিলাম। জাতীর পিতার ডাকে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। আমরা এখনও আশায় বুক বেঁধে আছি। রেলে চড়ে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারত করতে যাব। তাই দ্রুত রেললাইনের কাজ শুরু করার দাবি জানান তিনি। মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খাঁন জানান, রেল লাইন বাস্তবায়নের সমিক্ষার কাজ শেষ হয়েছে। চুড়ান্ত করা হয়েছে ভুমি জরিপ সহ রেল লাইন বাস্তবায়নের রুপরেখা। খুব শীঘ্রই ভূমি অধিগ্রহনের কাজ শুরু হবে। ভূমি অধিগ্রহণ শেষ হলে এর বাস্তাবায়ন কাজও শুরু হয়ে যাবে। মেহেরপুর -১ আসনের সংসদ সদস্য ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ২০১১ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সটি ৫০ শয্যায় উন্নীত করা, মুজিবনগর কমপ্লেক্সের বাকি কাজ সমাপ্ত করা, ভৈরব নদী খনন,ফায়ার সার্ভিস স্ট্রেশন নির্মাণ, সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স কোর্স চালু, সরকারি কলেজে মাস্টার্স কোর্স চালু, মুজিবনগর ডিগ্রী কলেজ কে সরকারি করণ করার যে ঘোষনা দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনার সকল কাজ বাস্তবায়ন হয়েছে। এই সাথে দর্শনা-মেহেরপুর ভায়া মুজিবনগর রেলপথ নির্মাণ করার ঘোষনাও দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এটি একটি বৃহৎ প্রকল্প। এর কাজও চলমান। রেল লাইন স্থাপনের কাজ অনেক খানি এগিয়েছে। রেল মন্ত্রণালয়ের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে সরকারের এ মেয়াদেই কাজ শুরু হয়ে যাবে ।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply