-মুহম্মদ রবীউল আলম
ভাষা সংগ্রামী, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ননী গোপাল ভট্টাচার্য ছিলেন মেহেরপুরের সাংষ্কৃতিক আন্দোলনের অগ্রণী পুরুষ।তিনি আজীবন ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক বিপ্লব ও সুখ সমৃদ্ধশালী অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলার কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। মেহেরপুরবাসী চিরকাল এই গুণী মানুষটিতে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। গত ২৬ জুন ২০২০ শনিবার বিকাল ৫টা ১০ মিনিটের সময় মেহেরপুর হোটেল বাজারের শহীদ আরজ সড়কস্থ নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। ননী কাকাকে খুব কাছে থেকে দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল।তার মতো দেশ প্রেমিক ও সাংস্কৃতিক প্রাণ পুরুষ আমার চোখে কম পড়েছে।তিনি সৃষ্টিকর্তার প্রার্থণা করেছিলেন,‘এই মাটিকে ভালোবেসেছি, আমি এই মাটিতেই যেন আমার মৃত্যু হয়।’ সৃষ্টিকর্তা তার এই প্রার্থণা কবুল করেছেন। তিনি ছিলেন ভাষাসৈনিক,মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক,সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব,সমাজ সংগঠক ও শিক্ষাবিদ।আমার বন্ধু পিপি এডভোকেট পল্লব ভট্টাচার্য বলেছেন,‘আমার কাকা ননী গোপাল ভট্টাচার্য ভাষা আন্দোলনের জন্য জেল খেটেছেন।তিনি সেসময়ে ভাষা নিয়ে একটি গান লিখে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। কবিতা লিখেছেন এবং চিকা মেরেছেন।’ ননী কাকার বাবা মেহেরপুরের প্রভাবশালী আইনজীবি নলীনাক্ষ ভট্টাচার্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও মাওলানা ভাসানীর সহযোগিতায় হাইকোট থেকে অনেক কষ্টে ননীগোপালকে জেলখানা থেকে মুক্ত করেছিলেন। পরবর্তীতে আয়ুব বিরোধী সাংস্কৃতিক আন্দোলনে তিনি বিশেষ ভুমিকা রাখেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ননীগোপালকে খুব ভালোবাসতেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনের প্রাক্কালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেহেরপুর, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গায় এসেছিলেন। পরে যশোরে গেলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। মেহেরপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শহীদ সামসুজ্জোহা পার্কে ভাষণ দিয়েছিলেন। এই সমাবেশের আগে ননীগোপাল ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে ৭জন হিন্দু ছাত্রনেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সাথে বৈঠক করেন। মেহেরপুরের কাশারীপাড়ার এক বাসায় অনুষ্ঠিত এই গোপন বৈঠকে মেহেরপুরের গণমানুষের নেতা মোহাম্মদ সহিউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। ননীগোপাল বঙ্গবন্ধুর কাছে মেহেরপুরের বিভিন্ন বিষয় ও হিন্দুদের অবস্থা অলোচনা করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সেদিন হিন্দু ছাত্রদের বলেছিলেন,‘তোর ভয় করিস না,দেশ ছাড়িস না, আন্দোলন চলছে,আন্দোলনে শরিক হ। দেশ স্বাধীন হবে।হিন্দুদের কোন সমস্যা হবে না।’ ১৯৭১সালের ১৭এপ্রিল মুজিবনগরে বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠন অনুষ্ঠানে ননীগোপাল ভট্টাচার্য গীতা পাঠ করেছিলেন এবং সেদিন বিদেশী সাংবাদিকদের খাওয়া-দাওয়ার কাছে তিনি বিশেষ ভুমিকা পালন করেন। দেশ স্বাধীন হলে ১৯৭২ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি প্রতিবছর ১৭এপ্রিল মুজিবনগরে অনুষ্ঠানে গীতা পাঠ করেছেন। সামরিক শাসন অথবা বিএনপির সময়েও আওয়ামীলীগের ছোট আকারের অনুষ্ঠানে তিনি যথারীতি গীতা পাঠ করেছেন। ২০১৯সালে শাররীক অসুস্থতার কারণে তিনি সেখানে যেতে পারেন নি। ১৯৭১সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি বিশেষ ভুমিকা রাখেন। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে তিনি বাবুয়া বোসের সাথে গিয়েছেন এবং অনুষ্ঠান গ্রন্থনার কাজে অংশ নিয়েছেন এবং কবিতা পড়েছেন। যুদ্ধকালীন সময়ে তিনি স্বপরিবারে কৃষ্ণনগরে ভাই এডভোকেট কাত্তিক ভট্টাচার্যের বাসায় থেকে মুক্তিযুদ্ধে ভুমিকা রাখেছেন। তিনি সে সময়ে সাইকেলে চড়ে বিভিন্ন শরনার্থী শিবিরে দলবল নিয়ে গিয়েছেন এবং দেশের গান ও কবিতা পড়ে তাদের সাহস দিয়েছেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট নেন নি এবং বলেছেন,‘এটার প্রয়োজন কি?’ ননীগোপালের বড় পরিচয় তিনি মেহেরপুরের একজন বিশিষ্ট সাংষ্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। মেহেরপুরের বিভিন্ন সাংষ্কৃতিক আন্দোলনে তিনি অগ্রণী ভুমিকা পালন করেন। তিনি সংগীত শিল্পী ছিলেন,ছড়া কবিতা ও গান লিখেছেন। অনুষ্ঠান গ্রন্থনা ও গীতিনাট্য রচনা করেছেন। রবীন্দ্রনাথের জন্মশতবর্ষ উদযাপনে ভুমিকা রেখেছেন। তিনি একজন ভালো ফুটবল খেলোয়াড় ছিলেন। পাকিস্থান আমলে পাকিস্থানিদের সাথে মেহেরপুরের স্থানীয় অধিবাসীদের একটি ফুটবল খেলা হয়েছিল। এই খেলায় ননীগোপাল মেহেরপুরের স্থানীয় অধিবাসীদের পক্ষে একটি গোল করেছিলেন। এতে পাকিস্থানিরা রাগান্তিত হয়ে ননীগোপালের মুখে একটি ঘুসি মেরে দুটি দাঁত ভেঙ্গে দিয়েছিল। ১৯৩৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন ননীগোপাল ভট্টাচার্য। তার বাবা স্বর্গীয় নলীনাক্ষ ভট্টাচার্য ছিলেন একজন প্রভাবশালী আইনজীবি। মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী গ্রাম থেকে শত বছর আগে এই বুনিয়াদি পরিবারটি উঠে এসে মেহেরপুর পৌরসভার হোটেল বাজারে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। সম্ভ্রান্ত ও ঐতিহ্যবাহী ওই পরিবারের অন্যতম সন্তান স্বর্গীয় নলীনাক্ষ ভট্টাচার্য (১৯১৩-১৯৬৭) আইন পেশায় যুক্ত হন। তিনি মেহেরপুর বার কাউন্সিলের সভাপতি ছিলেন। ননীগোপাল ভট্টাচার্যরা চার ভাই। বড় ভাই প্রভাবশালী আইনজীবি প্রভাস ভট্টাচার্য। অপর দুজন ভাই হলেন স্বর্গীয় কাত্তিক ভট্টাচার্য(এডভোকেট)কৃষ্ণনগর নিবাসী ও মুক্তিযোদ্ধা প্রশান্ত ভট্টাচার্য। প্রভাস ভট্টাচার্য জীবদ্দশায় জেলার সকল প্রগতিশীল সংগঠন ও আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি মেহেরপুর পৌরসভার কমিশনার নির্বাচিত হয়েছিলেন। আইন ব্যবসার পাশাপাশি তিনি তার দুই ছেলেকে আইন পড়ান। তার জেষ্ঠ্য সন্তান অ্যাডভোকেট পল্লব ভট্টাচার্য তরুণ জেলা জর্জ কোর্টে সফলতার সাথে আইন ব্যবসা পরিচালনা করছেন। তিনি জেলা বার এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি। তিনি বর্তমানে মেহেরপুর জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। ‘ল-গার্ডেন’-এর দ্বিতীয় সন্তান প্রলয় ভট্টাচার্য তন্ময় বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফিনান্স কর্পোরেশনের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) এবং আইন বিভাগের প্রধান। ননীগোপাল ভট্টাচার্যের ৩ ছেলে ও ২ কন্যা। বড় ছেলে কাজল ভট্টাচার্য চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত। পরবর্তীরা হলেন অঞ্চল ভট্টাচার্য সজল ও চঞ্চল ভট্টাচার্য উজ্জল।সজল ঠিকাদারি ব্যবসার সাথে জড়িত এবং উজ্জল কৃষি ও পশু চিকিৎসা কাজে নিয়োজিত। ননীগোপাল মেহেরপুরের হোটেলবাজারস্থ মক্তব স্কুল, মুখজ্জিপাড়া প্রাইমারি স্কুল ও মেহেরপুর বয়েজ স্কুলে লেখাপড়া করেন। ১৯৫৩ সালে তিনি মেহেরপুর বয়েজ স্কুল থেকে মেট্রিক পরীক্ষা অংশ নেন এবং দ্বিতীয় বিভাগের পাশ করেন। পরীক্ষা হয়েছিল চুয়াডাঙ্গাতে। পরবর্তীতে তিনি রাজশাহী সরকারি কলেজে এইচএসসি ও বিএ পাশ করেন। পরে তিনি মেহেরপুরে চলে আসেন এবং শিক্ষকতা শুরু করেন,মুক্তিযুদ্ধে ভুমিকা রাখেন এবং সাংস্কৃতিক আন্দোলনে অংশ নেন। মেহেরপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে তিনি জীবনের বিরাট অংশ কাটিয়েছেন। পরে তিনি একটি বেসরকারী স্কুলের সাথে জড়িত ছিলেন। আমি যখন কলেজের ছাত্র। তখন আমরা মেহেরপুরের ছেলেমেয়েদেরকে সাহিত্য-সংস্কৃতিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ধারাপাত খেলাঘর আসর প্রতিষ্ঠা করি।এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম আমি। ননী কাকাকে আমরা সহ-সভাপতি করেছিলাম। তিনি অত্যন্ত আগ্রহের সাথে আমাদের সকল কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। আমাদের সাথে ছিলেন আবদুল মতিন স্যার, মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিন মীরু, আবদুর রাজ্জাক মাস্টার, মীর রওশন আলী মনা, আমার ক্লাসমেট পল্লব ভট্টাচার্য(তরুণ), আগাহেলালী মুক্তা, তন্ময় ভট্টাচার্য, নফিজউদ্দিন খান, মানস চৌধুরীসহ অনেকে। মনে পড়ে ননী গোপাল ভট্টাচার্য তখন মেহেরপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক।এই স্কুলে ধারাপাত খেলাঘর আসরের অনেক অনুষ্ঠান করেছিলাম।একবার ঢাকা থেকে কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম ঝরা এসেছিলেন। আমরা ননী কাকার সহযোগিতায় মেহেরপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে চমৎকার অনুষ্ঠান করেছিলাম। কাকা আমাদের সকল অনুষ্ঠানে অগ্রণী ভুমিকা পালন করেছেন। ভৈরব সাহিত্য অনুষ্ঠানের কথা মনে পড়ে। তিনি বেশ কিছুদিন কলকাতায় ছিলেন স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য।আমি সে সময়ে কাকাকে একটি চিঠি লিখেছিলাম। তিনি মেহেরপুরে এসে ভৈরব সাহিত্য অনুষ্ঠানে সেই চিঠি পড়ে শুনিয়েছিলেন এবং আমার প্রশংসা করেছিলেন। এডভোকেট পল্লব ভট্টাচার্য তরুণ আমার ঘনিষ্ট বন্ধু। একসাথে পড়েছি এবং বড় হয়েছি। অসংখ্য বার তাদের বাড়ি গেয়েছি। কাকার সাথে তাই বার বার দেখা হতো। তিনি ছিলেন একজন প্রচারবিমুখ মানুষ। যিনি ছিলেন মিষ্টভাষী, সদালাপী ও বিনয়ী একজন মানুষ। অত্যন্ত সহজ সরল জীবন যাপন করেন। সাইকেলে চড়েই তিনি এখানে ওখানে চলফেরা করতেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অনেক বিপদ-আপদ কাটিয়ে এগিয়ে চলেছেন। ২১ফেব্রুয়ারি ২০২০ মেহেরপুরে শহীদ ড. শামসুজ্জোহা পার্কে জেলা প্রশাসনের পক্ষ খেকে গোপাল ভট্টাচার্যসহ চারজন ভাষা সৈনিককে সম্মাননা প্রদান করা হয়। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২০ উপলক্ষে আয়োাজিত ভাষা সৈনিকদের সংবর্ধনা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। অনুষ্ঠানে মেহেরপুরের চারজন ভাষা সৈনিককে সম্মাননা প্রদান করা হয়। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী এ সময় সম্মাননাপ্রাপ্তদের উত্তরীয় পরিয়ে দেন। সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন: ননী গোপাল ভট্টাচার্য, ইসমাইল হোসেন, সিরাজুল ইসলাম ও গোলাম কাওসার। গত ২৭ জুন ২০১৪ মেহেরপুরে ননী গোপাল ভট্টাচার্যসহ পাঁচ গুণী শিল্পীকে সংবর্ধনা দিয়েছে মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি। সংবর্ধিতরা হলেন- শ্রী ননী গোপাল ভট্টাচার্য, আবুল হাসনাত দীপু, মশিউজ্জামান বাবু, দৌলত হোসেন ও আশরাফ মাহমুদ। সংবর্ধিতদের প্রত্যেককে নগদ ১০ হাজার টাকা, পদক, সনদ ও উত্তরীয় প্রদান করা হয়। ননী গোপাল ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জন প্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর-১ আসনের এমপি অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন। জন প্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের পক্ষে জেলা প্রশাসক আতউল গনি ননী গোপাল ভট্টাচার্যের হোটেল বাজারস্থ বাস ভবনে উপস্থিত হয়ে শোক সন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন। সর্বজন শ্রদ্ধেয় ননীগোপাল বাবুর মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। শোকাভিভূত মেহেরপুরের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনসহ সর্বন্তরের মানুষ। তার মহাপ্রয়াণে মেহেরপুরের সংস্কৃতি অঙ্গনে যে শূন্যতা সৃষ্টি হলো, তা অপূরণীয়। তিনি অসাম্প্রদায়িক সাংস্কৃতিক বিপ্লবের যে আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।এই আদর্শকে এগিয়ে নিয়ে যেতে মেহেরপুরের নতুন প্রজন্মকে দায়িত্ব নিতে হবে। তাঁর রচিত ছড়া ও কবিতাগুলো গ্রন্থাকারে প্রকাশের ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা তার আত্মার চিরশান্তি কামনা করি এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি জানাই গভীর সমবেদনাSlider
বিশ্ব
জাতীয়
সাম্প্রতিক খবর
খেলাধুলা
বিনোদন
ফিচার
mujib
w
যাবতীয় খবর
জিওগ্রাফিক্যাল
ফেসবুকে মুজিবনগর খবর
Mujibnagar Khabor's Admin
We are.., This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Labels
- Advertisemen
- Advertisement
- Advertisementvideos
- Arts
- Education
- English News
- English News Featured
- English News lid news
- English News national
- English News news
- English Newsn
- Entertainment
- Featured
- games
- id news
- l
- l national
- li
- lid news
- lid news English News
- lid news others
- media
- national
- others
- pedia
- photos
- politics
- politics English News
- t
- videos
- w
- world
- Zilla News
No comments: