ডলার নিয়ে কারসাজি করলে লাইসেন্স বাতিল
চলমান ডলার সংকটের সময় ডলার নিয়ে কেউ কারসাজি করলে মানি এক্সচেঞ্জের লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আজ বৃহস্পতিবার ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম।
মুখপাত্র বলেন, চলমান ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণ জানতে গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০টি টিম মানি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোতে অভিযান পরিচালনা করেছে। এ সময় কিছু অনিয়ম চোখে পড়েছে। কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ডলার নিয়ে কারসাজির প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের সাথে সাক্ষাৎ শেষে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ডলার নিয়ে যারা কারসাজি করেছেন বা করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ছাড়া ঋণের বিপরীতে সুদের হার তুলে নেওয়ার যে কথা বলা হচ্ছে, তা আপাতত তুলে না নিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরকে অনুরোধ করা হয়েছে।
জসিম উদ্দিন বলেন, আমরা শুনছি অনেকে এখন শেয়ারবাজারের মতো ডলার কেনাবেচা করছে। ডলার কিনে বাজারে সংকট সৃষ্টি করছে। এটি বন্ধ করার দাবি জানিয়েছি আমরা।
এদিকে আমদানি বেড়ে যাওয়া ও প্রবাসী আয় কমার কারণে দেশে ডলারের চরম সংকট সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দিন দিন বাড়ছে দাম। অপরদিকে ডলারের বিপরীতে পতন হচ্ছে টাকার মান। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করেছে ৯৪ টাকা ৭০ পয়সা দরে। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক আজ সরকারি আমদানি বিল মেটাতে এই দরে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করেছে।
নিয়ম অনুযায়ী, এটাই ডলারের আনুষ্ঠানিক দর। এক দিন আগেও এ দাম ছিল ৯৪ টাকা ৪৫ পয়সা। মের শুরুর দিকে এ দর ছিল ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সায়। এ হিসাবে দেড় মাসের ব্যবধানে টাকার মান কমেছে ৮ টাকা ২৫ পয়সা। তবে খোলাবাজার থেকে এক ডলার বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা থেকে ১১১ টাকায়। সোমবার ছিল ১০৬ থেকে ১০৮ টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ব্যাংকে নগদ ডলার ১০৬ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। এর আগে গত রোববার খোলাবাজারে দর ছিল ১০৫ টাকা। এ বাজারে প্রথমবারের মতো ১০০ টাকার ঘর পেরিয়ে যায় গত ১৭ মে। এরপর আবার কমে। গত ১৭ জুলাই ফের ১০০ টাকা অতিক্রম করে ডলারের দাম।
Tag: English News lid news national
No comments: