মস্কোর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবি ইউক্রেনের

ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে রুশ হামলার নিন্দা জানিয়ে মস্কোর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবি জানিয়েছে ইউক্রেন। এ ছাড়া এ হামলা গণহত্যার শামিল বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ছবি: সংগৃহীত বিবিসি জানায়, ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে অব্যাহত আছে পুতিন বাহিনীর হামলা। রাশিয়ার সেনাদের অবিরাম গোলাবর্ষণে ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়েছে দেশটির বেসামরিক বিভিন্ন অবকাঠামো। রোববার (২৭ নভেম্বর) দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, কিয়েভে সামরিক অভিযান শুরুর পর মস্কোর সেনারা এখন পর্যন্ত ৩০ হাজারের বেশি বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। রাশিয়ার হামলায় জর্জরিত ইউক্রেনের বিভিন্ন জ্বালানি অবকাঠামোও। এতে বিদ্যুৎ ও পানি সংকটে ভুগছেন দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলের বাসিন্দারা। জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে রুশ সেনাদের অবিরাম হামলাকে গণহত্যার শামিল বলে উল্লেখ করেছেন জেলেনস্কি। কিয়েভ জানায়, এভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে ইউক্রেনীয় সেনাদের আত্মসমর্পণে বাধ্য করার চেষ্টা করছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মস্কোর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবি জানিয়েছে কিয়েভ। আরও পড়ুন: খাদ্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ জেলেনস্কির রাশিয়া নতুন করে ইউক্রেনজুড়ে ক্ষেপনাস্ত্র হামলার পরিকল্পনা করছে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়ে জেলেনস্কি বলেন, ‘সন্ত্রাসী দেশটি’ আবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরিকল্পনা করছে। তারা কোনোভাবেই শান্ত থাকবে না। তবে আমরা ইউক্রেনের নাগরিকদের সুরক্ষায় কাজ করে যাব। ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোগুলোতে রাশিয়ার হামলায় বিদ্যুৎব্যবস্থা বিপর্যস্ত হওয়ায়, এবার শীতে কিয়েভবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে পুতিনবাহিনীর অবিরাম গোলাবর্ষণ সত্ত্বেও ইউক্রেনে পর্যাপ্ত জ্বালানি রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির জ্বালানি সংস্থার প্রধান। এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দুর্ভিক্ষ ও খরার ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোতে শস্য রফতানির ঘোষণা দিয়েছে ইউক্রেন। কিয়েভের এ উদ্যোগের নাম দেয়া হয়েছে ‘গ্রেইন ফ্রম ইউক্রেন’।