সোমালিয়াতে হোটেলে জঙ্গি হামলা, ১০ বেসামরিক নাগরিক নিহত

সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুর একটি হোটেলে দুটি আত্মঘাতী গাড়িবোমা বিস্ফোরণ ঘটানোর পর সেটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে হামলাকারীরা। জঙ্গি হামলায় কমপক্ষে আটজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। খবর এএফপির। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৯ আগস্ট) মোগাদিসুর হায়াত হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নিরাপত্তা বাহিনী। বিস্ফোরণে এ পর্যন্ত নয়জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এদিকে হামলার পরপরই এক বিবৃতিতে এর দায় স্বীকার করেছে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট আল-শাবাবা গ্রুপ। এ ঘটনার পর নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আব্দিকাদির জানান, ‘শনিবার (২০ আগস্ট) ওই ভবনের ভেতরে থাকা জঙ্গিদের সঙ্গে সোমালি বাহিনীর লড়াই অব্যাহত রয়েছে।’ আব্দিকাদির বলেন, ‘নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। তাদের ওই হোটেল ভবনের একটি কক্ষে ঘেরাও করে রাখা হয়েছে। সেখান থেকে অধিকাংশ লোকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে জঙ্গি হামলায় এখন পর্যন্ত ১০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।’ আরও পড়ুন: সোমালিয়ায় ফের মার্কিন সেনা মোতায়েনের নির্দেশ আল-কায়েদা সম্পৃক্ত আল-শাবাবের স;দস্যরা শুক্রবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় সোমালিয়ার জনপ্রিয় হায়াত হোটেলে ভয়াবহ হামলা চালায়। তারা সেখানে বেপরোয়া গুলিবর্ষণ করে ও একের পর এক বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। আব্দিকাদির এএফপিকে বলেন, ‘নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ওই ভবনে আটকেপড়া শিশুসহ অনেক বেসামরিক নাগরিককে নিরাপদে উদ্ধার করেছে।’ আরও পড়ুন: সোমালিয়ায় আল শাবাবের হামলায় শিশুসহ নিহত ৫ হোটেলটি এখনো অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। ওই এলাকা থেকে বিক্ষিপ্ত গুলি এবং বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। হোটেলের ভেতরে আটকে থাকা স্বজনদের সন্ধানে হোটেলটির বাইরে অনেক মানুষকে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। সোমালিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট হাসান শেখ মোহাম্মাদ গত মে মাসে নির্বাচিত হওয়ার পর মোগাদিসুতে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনা।