Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থিদের সহযোগিতা বাড়ানোর ইঙ্গিত যুক্তরাষ্ট্রের




মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী ও গণতন্ত্রপন্থি শক্তির পক্ষে সমর্থন ও সহযোগিতা বাড়াবে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এমনটাই ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী শক্তিকে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিভিন্ন উপায় পর্যালোচনা করছে ওয়াশিংটন। মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতির এক প্রতিবেদনে এ খবর দেয়া হয়েছে। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে (২১ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে মিয়ানমারের বেসামরিক সরকার ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্টের (এনইউজি) এক প্রতিনিধি দল ও সশস্ত্র সংগঠনগুলোর (এথনিক আর্মড অর্গানাইজেশনস-ইএও) নেতাদের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাউন্সেলর ডেরেক চোলেট। মিয়ানমারে গত বছর অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর এনইউজি নামে একটি বেসামরিক ছায়া সরকার গঠন করে গণতন্ত্রপন্থিরা। একই সঙ্গে দেশটির বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের নিয়ে একটি সশস্ত্র বাহিনীও গড়ে তোলে। এরপর গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে মিয়ানমার জান্তার উৎখাতে লড়াই করছে এ সরকার। এদিন এনইউজি ও তাদের সশস্ত্র সংগঠনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরকারি পর্যায়ের প্রথম কোনো বৈঠকে বসে যুক্তরাষ্ট্র। বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা ডেরেক চোলেটের বিপরীতে উপস্থিত ছিলেন এনইউজির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মানবাধিকার বিষয়ক মন্ত্রীসহ আরও কয়েকজন মন্ত্রী। এরপর শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দ্য ইরাবতিকে ওই বৈঠকে আলোচিত বিভিন্ন বিষয় ও মিয়ানমারে চলমান সংকটে যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা নিয়ে একটি সাক্ষাৎকার দেন ডেরেক চোলেট। আরও পড়ুন: মিয়ানমারের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞার তাগিদ জাতিসংঘের সাক্ষাৎকারে এ কর্মকর্তা বলেন, ‘এনইউজি ও ইএও প্রতিনিধিদের সঙ্গে এটাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কোনো সরকারি বৈঠক। বৈঠকে ছায়া সরকারের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ছিলেন। মিয়ানমারে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই চলছে। একই সঙ্গে সেখানকার ক্রমবর্ধমান সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সচেষ্ট রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বৈঠকটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’ চোলেট বলেন, ‘বৈঠকে আমরা মিয়ানমারে চলমান গণতন্ত্রপন্থিদের আন্দোলনের পক্ষে সমর্থন ও সহযোগিতা বাড়াতে একাধিক উপায় নিয়ে কথা বলেছি। গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনের প্রতিনিধিরা আমাদের স্পষ্ট করেই বলেছিলেন, আগামী বছর জান্তা সরকার যে নির্বাচন আয়োজন করবে বলে বলছে, সেটা আসলে একটা প্রহসনের নির্বাচন হতে যাচ্ছে। বিষয়টার দিকে নজর রাখতে যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে প্রতিনিধি দল।’ তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আমরা আমাদের অবস্থান পরিস্কার করেছি এবং আমরা একমত যে, ওই নির্বাচন কখনও অবাধ ও সুষ্ঠু হতে পারে না। আমরা ওই নির্বাচনে কোনো সমর্থন না দেয়ার গুরুত্ব নিয়েও কথা বলেছি।’ সাক্ষাৎকারে চোলেট আরও জানান, ওই বৈঠকের পরপরই মিয়ানমার পরিস্থিতি আলোচনার জন্য আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে আরও একটি বৈঠক আয়োজন করা হয়। তিনি বলেন, ‘প্রায় এক ডজন দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে ওই বৈঠকেও আমি এটা স্পষ্ট করেছি যে, জান্তার অধীনে ওই নির্বাচন আসলেই সুষ্ঠু ও অবাধ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই এবং তার কারণও স্পষ্ট। দেশটির বেশিরভাগ অংশেই এখন চরম সংঘাত চলছে এবং দেশের মাত্র অর্ধেক অংশ সামরিক সরকার নিয়ন্ত্রণ করছে।’ আরও পড়ুন: মিয়ানমারের সাবেক দুই সেনা কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি মিয়ানমার বিষয়ে একই সুর তোলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। গত বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে নিজের ভাষণে মিয়ানমার পরিস্থিতি তুলে ধরেন তিনি। চোলেট বলেন, দেশটিতে জান্তা সরকারের অধীনে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকারী ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর চরম নির্যাতন ও নিপীড়ন চলছে






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply