ইমরানপন্থি সেই সাংবাদিককে হত্যা করলো কেনিয়ার পুলিশ

কেনিয়াতে পাকিস্তানের এক স্বনামধন্য সাংবাদিক আরশাদ শরীফ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। রোববার রাতে নাইরোবি-মাগাদি মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশটির গণমাধ্যম স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ভুলবশত তাকে অন্য আরেকজন মনে করে গুলি করেছে পুলিশ। কেনিয়ার পুলিশ ওয়াচডগ দ্য ইনডিপেনডেন্ট পুলিশ ওভারসাইট অথরিটি (ইপোয়া) জানিয়েছে, ঘটনার পরপরই একটি দলকে কাজিয়াদো কাউন্টিতে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। ইপোয়ার চেয়ারপারসন অ্যান মাকোরি সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশের হাতে পাকিস্তানি নাগরিকের মৃত্যুর বিষয়টি তদন্ত করা হবে। Google News Channel24 অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন পুলিশের প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশ ভুলবশত মনে করেছিল, শরীফ যে গাড়িতে ছিলেন, তা চুরি হওয়া গাড়ি ছিল। পুলিশ গাড়িটিকে থামাতে ব্যর্থ হয়ে গাড়িটিকে লক্ষ্য করে গুলি করে। ইমরান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর একের পর এক মামলা ও হয়রানির শিকার হয়ে দেশ ছাড়ার কয়েক মাসের মাথায় তাকে হত্যা করা হলো। সবশেষ তিনি নওয়াজ শরীফ পরিবারের দুর্নীতি নিয়ে বিহাইন্ড ক্লোজড ডোরস নামে একটি ধারাবাহিক প্রতিবেদন তৈরি করছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, এই প্রতিবেদনের কাজে কেনিয়ায় যাবার পর তিনি নিহত হলেন। খবরে বলা হয়, গত মে মাসে ৪৯ বছর বয়সী এই সাংবাদিক দেশ ছাড়েন। কেনিয়া আসার আগে তিনি যুক্তরাজ্য ও দুবাইয়ে ছিলেন। পূর্ব আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায় তিনি কী করতেন, তা স্পষ্ট নয়। এ ঘটনায় পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশন বলেছে, সাংবাদিকদের স্তব্ধ করার জন্য সহিংস কৌশলের একটি দীর্ঘ এবং ভয়াবহ রেকর্ডের ধারাবাহিকতাতেই আরশাদ শরিফকে হত্যার ঘটনা ঘটল। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফও টুইট করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তথ্যমন্ত্রী মরিয়াম আওরঙ্গজেব দেশটির জনসাধারণকে এই মৃত্যুকে ঘিরে নিজেদের মতো করে কিছু না ভেবে নেয়ার জন্য সতর্ক করেছেন। অন্যদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এ ঘটনার সঠিক বিচারিক তদন্ত দাবি করেছেন। তিনি এ ঘটনাকে ‘হত্যা’ অভিহিত করে বলেছেন, ‘সত্য বলার জন্য চূড়ান্ত মূল্য দিতে হলো’। প্রসঙ্গত, আরশাদ শরীফ পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর কড়া সমালোচক এবং ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বড় সমর্থক ছিলেন।