নেতানিয়াহুর সরকার গঠন বিশ্বের প্রতি ফিলিস্তিনি সরকারের আহ্বান

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের সাথে সব ধরনের সম্পর্কচ্ছেদ করতে বিশ্ব নেতাদেরকে আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আরটি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ইসরাইলের নতুন সরকারের জাতিগত নির্মূল নীতিকে হিংসাত্মক, বর্ণবাদী এবং উসকানি হিসেবে আখ্যায়িত করছে। ইসরাইলের নতুন সরকারের ঘোষিত এজেন্ডা ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য অস্তিত্বের হুমকি।’ তারা আরও জানিয়েছেন, 'আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই তার দায়িত্ব পালন করতে হবে। সেই সঙ্গে রাজনৈতিক নিপীড়ন এবং জাতিগত বৈষম্যসহ মানবাধিকার বিরোধী এই সরকারের সাথে যে কোনো ধরনের লেনদেন প্রত্যাখ্যান করতে হবে।' ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৯ এবং ২০০৯ থেকে ২০২১ পর্যন্ত পাঁচ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার আবারও ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। লিকুদ পার্টি, জাতীয়তাবাদী এবং অর্থোডক্স ইহুদি দলগুলির সমন্বয়ে একটি জোট সরকার গঠন করেছেন নেতানিয়াহু। যাকে ইসরাইলের ইতিহাসে সবচেয়ে ডানপন্থী সরকার হিসেবে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে বর্ণনা করা হয়েছে। আরও পড়ুন: ইসরাইলের নতুন সরকারকে যেভাবে দেখছেন ফিলিস্তিনিরা এদিকে শপথের আগেই ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বুধবার, নেতানিয়াহু তার সরকারের এজেন্ডা প্রকাশ করেছেন। ইসরাইলের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইল জানিয়েছে, এই এজেন্ডায় ইহুদি জনগণের ইসরাইলের ভূমির 'সব' অংশের একচেটিয়া এবং অবিচ্ছেদ্য অধিকারের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এজেন্ডায় যে ভূমির কথা বলা হচ্ছে, তার মধ্যে রয়েছে বিতর্কিত গোলান হাইটস এবং জুডিয়া ও সামারিয়া অঞ্চল। যা পশ্চিম তীরের পুরোটাই জুড়ে রয়েছে। এজেন্ডায় আরও বলা হয়েছে, নেতানিয়াহুর সরকার এই অঞ্চলগুলির উন্নতি ও বিকাশ ঘটাবে। জাতিসংঘ এবং এর অধিকাংশ সদস্য এই সব ভূখণ্ডে ইহুদি বসতি স্থাপনকে বেআইনি বলে মনে করে। এজেন্ডায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সাথে শান্তি প্রক্রিয়ার কোনো উল্লেখ নেই বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।