Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » ইউক্রেন যুদ্ধের শেষ কোথায়




ইউক্রেনে রুশ অভিযানের ছয় মাস পেরিয়েছে। এখনো যুদ্ধ শেষ হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। দু-পক্ষের মধ্যে প্রতিদিনের মতো হামলা, পাল্টা হামলা অব্যাহত রয়েছে। ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণের বেশির ভাগ অংশই এখন রাশিয়ার দখলে। আজভ সাগর ও কৃষ্ণসাগর বন্দরে আমদানি-রফতানি নিয়ন্ত্রণ করছে তারা। রাশিয়া পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় ভুগছে। অন্যদিকে ইউক্রেন পশ্চিমা সমর্থনে রয়েছে। আবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যে যুদ্ধ থামাবেন–সেই সম্ভাবনাও নেই। ইউক্রেন যুদ্ধের শেষ কোথায় চলমান যুদ্ধে রাশিয়া-ইউক্রেন উভয় পক্ষের জীবন ও মালের ক্ষতি হলেও তারা কেউ যুদ্ধবিরতি বিবেচনা করছে না। ইউক্রেনীয়রা বিশ্বাস করে, এটি তাদের জাতিত্ব রক্ষার লড়াই। অপরদিকে রাশিয়ার যুদ্ধে নামার সিদ্ধান্তকে ‘ঐতিহাসিক ভুল’ মানতে নারাজ পুতিন। মস্কোভিত্তিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক কনস্ট্যান্টিন কালাচেভ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, এমন পরিস্থিতিতে কেউ জিততে পারে না। এই ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বছরের পর বছর চলতে পারে। তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনকে পরাজিত করে রাশিয়া জয়ের আশা করছে। সময় এখন ইউক্রেনের পক্ষে নেই। ইউক্রেনের অর্থনীতি ভেঙে পড়তে পারে। ইউরোপিয়ান কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্সের একজন পরিচালক মারি দুমলিউন বলেছেন, ইউক্রেনের প্রতি পশ্চিমাদের জোরালো সমর্থন তাদের (রাশিয়া-ইউক্রেন) যুদ্ধবিরতিতে যাওয়া কঠিন করে তুলবে। তিনি বলেন, দুই পক্ষই মনে করে, তাদের সামরিক সক্ষমতা আছে, তাই এই যুদ্ধ শিগগিরই শেষ হওয়ার সম্ভাবনা কম। আরও পড়ুন: অনিশ্চয়তায় বিশ্ব, চীন কি যুদ্ধে জড়াবে? ন্যাটোর বিস্তার ঠেকাতে রাশিয়া প্রতিরোধস্বরূপ ইউক্রেনে অভিযান চালিয়েছে। ওদেসা বন্দরের রফতানি বন্ধ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-ঘনিষ্ঠ ইউক্রেনকে শাস্তি দিতে পারে রাশিয়া। এই যুদ্ধে রাশিয়ার বিরুদ্ধে বা রাশিয়ার ‘পরাজয়’ ঘটতে পারে–এমন যেকোনো পরামর্শকে অগ্রহণযোগ্য করে তুলেছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আরও কৌশলগত সাফল্য পেতে পারেন, যেমন গত এপ্রিলে মস্কভা ক্ষেপণাস্ত্র ক্রুজার ডুবে যাওয়া, বা কিছু এলাকা পুনরুদ্ধার করার জন্য পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করতে পারেন। দুমলিউন বলেন, এ জন্য জেলেনস্কি তার সেনা, সমাজ ও পশ্চিমা মিত্রদের সমর্থন ও সহযোগিতা পেতে পারেন। ইউক্রেন কি যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারবে? ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হার্ডওয়্যার ও গোয়েন্দা তথ্য বলছে, দোনবাস ও কৃষ্ণ সাগরে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ইউক্রেনীয় বাহিনী ধীর প্রতিরোধে রয়েছে, তবে তারা থামেনি। এর ফলে রুশ বাহিনী ওই অঞ্চলে তার অবস্থানকে সুসংহত করছে। আট বছর আগে ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করার পর সেখানে রাশিয়া সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত আরও উন্নত ও শক্তিশালী অস্ত্রের জন্য জেলেনস্কির আবেদন ব্যর্থ হয়েছে। প্যারিসের ফ্রেঞ্চ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনসের একজন গবেষণা ফেলো দিমিত্রি মিনিক বলেছেন, ইউক্রেনের জনগণ এখন পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধ এবং সরকারকে সমর্থন করছে। কিন্তু পশ্চিমারা ইউক্রেনকে কতটা সাহায্য করবে–এটির ওপর তাদের সমর্থন নির্ভর করছে। আরও পড়ুন: যুদ্ধ থামার নামই নিচ্ছে না কেউ ঠান্ডা মৌসুমে ইউক্রেনীয়রা তাদের দৃঢ়তা কতটা ধরে রাখতে পারে, সেটিও দেখার বিষয়। যদি জ্বালানি সংকট, বিদ্যুৎ সংকট বা অন্য কোনো বড় সংকটে পড়তে হয়, বিশেষ করে যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বাড়ে, তাহলে ইউক্রেনকে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে। দুমলিউন উল্লেখ করেন, আগামী সেপ্টেম্বরে ইউক্রেনে পুনরায় ক্লাস শুরু হলেও ৪০ শতাংশ স্কুল বন্ধ থাকবে। এটা শিক্ষার্থীদের মানসিক ক্ষতি করবে। ইউক্রেন যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারবে কি না–এ প্রসঙ্গে দুমলিউন বলেন, শীত সহ্য করার ক্ষমতার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করবে, বিশেষ করে যারা সম্মুখযোদ্ধা। তবে পরিস্থিতি কঠিন হতে চলেছে। রাশিয়ার অর্থনীতি কি চলবে? ইউক্রেনের প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে মস্কোর ভুল হিসাবনিকাশ সত্ত্বেও আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, রাশিয়া যুদ্ধের জন্য মূল্য দিতে প্রস্তুত। ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্ররা রাশিয়ার তেল ও গ্যাস বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। তারা চেয়েছিল, এতে রুশ অর্থনীতিকে শ্বাসরোধ করা যাবে। এমনকি রাশিয়া থেকে সমস্ত লেনদেন ও ব্যবসা-বাণিজ্য সীমিত করে ফেলে। কিন্তু ম্যাক্রো-অ্যাডভাইজরি কনসালটেন্সির রুশ বিশ্লেষক ক্রিস ওয়েফার বলেন, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়ার জ্বালানি ও অন্য পণ্য বাণিজ্যে তাদের প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে। ক্রিমিয়া দখলের পর থেকে সাধারণ রাশিয়ানদের নিষেধাজ্ঞা সহ্য করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তুরস্ক ও এশিয়ায় শিল্প উপাদান ও অন্যান্য উপকরণের জন্য অপার সম্ভাবনা পেয়েছে রুশ সরকার। আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্যকে কেন পাশে পেল না যুক্তরাষ্ট্র ওয়েফার বলেন, রুশ অর্থনীতি, শিল্প ও জনগণ আট বছর ধরে নিষেধাজ্ঞা মোকাবিলা করছে। নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে তারা খাপ খেতে পেরেছে। তাই দেশটি ও এর জনগণ যেকোনো ধাক্কা সামলানোর জন্য প্রস্তুত ও স্বনির্ভর ছিল। তবে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রভাব আগামী বছরগুলোতে কঠোরভাবে পড়তে পারে। কারণ, রাশিয়া যুদ্ধে প্রচুর অর্থ খরচ করছে এবং বৈদেশিক সংস্থাগুলো তাদের সতর্ক করছে। কালাচেভ আশঙ্কা করছেন, ‘আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আমরা নিষেধাজ্ঞার সম্পূর্ণ প্রভাব অনুভব করতে যাচ্ছি।’ সম্ভাব্য ফলাফল কী? ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ চলবে কি না, তা পশ্চিমের সমর্থনের ওপর অনেকাংশে নির্ভর করছে। কিছুটা নির্ভর করছে জ্বালানি ও খাদ্যের দামের ওপর। এ ছাড়া আগামী শীতকাল ও ২০২৩ সালে এ যুদ্ধ অনিশ্চয়তায় ডুবতে পারে। দুমলিউন বলেন, সম্ভবত এমন একটি সময় আসবে যখন পশ্চিমা নেতারা মনোযোগ সরিয়ে নেবেন, সে মুহূর্তে পুতিন পশ্চিমাদের তার শর্তে যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ইউক্রেনকে চাপ দিতে বাধ্য করবেন। আরও পড়ুন: রাশিয়াকে অবিলম্বে কীভাবে থামানো যাবে আপাতত ইউক্রেনীয় সেনাদের ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা নেই। কোনো অঞ্চল হাতছাড়া হোক–এমন কোনো আলোচনায়ও বসবেন না ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। যদি পশ্চিমারা ইউক্রেনকে সাহায্য ও অস্ত্র দিতেই থাকে, তাহলে রাশিয়ার সামরিক খরচ বাড়তে থাকবে। এর ফলে পুতিনের জনসমর্থন হুমকিতে পড়তে পারে। রাশিয়ার বড় কয়েকটি শহরে পশ্চিমাবিরোধী আখ্যানের আধিপত্য কম। আগামী ২০২৪ সালে রুশ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যার প্রভাব পড়তে পারে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply