Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » মেট্রোরেল উদ্বোধন অনুষ্ঠান ঘিরে মানুষের মাঝে ছিল বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস




বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস মানুষের ঢল মেট্রোরেল উদ্বোধন অনুষ্ঠান ঘিরে মানুষের মাঝে ছিল বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। আগারগাঁও থেকে দিয়াবাড়ী পর্যন্ত কঠোর নিরাপত্তার মধ্যেও বুধবার সকাল থেকে অগণিত মানুষ রাস্তার দুপাশে অপেক্ষমাণ ছিল। দুপুরে উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন মেট্রোরেলে চড়ে আগারগাঁও যাচ্ছিলেন তখন তারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

ADVERTISEMENT মিরপুরের শেওড়াপাড়ার বাসিন্দা ব্যবসায়ী আজিজুর রহমান বলেন, সপ্তাহে অন্তত ৪ দিন আমাকে উত্তরা যেতে হয়। অনেক কষ্ট করে যাতায়াত করতে হয়। সময়ও অনেক বেশি লাগে। মেট্রোরেলের উদ্বোধন হওয়ায় সেই ভোগান্তি থাকবে না। কম সময়ে উত্তরা গিয়ে কাজ সেরে চলে আসতে পারব। মেট্রোরেলের উদ্বোধনে অনেক খুশি মিরপুর সেনপাড়ার বাসিন্দা সোহেল সায়মন। তিনি বলেন, বাসা থেকে হেঁটে মেট্রোরেলের স্টেশন ৫ মিনিটের পথ। এখন অনেক কম সময়ে উত্তরা যেতে পারব। পুরোমাত্রায় চালু হলে কম সময় মতিঝিলও যেতে পারব। তিনি বলেন, নির্মাণকাজ চলার সময় যে দুর্ভোগ হয়েছে, আমাদের সেই দুর্ভোগের ফল এবার ঘরে উঠল। মিরপুর-১২ নম্বরে কথা হয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জসিম উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমার বাসার কাছেই স্টেশন। মেট্রোরেলে চড়ে যানজটমুক্তভাবে চলাচল করতে পারব। ধোঁয়া এবং ধুলাদূষণের কবল থেকে মুক্তি পাব। সময়ও কম লাগবে। ছাত্রদের হাফ ভাড়া রাখা হয়নি, তাতে দুঃখ নেই। ত?বে ভাড়া আরেকটু কমাতে পারলে ভালো হতো। সিগারেট বিক্রেতা আব্দুল জলিল বলেন, আগামীকাল ব্যবসায় নামব না। সকালে আগারগাঁও যাব। সেখান থেকে টিকিট কেটে দিয়াবাড়ী যাব। আবার দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁওয়ে নামব। তিনি বলেন, স্বপ্নেও ভাবিনি আমাদের দেশে মেট্রোরেল চালু হবে। আর মানুষ চড়তে পারবে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। তিনি শত বছর বেঁচে থাকুন। উত্তরার বাসিন্দা ইশিতা রহমান বলেন, উত্তরা থেকে ফার্মগেট যেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় লেগে যেত। রাস্তায় জ্যামে থাকতে হতো। গাড়ির ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়তাম। সময় ও অর্থ বেশি লাগত। এখন অল্প সময় ও খরচে যানজটমুক্ত চলাফেরা করা যাবে। এটা আমাদের উত্তরাবাসীর জন্য অনেক বড় পাওয়া। আগারগাঁওয়ে মানুষের ঢল : শেকৃবি প্রতিনিধি জানান, স্বপ্নের মেট্রোরেল উদ্বোধনের ঠিক আগ মুহূর্তে শত শত উৎসুক মানুষ আগারগাঁওয়ে ভিড় করেন। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটসংলগ্ন স্টেশন হওয়ায় সেখানে উপস্থিত হয়েছিল প্রতিষ্ঠানটির অনেক শিক্ষার্থী। তাদেরই একজন হাসান বলেন, ‘আমার বাসা উত্তরায়। এখন উত্তরা থেকে দ্রুত মেট্রোতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে পারব। ক্যাম্পাস থেকে দ্রুত বাসায় পৌঁছতে পারব। আগের মতো ঘণ্টা পর ঘণ্টা সময় লাগবে না।’ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সোহেল রানা আগারগাঁও স্টেশনে এসেছিলেন উদ্বোধন দেখতে। তিনি বলেন, ‘আধুনিক এই পরিবহণ রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিশাল পরিবর্তন এনেছে। এখন উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত এই ট্রেন চলাচল করবে। এতে সমস্যা থেকেই যাবে। তবে মতিঝিল পর্যন্ত কাজ শেষ হলে মানুষের লাঘব সত্যিই কমে যাবে। যানজটের কবলে পড়ে থাকতে হবে না।’ প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ট্রেনটি আগারগাঁও স্টেশনে পৌঁছার আগেই সেখানে উৎসুক মানুষের ঢল নামে। প্রথম দিন মেট্রোরেলে উঠতে না পারলেও খুশির যেন কোনো কমতি ছিল না তাদের মধ্যে। আগারগাঁওয়ে বিলবোর্ডে বড় করে লেখা ভাড়ার তালিকার ছবি তোলা এবং স্টেশনের পাশে সেলফি তুলতে ব্যস্ত ছিলেন অনেকেই। কারও মনে কষ্ট : মিরপুর প্রতিনিধি জানান, উদ্বোধনের দিন মিরপুরবাসীর কারও কারও চোখে-মুখে একটু কষ্টের ছাপ দেখা গেছে। কারণ মিরপুরবাসী স্থানীয় স্টেশন থেকে এখনই মেট্রোরেলে চড়তে পারছেন না। তারা চড়তে পারবেন ২৬ মার্চের পর। আপাতত উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল। মাঝখানে কোনো স্টেশনে থামবে না। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সরেজমিন দেখা যায় মিরপুর ১০, ১১, ১২; কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়ার প্রধান সড়কসহ অলিগলির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট বন্ধ ছিল। যানবাহন ও মানুষের চলাচল ছিল তুলনামূলক কম। সড়কের মোড়ে মোড়ে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। মেট্রোরেল স্টেশনগুলোর সামনে ছিল পুলিশ, র‌্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি। মঙ্গলবার রাত থেকেই মেট্রোরেলসংলগ্ন বহুতল ভবনের নিচতলা ও বাড়ির ছাদে অবস্থান নেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। মিরপুর-১২ নম্বরের বাসিন্দা আলাউদ্দিন আল আজাদ বলেন, উদ্বোধন হলেও এখন মিরপুরের কোনো স্টেশনে থামবে না মেট্রোরেল। আরও কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে। এজন্য মন একটু খারাপ।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply