ইরানের বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইলের হাত আছে: খামেনি
ইরানে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলমান বিক্ষোভ ও দাঙ্গার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলকে অভিযুক্ত করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। তিনি বলেছেন, ইরানের অগ্রগতি থামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে এ দুই দেশ।
সোমবার (৩ অক্টোবর) বিক্ষোভ নিয়ে প্রথমবারের মতো এ মন্তব্য করেন তিনি।
গত মাসের মাঝামাঝি (১৩ সেপ্টেম্বর) ভাল করে হিজাব না পরায় মাহসা আমিনি নামে ২২ বছরের এক তরুণীকে আটক করে ইরানের নৈতিকতা পুলিশ। এরপর পুলিশ হেফাজতে তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে ইরানজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসেন হাজার হাজার নারী।
ইরানের এ বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৩৩ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে নরওয়েভিত্তিক সংস্থা ইরান হিউম্যান রাইটস। তাদের মধ্যে ৪১ বিক্ষোভকারীও রয়েছেন যারা আদিবাসী বালুচ সম্প্রদায়ের।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম বলছে, বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ৪০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যও রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে ৯ মাসে শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত
বিক্ষোভের ব্যাপারে শুরু থেকেই একেবারে চুপ ছিলেন ইরানের ৮৩ বছর বয়সী সর্বোচ্চ নেতা খামেনি। প্রায় দুই সপ্তাহ পর সোমবার তেহরানে পুলিশ ইউনিভার্সিটিতে এক অনুষ্ঠানে বিক্ষোভ নিয়ে প্রথমবারের মুখ খোলেন তিনি।
বিক্ষোভকে ‘দাঙ্গা’ অভিহিত করে তিনি বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করেই বলছি, এই দাঙ্গা যুক্তরাষ্ট্র ও ইহুদিবাদী ইসরাইলের ষড়যন্ত্র। এছাড়া এর পেছনে রয়েছে তাদের টাকায় কেনা গোলামরা। আর বিদেশে থাকা ইরানি কিছু বিশ্বাসঘাতক তাদের সহযোগিতা করছে'।
অনুষ্ঠানে ইরানের পুলিশ, সেনাবাহিনী ও ইসলামিক রিভোল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) প্রধানদের উপস্থিতিতে খামেনি আরও বলেন, যে ঘটনা ঘটেছে, একজন তরুণী মারা গেছেন। এ ঘটনা আমাদেরকেও ব্যথিতে করেছে। কিন্তু তদন্তের আগেই তার মৃত্যু নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখানো শুরু হলো'।
তিনি বলেন, ‘যখন কিছু মানুষ রাস্তায় নেমে এসে পরিস্থিতি অনিরাপদ করে তোলে, পবিত্র কোরআন পুড়িয়ে দেয়, আবৃত নারীর হিজাব টেনে খুলে ফেলে আর মসজিদ ও অন্যের গাড়ি জ্বালিয়ে দেয়, সেটাকে স্বাভাবিক প্রতিবাদ বা প্রতিক্রিয়া বলা যায় না'।
No comments: