Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » রানি এলিজাবেথের জীবনযাপন যেন রূপকথা




রানি এলিজাবেথের জীবনযাপন যেন রূপকথা

রানি এলিজাবেথের জীবনযাপন যেন রূপকথার কোনো গল্প। বেশভূষা, জীবনযাপন সবকিছুতেই নিজস্ব স্টাইল ছিল রানির। রাশভারী ও কঠিন ব্যক্তিত্বের মনে হলেও, যারা কাছ থেকে দেখেছেন তাদের কাছে তিনি ছিলেন অন্য এক এলিজাবেথ। ব্যক্তি জীবনে ছিলেন প্রচণ্ড হাসিখুশি এক মানুষ। পশুপাখির প্রতি ছিল তার অগাধ ভালোবাসা, আগ্রহ ছিল খেলাধুলার প্রতিও। উজ্জ্বল একরঙা পোশাক, তার সাথে মিলিয়ে গ্লাভস ও হ্যাট, দামি রত্নের দুল, হার ও ব্রোচ, গ্লাভস আর ব্লক হিলের জুতো বা বুট, জমকালো হ্যান্ডব্যাগ। কখনও বা রঙিন স্কার্ফ। দশকের পর দশক এমন সাজপোশাকেই দেখা গেছে রানি এলিজাবেথকে। স্কার্ট, কোট বা এক ছাটের ফ্রকে ছিল বৈচিত্র্যময় কাট। জায়গা আর উপলক্ষ্যভেদে পোশাকের রং বাছাই করতেন রানি। অফিসিয়াল ভিজিটে লাল, উজ্জ্বল নীল বা কমলা রংয়েই বেশি দেখা গেছে রানিকে। নাতি উইলিয়ামের বিয়েতে হলুদ আর হ্যারির বিয়েতে পরেছিলেন গাঢ় সবুজ পোশাক। আবার ঘোড়দৌঁড়ের সময় ব্যবহার করতেন বেগুনি ও গোলাপি রং। থিমভিত্তিক ব্রোচের বিশাল সংগ্রহ ছিল রানির। আধুনিক ফ্যাশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রানি জানতেন, কীসে তাকে ভালো লাগবে। যেকোনো উপলক্ষ্যে মানানসই আউটফিট নিয়ে খুব ভালো ধারণা রাখতেন। সিগনেচার স্টাইল তৈরি করেছিলেন তিনি। রাজত্বের শুরুর দিকে রয়্যাল ডিজাইনার হার্ডি অ্যামিস ও নরম্যান হার্টনেল ডিজাইন করতেন রানির পোশাক। এলিজাবেথের বিয়ে ও রাজ্যাভিষেকের আউটফিটের ডিজাইনও করেছিলেন তারা। পরবর্তীকালে তার ব্যক্তিগত সহকারী, উপদেষ্টা অ্যাঞ্জেলা কেলি তার পোশাক পরিকল্পনা করতেন। সাধারণ ও স্বাস্থ্যকর খাবার পছন্দ করতেন রানি। ৯৬ বছরের সুস্থ জীবনের পেছনে রানির খাদ্যভ্যাসকে দেখা হয় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে। ২০ জন বাবুর্চির তৈরি করা খাবার থাকতো রানির ডাইনিংয়ে। দিন শুরু হতো চিনি ছাড়া আর্ল গ্রে চা আর চকলেটের কোটিং দেয়া কুকিজ দিয়ে। দুপুর ও রাতের মেন্যুতে পছন্দ ছিল পালং শাক দিয়ে স্যামন মাছ, গ্রিলড চিকেন, সালাদ। সারা জীবনই খেলাধুলার প্রতি বিশেষ আগ্রহ ছিল রানির। ঘোড়দৌঁড়ের উত্তেজনা উপভোগ করতে বহুবার গিয়েছেন রেসকোর্সে। নিজেও ঘোড়ার সওয়ার হতে পছন্দ করতেন। পশুপাখির প্রতি রানির ভালোবাসা সর্বজনবিদিত। শৈশব থেকেই কুকুর ছিল তার সঙ্গী। ১৮ বছর বয়সে উপহার পান সুসান নামের কর্গি প্রজাতির এক কুকুর। সুসানের বংশধরেরা হয়ে ওঠে ব্রিটিশ রাজপরিবারের পরিবারের অংশ। বিভিন্ন সময় ৩০টি কুকুরের কথা জানা যায়, যারা রানির সাথেই প্রাসাদ থেকে প্রাসাদে ঘুরে বেড়াতো। রানির মৃত্যুর সময়ও তার চারটি কুকুর ছিল। জনসমক্ষে হয়তো ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের রানিকে ভারিক্কি এক মানুষ বলে মনে হতো। তবে কাছ থেকে যারা চিনতেন তাদের বর্ণনায় পাওয়া যায় রানির প্রচণ্ড রসবোধের দিকটি। এলটন জন তার জীবনীতে লিখেছিলেন রানির হাস্যরসের কথা।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply