পাকিস্তানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৯ বছরে সর্বনিম্ন
পাকিস্তানে দিন দিন প্রকট হচ্ছে অর্থনৈতিক সংকট। দেশটির মূল্যস্ফীতি অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গত ৯ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। অর্থের অভাবে পণ্য আমদানি করতে পারছেনা দেশটি। বর্তমান পরিস্থিতির জন্য রাজনৈতিক নেতাদের অযোগ্যতা ও সামরিক নেতৃত্বের সম্পৃক্ততাকে দুষছেন বিশেষজ্ঞরা।
গত কয়েক মাস ধরেই ভযাবহ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যদিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেকার হচ্ছেন বহু মানুষ। মরার ওপর খাড়ার ঘা হয়ে দাঁড়ায় আবার ভয়াবহ বন্যা, যা দেশটিতে ঠেলে দেয় আরও কঠিন সময়ে।
এ অবস্থায় দেশটির মূল্যস্ফীতি অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। অর্থের অভাবে পণ্য আমদানি করতে পারছে না দেশটি। খাদ্যসামগ্রী, কাঁচামাল ও চিকিৎসা সরঞ্জামের কয়েক হাজার কনটেইনার বন্দরে আটকা পড়েছে। ডলার সংকটে খালাস করা যাচ্ছে না। এতে করে কমছে না পণ্যের দাম।
পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নেমে ৩.৭ বিলিয়ন ডলারে ঠেকেছে যা গত ৯ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এই রিজার্ভ দিয়ে তিন সপ্তাহের মতো আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। ব্যয় কমাতে, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের বেতন ১৫ শতাংশ, সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন ১০ শতাংশ এবং মন্ত্রিপরিষদের সদস্য সংখ্যা ৩০ জনে নামিয়ে আনা হতে পারে।
আরও পড়ুন: আর্থিক সংকট /মন্ত্রী-সরকারি কর্মীদের বেতন কমাচ্ছে পাকিস্তান
পাকিস্তানের এ দুরবস্থার জন্য ফিন্যান্সিয়াল পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক নেতাদের অযোগ্যতা এবং সামরিক নেতৃত্বের সম্পৃক্ততাই এই অবস্থার কারণ।
সংকট কমাতে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের-আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ চাইছে। তবে পাকিস্তানকে এই মুহূর্তে অর্থ দিতে নারাজ সংস্থাটি। ঋণ পেতে কিছু শর্ত দেয়া হয়েছে পাকিস্তানকে, যা পূরণ করতে পারছে না দেশটি।
No comments: