খেলাপি হওয়ার দ্বারপ্রান্তে যুক্তরাষ্ট্র, বৈদেশিক ঋণ ৩৪.৪ ট্রিলিয়ন ডলার
যুক্তরাষ্ট্র তার সক্ষমতার সর্বোচ্চ পরিমাণ ঋণ নিয়ে ফেলেছে। যে কোনো মুহূর্তে দেউলিয়া হতে পারে দেশটি। এ অবস্থায় দেউলিয়াত্ব এড়াতে এরই মধ্যে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ ত্বরিত ‘অসাধারণ’ কিছু উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে। মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার কেভিন ম্যাককার্থির কাছে লিখিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
মার্কিন ট্রোজরি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন। ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জ্যানেট ইয়েলেন চিঠিতে বলেছেন, ‘নতুন করে সব ঋণ কার্যক্রম স্থগিতাদেশের মেয়াদ শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার থেকে। চলবে আগামী ৫ জুন পর্যন্ত।’
জ্যানেট ইয়েলেন আরও বলেছেন, ‘অর্থ বিভাগ সিভিল সার্ভিসের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং প্রতিবন্ধী তহবিলের অংশ পুরোপুরি বিনিয়োগ করতে পারবে না। ফলে অবিলম্বে সুবিধাভোগীদের অর্থ দেয়া সম্ভব হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘ট্রেজারি বিভাগ পোস্টাল সার্ভিসের অবসরপ্রাপ্তদের স্বাস্থ্য সুবিধা তহবিলে পরিমাণের অতিরিক্ত বিনিয়োগ স্থগিত করবে। তবে অবসরপ্রাপ্ত ফেডারেল কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা এর কারণে প্রভাবিত হবে না।’
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে মার্কিন মূল্যস্ফীতি উল্লেখযোগ্য হারে কমবে!
যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পরিমাণ ঋণ নেয়ার অর্থ হলো, দেশটির কংগ্রেস বৈদেশিক-দেশি ঋণ নেয়ার সীমা বেঁধে দিয়েছিল তা প্রায় পূর্ণ হয়ে গেছে।
জ্যানেট ইয়েলেন জানিয়েছেন, দেশটির মোট ঋণ এখন ৩১ লাখ ৪০ হাজার কোটি ডলার। তিনি ম্যাককার্থিকে লেখা চিঠিতে বলেন, ‘আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে কংগ্রেসকে অনুরোধ করছি যেন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ বিশ্বাস ও কৃতিত্ব রক্ষার জন্য অবিলম্বে কাজ শুরু করা হয়।’
উল্লেখ্য, প্রায় আড়াইশ বছরের ইতিহাসে যুক্তরাষ্ট্র কখনো ঋণখেলাপি হয়নি। তবে বিগত ২৫ বছরে মধ্যে অর্থাৎ ১৯৯৭ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশটি প্রায় প্রতিবছরই ঋণ নেয়ার সর্বোচ্চ পরিমাণ বাড়িয়েই গেছে। এ সময়ের মধ্যে দেশটি অন্তত ২২ বার সর্বোচ্চ ঋণ নেয়ার সীমা বাড়িয়েছে।
No comments: