Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » মায়ের বাড়ির সামনে দিয়ে পেলের শেষযাত্রা




পেলে প্রয়াত। ৮২-তে থামল ফুটবল সম্রাটের জীবনযাত্রা। চিরঘুমে লাতিন ফুটবলে সৌন্দর্যের সুরভি ছড়ানো জাদুকর। প্রৌঢ়ত্ব পেরোনো ফুটবল পিপাসু, যারা স্মৃতিমেদুরতায় ডুব দেওয়ার অপেক্ষায়, সিনেমার ফ্ল্যাশব্যাকের মতো তাদের ঝাপসা দৃষ্টির সামনে দাঁড়িয়ে ১৭ বছরের এক কৃষ্ণাঙ্গ টিনএজার। যে তার বাবাকে বলেছিল, ‘কেঁদো না। তোমাকে আমি বিশ্বকাপ ট্রফি এনে দেব।’ ADVERTISEMENT বাবাকে দেওয়া কথা রেখেছিল ছেলেটি। সেই ছেলেটি এখন কফিনবন্দি। তার নিথর দেহ যখন সান্তোসে মায়ের বাড়ির সামনে দিয়ে যাবে, বাবা তখন হয়তো দূর আকাশ থেকে তা দেখে নীরবে অশ্রু ঝরাবেন। পেলের মা এখনো বেঁচে আছেন। শতবর্ষী জননী সেলেস্তে আরান্তেসের হয়তো সব অশ্রু শুকিয়ে গেছে। বাড়ির সামনে দিয়ে সন্তানের শেষযাত্রায় হয়তো শরিক হওয়া সম্ভব হবে না তার পক্ষে। তিনি শয্যাশায়ী। বয়সের ভারে ন্যুব্জ। কেউ হয়তো তার কানে ফিসফিস করে বলবে, ‘ওই যে দ্যাখো। তোমার ছেলেটা চলে যাচ্ছে। তুমি জানালায় দাঁড়িয়ে থেকো। শেষ দেখাটা দেখতে পাবে।’ নিজের ফুটবলীয় ঐশ্বর্যে যিনি বিশ্বকে দুহাত ভরে বিনোদনের হলুদ ফুল উপহার দিয়েছেন, তার শেষযাত্রা এমনই ঐতিহাসিক হওয়াটাই তো বাঞ্ছনীয়। বৃহস্পতিবার প্রয়াত পেলের প্রতি সম্মান জানাতে ব্রাজিলে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে ব্রাজিলীয় ফুটবল কনফেডারেশন (বিএফসি) সাতদিনের শোক পালন করবে। সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় তিনবারের বিশ্বকাপজয়ী একমাত্র ফুটবলারের কফিন সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতাল থেকে আনা হবে ভিলা বেলমিরো স্টেডিয়ামে। শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ভক্তরা স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে পারবেন। যে ক্লাবে তার খেলোয়াড়ি জীবনের সূচনা, সেই সান্তোস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পেলের শেষকৃত্যের প্রক্রিয়া শুরু হবে সোমবার। শেষ হতে হতে মঙ্গলবার গড়িয়ে যাবে। শুধু পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে সান্তোসের মেমোরিয়াল নেক্রোপোল একুমোনকায় সমাধিস্থ করা হবে পেলের কফিনবন্দি দেহ। সান্তোস ফুটবল ক্লাবের স্টেডিয়াম ভিলা বেলমিরোয় শায়িত থাকবে পেলের দেহ। অনুরাগীরা সেখানেই শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন ব্রাজিলীয় কিংবদন্তিকে। ১৫ বছর বয়স থেকে সাও পাওলোর সান্তোস ফুটবল ক্লাবে কাটিয়েছেন পেলে। ক্যারিয়ারে প্রচুর মণি-মানিক্য কুড়িয়েছেন। এই দলের জার্সিতেই ১০০০তম গোল রয়েছে পেলের। সব কিছুর শুরু যেখানে, শেষটাও সেখানেই হবে। হয়তো এটাই নিয়তি নির্ধারিত। এদিকে ব্রাজিলে তিনদিনের জাতীয় শোক ঘোষণার সময় প্রেসিডেন্ট বলসোনারো বলেছেন, ‘পেলে ছিলেন ব্রাজিলের একজন মহান নাগরিক এবং দেশপ্রেমিক। যেখানেই গেছেন ব্রাজিলের জন্য সুনাম বয়ে এনেছেন।’ পেলের একটি কোলন টিউমার ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে অপসারণ করা হয়েছিল। নভেম্বরে তিনি আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে আবার ভর্তি হন। কোভিড ও শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের চিকিৎসা চলছিল তার। এরইমাঝে একবার তার মৃত্যুর গুজব ছড়ায়। ১৯৫৮, ১৯৬২ এবং ১৯৭০ সালে বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিল দলের সদস্য পেলে জাতীয় দলের হয়ে ৭৭ গোল করেন। সব মিলিয়ে ১৯৫৪ থেকে ১৯৭৭ পর্যন্ত ১,৩৬৩ ম্যাচে ১,২৮১ গোল করেন তিনি, যা একটি বিশ্বরেকর্ড।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply