Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » ৯ মাসে ইউক্রেনকে কত ডলার সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র?




ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে কিয়েভকে উদার হস্তে অর্থ সহায়তা দিয়ে চলেছে যুক্তরাষ্ট্র। অনেকেরই প্রশ্ন গত নয় মাসে ইউক্রেনকে কত ডলার দিলো প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন। এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট কোনো তথ্য নেই। সরকারের এক এক মন্ত্রণালয় এক এক তথ্য দিয়েছে। দীর্ঘদিন টানাপোড়েন চলার পর অবশেষে চলতি বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপরই দেশটির রাজধানী কিয়েভ অভিমুখে অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনীয় বাহিনী প্রতিরোধ শুরু করলে শুরু হয় সংঘাত। এরপর প্রায় গত ৯ মাস ধরে সেই সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। এই অভিযানে ইতোমধ্যে খেরসন, ঝাপোরিজ্জিয়া, দনেৎস্ক ও লুহানস্ক— ইউক্রেনের এই চারটি প্রদেশ নিজেদের সীমানাভূক্ত করেছে রাশিয়া। শতকরা হিসেবে দেশটির মোট ভূখণ্ডের তুলনায় এই চার প্রদেশের আয়তন ১৫ শতাংশ। যুদ্ধের শুরু থেকেই ইউক্রেনকে আর্থিক ও সমরাস্ত্র সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা। ইউরোপের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার পরিমাণ অবশ্য অনেক বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি তথ্যমতে, চলতি মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত সামরিক ও বেসামরিক সহায়তা মিলিয়ে ইউক্রেনকে ২০ বিলিয়ন ডলারের মতো সরবরাহ করা হয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলছেন, এখন পর্যন্ত ১৮.৬ বিলিয়ন সামরিক সহায়তা দেয়া হয়েছে। তবে বেসরকারি হিসাব মতে, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গত ৯ মাসে কিয়েভকে প্রায় ৬৮ বিলিয়ন দেয়া হয়েছে। যেমনটা বলছেন সেন্টার ফর স্ট্রাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের (সিএসআইএস) ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি প্রোগ্রামের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা মার্ক এফ কানসিয়ান। সিএসআইএস’র ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ‘এইড টু ইউক্রেন এক্সপ্লেইনড ইন সিক্স চার্টস’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনের শুরুতেই কানসিয়ান বলেন, ইউক্রেনকে এখন পর্যন্ত মোট ৬৮ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আরও ৩৭.৭ বিলিয়ন ডলার সরবরাহের জন্য কংগ্রেসের কাছে আবেদন জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। খুব শিগগিরই এই সহায়তা প্যাকেজ নিয়ে আলোচনা শুরু করবে কংগ্রেস। আরও পড়ুন: রুশ হামলায় দিশেহারা ইউক্রেন কানসিয়ান জানান, ইউক্রেনের জন্য কংগ্রেস এখন পর্যন্ত তিনটি সহায়তা প্যাকেজ পাস করেছে। প্রথমবার ইউক্রেন অভিযান শুরুর কয়েক সপ্তাহ পরই তথা মার্চ মাসে পাস হয়। দেয়া হয় ১৩.৬ বিলিয়ন ডলার। এরপর দ্বিতীয় প্যাকেজ পাস হয় মে মাসে। সরবরাহ করা হয় ৪০ বিলিয়ন ডলার। এরপর গত সেপ্টেম্বর মাসে তৃতীয় ও সবশেষ প্যাকেজ পাস হয়। যার পরিমাণ ১৩.৭ বিলিয়ন ডলার। প্রেসিডেন্ট বাইডেন সরকার চলতি মাসের ১৫ নভেম্বর নতুন করে আরও ৩৭.৭ বিলিয়ন সহায়তা প্যাকেজের জন্য কংগ্রেসের কাছে আবেদন জানিয়েছে। পাস হলে মোট সহায়তার পরিমাণ দাঁড়াবে ১০৫.৫ বিলিয়ন ডলার। প্রধানত সামরিক, মানবিক সহযোগিতা ও অর্থনৈতিক সহায়তা হিসেবে এসব অর্থ দেয়া হচ্ছে। একই রকম তথ্য দিয়েছেন জেনেভা সেন্টার ফর সিকিউরিটি পলিসির নির্বাহী ফেলো আহমাদি আলিও। সম্প্রতি আল-জাজিরায় লেখা এক মতামত কলামে আলি জানান, ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পুরোদমে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর থেকে কিয়েভের জন্য ৬৮ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। এছাড়া চলতি মাসেই আরও ৩৭ বিলিয়ন ডলার অনুমোদন দিতে কংগ্রেসের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে। আরও পড়ুন: শরণার্থী সংকট / ইউক্রেনীয়দের আলিঙ্গন, এশীয়দের সঙ্গে নির্মম আচরণ একই তথ্য উঠে এসেছে মার্কিন লেখক ও অধিকারকর্মী এরিকা শেলবাইয়ের এক কলামেও। গত আগস্ট মাসে কাউন্টারপাঞ্চ ডট অর্গ প্রকাশিত এক কলাতে শেলবাই বলেন, যুক্তরাষ্ট্র একদিকে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগকে উপেক্ষা করছে; আরেকদিকে নিজের সমরশক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়তে ইউক্রেনকে প্রচুর অর্থ ও অস্ত্র সরবরাহ করছে। গত মে মাসে মার্কিন সিনেট ৮৬-১১ ভোটে ইউক্রেনের জন্য বাইডেনের ৪০ বিলিয়ন ডলার সাহায্যের প্যাকেজ পাস করে। এটা ছিল এর দুই মাস আগে ইউক্রেনের জন্য বাইডেন ঘোষিত ১৪ বিলিয়ন ডলারের অতিরিক্ত একটি প্যাকেজ। এই ৫৪ বিলিয়ন ডলার বিশ্বের অনেক দেশের বার্ষিক সামরিক বাজেটের কাছাকাছি বা তার চেয়েও বেশি। শেলবাইয়ের মতে, ২০২১ সালে ফ্রান্সের সামরিক বাজেট ছিল ৫৬.৬ বিলিয়ন ডলার; জার্মানির ছিল ৫৬ বিলিয়ন ডলার; জাপানের ৫৪.১ বিলিয়ন ডলার ও অস্ট্রেলিয়ার ৩১.৮ বিলিয়ন ডলার। যুক্তরাষ্ট্রের এসব সহায়তার সমালোচনা করে তিনি বলেন, `এমন নয় যে, ইউক্রেনই শুধু স্বাধীনতা রক্ষার সংগ্রাম করছে। বিশ্বে এ মুহূর্তে আরও বহু দেশ এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। কিন্তু তারা খুব কমই যুক্তরাষ্ট্রের মতো মোড়লদের নজর কাড়তে পেরেছে।' বাইডেন প্রশাসন কি নতুন করে আরও সহায়তা দিতে পারবে? যুক্তরাষ্ট্রের ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট হন জো বাইডেন। আর কংগ্রেসের উভয় কক্ষে নিয়ন্ত্রণ পায় তার দল ডেমোক্রেটিক পার্টি। কিন্তু দুই বছর পর চলতি মাসের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটরা কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু রিপাবলিকান পার্টির কাছে নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। রিপাবলিকানদের কাছে প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ হারানোয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাইডেনের ক্ষমতা কিছুটা কমবে। এতে ইউক্রেনকে মার্কিন সহায়তার ক্ষেত্রেও অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কারণ, কিয়েভকে উদারহস্ত সহায়তায় আপত্তি রয়েছে রিপাবলিকানদের। এ নিয়ে জেনেভা সেন্টার ফর সিকিউরিটি পলিসির নির্বাহী ফেলো আহমাদি আলি বলেন, প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে ডেমোক্র্যাটরা। এর মানে বাকি মেয়াদে অর্থাৎ আগামী দুই বছর বাইডেনের অনেক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে রিপাবলিকানরা। অভ্যন্তরীণ শাসনকার্য থেকে শুরু করে পররাষ্ট্রনীতিতেও একটি বিভক্ত সরকারের উল্লেখ্যযোগ্য প্রভাব পড়তে পারে। এসবের মধ্যে রয়েছে- ইউক্রেন থেকে শুরু করে চীন ও নিষেধাজ্ঞার মতো বিষয়গুলোও। আহমাদি আলি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত আর্থিক সহায়তার বিষয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দ্বিদলীয় সমর্থন ছিল। বৃহত্তর সমর্থন নিয়ে এ ধরনের সবচেয়ে বড় বরাদ্দ মে মাসে পাস হয়। ওই সময় প্রতিনিধি পরিষদের মাত্র ৫৭ জন সদস্য ‘না’ ভোট দিয়েছিলেন। অবশ্য এই আইনপ্রণেতাদের সবাই ছিলেন রিপাবলিকান। আরও পড়ুন: রাশিয়ার হামলাকে সন্ত্রাসের ফর্মুলা আখ্যা জেলেনস্কির আলি বলেন, ইউক্রেনকে আর্থিক ও সামরিকভাবে কীভাবে সমর্থন দেয়া হবে, তা নিয়ে রিপাবলিকান পার্টির মধ্যে থাকা গভীর বিভক্তি মধ্যবর্তী নির্বাচনের সময় প্রকাশ পায়। ওহাইও রাজ্য থেকে সিনেটর নির্বাচিত হয়েছেন রিপাবলিকান জেডি ভ্যান্স। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ এই মিত্র জোর দিয়ে বলেন, ‘শেষ নাগাদ ইউক্রেনে অর্থ সরবরাহ বন্ধ করা প্রয়োজন কংগ্রেসের।’ উগ্র ডানপন্থী ষড়যন্ত্রতত্ত্বে বিশ্বাসী নারী কংগ্রেস সদস্য মারজোরি টেলর গ্রিন। তিনি জর্জিয়া থেকে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে এক প্রচার শোভাযাত্রায় তিনি ঘোষণা করেছিলেন, ‘রিপাবলিকানদের অধীনে আর একটি পয়সাও ইউক্রেনে যাবে না।’ ভোটের পর তিনি ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয়ের নিরীক্ষা (অডিট) চেয়ে কংগ্রেসে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। প্রতিনিধি পরিষদে বিরোধী নেতার দায়িত্বপালন করে আসা কেভিন ম্যাককার্থি রিপাবলিকানদের জয়ের ফলে পরবর্তী স্পিকার হতে যাচ্ছেন। অক্টোবরে তিনি বলেছিলেন, প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে ইউক্রেন আর ‘ফাঁকা চেক’ পাবে না। ইউক্রেনকে আর্থিক সহায়তা বন্ধে গ্রিনের সুপারিশ রিপাবলিকান পার্টি গ্রহণ করবে বলে মনে হয় না। সম্ভবত দলটির নেতৃত্ব ইউক্রেনসম্পর্কিত বরাদ্দে পরীক্ষা-নিরীক্ষা বাড়াতে চাইবেন। এমনকি আর্থিক সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে কিছু সীমাবদ্ধতাও আরোপ করতে পারেন।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply