চীন-মধ্যপ্রাচ্যের সম্পর্কের গভীরতা বাড়ছে যেভাবে

ডিসেম্বরের শুরুর দিকে দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সৌদি আরব গিয়েছিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সফরে উপসাগরীয় দেশগুলোর জোট গালফ কো-অপারেশন (জিসিসি) নেতাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক এবং সম্মেলনে অংশ নেন চীনা প্রেসিডেন্ট। এ সম্মেলনে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা ছাড়াও তারা ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সম্পর্ক এবং একটি গভীর নিরাপত্তা সম্পর্ক গঠনের বিষয়ে আলোচনা করেন। গত ডিসেম্বরে সৌদিতে জিসিসি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ছবি: সংগৃহীত গত ডিসেম্বরে সৌদিতে জিসিসি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ছবি: সংগৃহীত মোস্তফা কামাল ৩ মিনিটে পড়ুন চীনের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর অর্থনৈতিক সম্পর্ক কয়েক দশক ধরে ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত ওই শীর্ষ সম্মেলন চীন ও উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে এবং এ অঞ্চলে পশ্চিমা প্রভাব হ্রাস পাওয়াকে প্রতিফলিত করেছে। চীনের প্রেসিডেন্টের সফরকে ঘিরে নানান মহলে শুরু হয় সমীকরণ মেলানোর কাজ। চীনের প্রয়োজন মধ্যপ্রাচ্য থেকে তেল আমদানি। অন্যদিকে উপসাগরীয় দেশগুলোর প্রয়োজন চীনের গৃহস্থালী সামগ্রী, তৈরি পোশাক, বৈদ্যুতিক এবং গাড়িসহ উৎপাদিত পণ্য। সাম্প্রতিক দশকগুলোতে চীনের প্রবৃদ্ধি তেলসমৃদ্ধ উপসাগরীয় দেশগুলোর অর্থনীতির জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৮০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে চীনে তাদের রফতানি বার্ষিক ১৭ দশমিক ১ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২১ সালে চীনের অপরিশোধিত তেল আমদানির ৪০ শতাংশই অন্য যেকোনো দেশ বা আঞ্চলিক গোষ্ঠীর তুলনায় উপসাগর থেকে এসেছে, যার ১৭ শতাংশের উৎস সৌদি আরব।