রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের তীব্রতা যখন বাড়ছে ঠিক সেসময় ভার্চুয়াল বৈঠক করছেন জি৭ জোটের নেতারা। এই বৈঠকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুক্ত হয়ে তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে আরও অত্যাধুনিক অস্ত্র দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। খবর আল আরাবিয়ার।
সম্প্রতি রাশিয়া-ক্রাইমিয়ার মধ্যে একমাত্র সংযোগ সেতুতে গত ৮ অক্টোবর ট্রাক বিস্ফোরণের ঘটনার পর প্রতিশোধ নিতে ইউক্রেনে হামলার তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া। পুতিন অভিযোগ করেছেন, ইউক্রেন ওই সেতুতে হামলায় জড়িত। বিস্ফোরণে সেতুর একটি অংশ ধসে গিয়েছে। এরই জেরে সোমবার (১০ অক্টোবর) রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে তীব্র ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া।
রাশিয়ার হামলায় জাপোরিঝিয়া ও লভিভের অর্ধেকাংশ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এ হামলায় ইউক্রেন জুড়ে অন্তত ১৯ জন নিহত হয় বলে জানা গেছে। এরপর মঙ্গলবারের (১১ অক্টোবর) হামলায় একজন নিহত হয়েছে।
এমতাবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আকাশ সুরক্ষা ব্যবস্থা চেয়েছেন জেলেনস্কি।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার হামলায় একদিনেই যেন মৃত্যুপুরী ইউক্রেন
হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে ইউক্রেনকে সহায়তা করতে আর কী কী করা যায় তা নিয়ে আলোচনার জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং জি৭ এর অন্যান্য নেতারা মঙ্গলবার জরুরি ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। এরইমধ্যে ইউক্রেনকে আরও আকাশ সুরক্ষা অস্ত্র দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাইডেন।
এদিকে বাইডেনের এই প্রতিশ্রুতি নিশ্চিতভাবেই যুদ্ধের বিস্তৃতি ঘটাবে বলে সতর্ক করেছেন ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এই সম্মেলনের উদ্দেশ্য ইতোমধ্যে সুস্পষ্ট এবং অনুমানযোগ্য। এ কারণে এই সংঘর্ষ চলতেই থাকবে।
আরও পড়ুন: একযোগে ইউক্রেনে ৮৪ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ১৪
জানা যায়, বৈঠকে জি৭ নেতারা ইউক্রেনে রাশিয়ার তীব্র ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কড়া নিন্দা জানিয়ে এর জন্য দায়ী রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনসহ অন্যান্যদের জবাবদিহি করানোর অঙ্গীকার করেছেন।
বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেছেন, নিরপরাধ মানুষের ওপর নির্বিচারে হামলা যুদ্ধাপরাধের সামিল।
জি৭ বৈঠকে নেতারা সম্মিলিতভাবে রাশিয়ার ওপর আরও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে বলে জানান। একইসঙ্গে ইউক্রনে পুতিনের হামলাকে সমর্থন না করার জন্য বেলারুশ কর্তৃপক্ষকেও আহ্বান জানান তারা।
No comments: