Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » তীব্র খাদ্য সংকটের মুখে সোমালিয়া




আফ্রিকার দেশ সোমালিয়া চরম খাদ্যসংকটকালীন পার করছে। দেশটির অন্তত ৮০ লাখ মানুষ তীব্র খাদ্যঝুঁকিতে রয়েছে। আগামী বছরের এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে এই সঙ্কট সব থেকে ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) জাতিসংঘ এবং অন্য মানবাধিকার সংস্থাগুলো এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছে। বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সংবাদসংস্থা এপির প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে। আফ্রিকা অঞ্চলে কয়েক বছর ধরে বৃষ্টি কমে গেছে। এর প্রভাব পড়েছে সোমালিয়া ও আশপাশের দেশগুলোতে। সোমালিয়ার পূর্বাঞ্চলে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে ৭ লাখের বেশি মানুষ। তীব্র খরার উৎপাদিত হচ্ছে না শস্য। নেই সুপেয় পানির ব্যবস্থা। এ অবস্থায় প্রতিনিয়তি বাড়ছে শিশু মৃত্যুর হার। পরিস্থিতি বিবেচনায় দুর্ভিক্ষের মুখে দাঁড়িয়ে কয়েক লাখ সোমালিয় নাগরিক। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, চলতি বছর চতুর্থবারের মতো খরার সম্মুখীন হচ্ছি আমরা। গরু-ছাগল মারা যাওয়ার পাশাপাশি আমাদের সব শস্য ও নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষুধা ও তৃষ্ণায় আমার তিন সন্তান মারা গেছে। আমি আর আমার চতুর্থ সন্তান কোনোমতে বেচে আছি। আমাদের আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। জাতিসংঘ বলছে, গত পাঁচ বছর ধরে একটানা অপর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী বছরও বৃষ্টি কম হবে বলে আশঙ্কা রয়েছে। আর এটিই সোমালিয়ায় এই ‘অভূতপূর্ব’ সংকট সৃষ্টি করেছে। এর ফলে দেশটিতে আগামী বছর অস্বাভাবিকভাবে খাবারের মূল্য বেড়ে যাবে। এতে অনাহারে থাকতে হবে অন্তত ৮০ লাখ মানুষকে। এর মধ্যে সোমালিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যের প্রশাসনিক রাজধানী বাইদোয়া এবং বুরকাহাবা শহরে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ। সম্ভবত এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি হতে পারে এ অঞ্চল। আরও পড়ুন: সোমালিয়া সেনা প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে আত্মঘাতী হামলা, নিহত ৫ জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) অনুসারে, এই অঞ্চলগুলোর মানুষেরা এরই মধ্যে ব্যাপক মাত্রায় অপুষ্টিতে ভুগছে। ত্রাণ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর হিসেবে, সোমালিয়ায় ১৮ লাখ শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। ২০২৩ সালে এই সংখ্যা আরো দ্রুত বাড়তে থাকবে। চলতি বছর দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে দুই লাখেরও বেশি সোমালিয় নাগরিক। অবস্থার উন্নতি না হলে সামনের দিনগুলোতে এ সংখ্যা ৭ লাখের ঘর ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার মুখপাত্র। আর তাই সংকটময় এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য বিভিন্ন ধনী দেশগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানানো হয়েছে। আরও পড়ুন: সোমালিয়ায় জোড়া বিস্ফোরণ, নিহত ১০০ জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থার মুখপাত্র জেনস লায়ের্ক বলেন, বর্তমানে যদিও কোন দুর্ভিক্ষের ঘোষণা করা হচ্ছে না তবে সঙ্কট এখনো কেটে যায় নি। যদি সহায়তার পরিমাণ বাড়ানো না হয় তবে আগামী বছর এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে সোমালিয়ায় ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের মুখে পড়তে যাচ্ছে। মূলত দুই বছর ধরে তীব্র খরা, বিশ্বব্যাপী শস্যের দাম বৃদ্ধি, সংঘাতের কারণে গৃহহীন হয়ে পরার পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে চলমান ইসলাপন্থী বিদ্রোহের কারণে ক্রমেই জটিল হচ্ছে সোমালিয়ার পরিস্থিতি। এর আগে ২০১১ সালে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের কারণে দেশটির আড়াই লাখের বেশি মানুষের প্রাণহানির ঘটেছে বলে জানা গেছে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply