তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে নিহত ২০ হাজার ছাড়াল

তুরস্ক ও সিরিয়া সংঘটিত ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুই দেশ মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ২৭ জন। একই সময়ে ভূমিকম্পের কারণে দুই দেশে আহত হয়েছেন আরও ৭১ হাজার। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম এবিসি নিউজের খবর, নিহতদের মধ্যে তুরস্কের ১৬ হাজার ৮৬৩ জন এবং সিরিয়ায় নিহত হয়েছেন ৩ হাজার ৩১৭ জন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বৃহস্পতিবার জানিয়েছিলেন, তুরস্কে নিহতের সংখ্যা ১৬ হাজার ৮৬৩ জন এবং এই সময়ে আরও ৬৬ হাজার ১৩২ জন আহত হয়েছেন। এদিকে, সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। নিহত ৩ হাজার ৩১৭ জনের মধ্যে সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকায় নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৩৪৭ জন এবং বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৯৭০ জন। সিরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছে। আরও পড়ুন: তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্প: মৃতের সংখ্যা ১৯ হাজার ছাড়াল ভূমিকম্পের পর তুরস্কে উদ্ধার তৎপরতায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা। ধীরগতির পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত অনেক এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রাণসহায়তা পৌঁছায়নি বলেও অভিযোগ তাদের। তবে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলছেন, এ ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় কোনো পূর্বপ্রস্তুতিই যথেষ্ট নয়। স্মরণকালের ভয়াবহ এ ভূমিকম্পে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে লাখো মানুষের জীবন। সময় যত গড়াচ্ছে ততোই বাড়ছে অনিশ্চয়তা। সর্বস্ব হারিয়ে দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছেন অনেকে। মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে দেখা দিয়েছে প্রচণ্ড ঠান্ডা আর তুষারপাত। তীব্র শীত উপেক্ষা করেই চলছে উদ্ধারকাজ। ধ্বংসস্তূপের ভেতর প্রাণের সন্ধানে জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। ভূমিকম্পে তছনছ তুরস্কের গাজিয়ানতেপসহ আশপাশের এলাকা। ভূমিকম্পে বাড়িঘরের ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি ধসে পড়েছে বহু মহাসড়ক। ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। যার কারণে তুরস্কের হাতায় ও সিরিয়ার আলেপ্পো শহরের দুর্গম এলাকায় পৌছাতে পারছেন না উদ্ধারকর্মীরা। দ্রুত উদ্ধার অভিযান শুরু করতে না পারায় বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। আরও পড়ুন: বাড়িঘরের পাশাপাশি ধসে পড়েছে মহাসড়ক, ব্যাহত উদ্ধারকাজ যোগাযোগ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দুর্গত এলাকায় পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না ত্রাণ সহায়তাও। বাড়িঘর হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে চরম মানবেতর দিন পার করছেন এসব অঞ্চলের বাসিন্দারা। তুরস্কের পাশাপাশি সিরিয়ার আলেপ্পো শহরেও একই অবস্থা। বিভিন্ন মহাসড়ক ধসে পড়ায় চলতে পারছে না কোনো যানবাহন। যুদ্ধকবলিত দেশটিতে ভূমিকম্প যেন মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে। ত্রাণ সহায়তা না পৌঁছায় দেখা দিয়েছে মানবাবিক সংকট।