Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » বিজয় ঝড়ে সিলেটকে হটিয়ে শীর্ষে বরিশাল




ম্যাচটা প্রায় হাতের মুঠোয় চলে এসেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের। কিন্তু শেষ দিকে আলগা বোলিং ও বাজে ফিল্ডিংয়ের খেসারত দিয়ে ম্যাচটা হেরে বসল শুভাগত হোমের দল। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে চট্টগ্রামকে তিন উইকেটে হারিয়ে দিলো সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশাল। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ছয় উইকেটে ১৬৮ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ গড়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। জবাবে সাত উইকেট হারিয়ে চার বল হাতে রেখেই শ্বাসরুদ্ধকর জয় তুলে নেয় ফরচুন বরিশাল (১৭১/৭)। দুর্দান্ত এই জয়ে এবারের বিপিএলে প্রথমবার পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠল দক্ষিণাঞ্চলের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। আসরে আট ম্যাচের ছয়টিতেই জিতল বরিশাল। তাদের সমান ম্যাচে সমান ১২ পয়েন্ট সিলেট স্ট্রাইকার্সেরও। কিন্তু রানরেটে পিছিয়ে থাকায় শীর্ষস্থান ছেড়ে দিতে হলো মাশরাফি বিন মর্তুজার দলকে। টুর্নামেন্টে এই মৌসুমে প্রথমবার শীর্ষস্থানচ্যুত হলো সিলেট। অন্যদিকে আট ম্যাচের ছয়টিতে হেরে খাদের চূড়ান্ত কিনারায় গিয়ে দাঁড়াল চট্টগ্রাম। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের শুরুটা ভালো হয়নি। ষষ্ঠ ওভারে ৩৬ রানে দুই উইকেট হারায় তারা। পরে ম্যাক্স ও’দাউদ ও আফিফ হোসাইনের দৃঢ়তায় কক্ষপথে ফেরে বন্দর নগরীর দলটি। দুজনেই অবশ্য আউট হয়েছেন ফিফটির আভাস দিয়েই। তবে ম্যাক্স যতটা শান্ত ছিলেন ততটাই আগ্রাসী দেখা গেল আফিফকে। ৩৪ বলে ৩৩ রান করেন চট্টগ্রাম ওপেনার। ২৩ বলে ৩৭ রানের ঝড় ওঠে আফিফের ব্যাটে। তাদের আগেই ১৩ বলে ১৬ রানে বিদায় নেন উন্মুক্ত চাঁদ। শেষ দিকে ঝোড়ো ব্যাটিং করেন কার্টিস ক্যাম্ফার। ২৫ বলে ৪৫ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। তবে ১৯ বলে কুড়ি রান তুলে রান আউটে কাঁটা পড়েন ইরফান শুক্কুর। চট্টগ্রামের পতন হওয়া ছয় উইকেটের দুটি করে নিয়েছেন খালেদ আহমেদ ও কামরুল ইসলাম। বোলাররা লক্ষ্যমাত্রা নাগালের বাইরে যেতে দেননি। পরে রান তাড়ায় বরিশালকে উড়ন্ত শুরু এনে দেন ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও সাইফ হাসান। তবে পাওয়ার প্লেতে ৪৮ রানের জুটিতে সাইফের অবদান নয় বলে স্রেফ ১০! বিজয় ৫০ বলে ছয়টি করে চার-ছক্কায় ৭৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। দাপুটে এই ইনিংস তার হাতে তুলে দিয়েছে ম্যাচ সেরার পুরস্কার। তবে তাকে উইকেটে রেখেই একে একে সাজঘরে ফিরে যান সাকিব (২), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (০) ও চতুরঙ্গ ডি সিলভা (৩)। যাতে ৭৯ রানে চার উইকেট হারিয়ে ভালোই চাপে পড়ে বরিশাল। ম্যাচের নাটাই হাতে নেয় চট্টগ্রাম। উইকেটের মিছিল থামাতে প্রস্তর যুগের ব্যাটিং করেন মারকুটে ইফতিখার। ২০ বলে ১৩ রান করা পাকিস্তানি অলরাউন্ডার আউট হয়ে গেলে হারের শঙ্কায় পড়ে বরিশাল। ১৬তম ওভারে ১১৭ রানে নেই সাকিবদের ছয় উইকেট। অমন কঠিন পরিস্থিতিতে ত্রাণকর্তারূপে হাজির হলেন করিম জানাত। সপ্তম উইকেটে সালমান হোসাইন ইমনকে নিয়ে ৫০ রানের বিধ্বংসী জুটি গড়ে চট্টগ্রামকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন আফগান অলরাউন্ডার। সালমান ১৪ বলে ১৮ রানে টিকে থাকলেও ১২ বলে ৩১ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে বিদায় নেন জানাত। তাদের দারুণ ব্যাটিংয়ে চার ওভারে ৪৮ রানের কঠিন যে সমীকরণ তা বরিশাল সহজেই মিলিয়ে ফেলে। বৃথাই গেল নিহাদুজ্জামানের দুর্দান্ত বোলিং নৈপুণ্য। মাত্র ১৭ রানে চার উইকেট নিলেও তা কোনো কাজে আসেনি






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply