Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » ভূমিকম্প প্রিয় মসজিদ হারানোর শোকে পাথর গ্রামবাসী




ভূমিকম্প প্রিয় মসজিদ হারানোর শোকে পাথর গ্রামবাসী চলতি মাসের শুরুর দিকে তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে আঘাত হানে দুটি ভূমিকম্প। স্মরণকালের ভয়াবহ ওই ভূমিকম্প থেকে নিস্তার পায়নি যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিযার ইদলিবের প্রত্যন্ত গ্রাম মালান্দও।

ভূমিকম্প আঘাত হানার পরই ভীত-সন্ত্রস্ত গ্রামবাসী ছুটে যায় তাদের মসজিদে। উদ্দেশ্য, আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে মনের ভীতি দূর করবেন। কিন্তু মসজিদে পৌঁছেই তারা প্রচণ্ড একটা ধাক্কা খান। তাদের অতি প্রিয় মসজিদটি পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। মসজিদের সোনালি গম্বুজটি পড়ে আছে ধ্বংসস্তূপের ওপর। শক্তিশালী ওই ভূমিকম্পে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় সিরিয়া ও তুরস্কের সীমান্তবর্তী বহু এলাকা। হাজার হাজার ভবন ধসে পড়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক স্থাপনাও। ইদলিবের মালান্দ গ্রামের মালান্দ মসজিদটি তার একটি। ভূমিকম্পের পর প্রায় তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। কিন্তু মসজিদ ভেঙে পড়ার শোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি মালান্দ গ্রামবাসী। যেমনটা উঠে এসেছে গ্রামের ৩৭ বছর বয়সী যুবক মাহের জারোয়ারের কণ্ঠে। চলতি সপ্তাহে আল জাজিরাকে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলছিলেন, সেই ছেলেবেলা থেকে বাবার হাত ধরেই এ মসজিদে যেতাম। কখনও দাদার হাত ধরে। এটাই গ্রামের একমাত্র মসজিদ।’ আরও পড়ুন: তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্প /অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা নিশ্চিহ্ন প্রতি শুক্রবার মসজিদটিতে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। ভূমিকম্পের পরও সেখানে নামাজ হয়েছে। তবে ধ্বংসস্তূপের ওপরেই। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে সেখানে নামাজের ব্যবস্থা করা হয়। গত শুক্রবারের জুমার নামাজেও অংশ নিয়েছিলেন গ্রামবাসী। সেদিন উপস্থিত ছিলেন মাহের জারোয়ারও। নামাজ শেষে সাক্ষাৎকারে মাহের বলেন, ‘এটা খুব প্রাচীন একটা মসজিদ। বহুবার এর সংস্কার করা হয়েছে। গ্রামের সবাই সেই সংস্কার কাজে অংশগ্রহণ করেন। এমনকি গ্রামের নারীরাও মসজিদের প্লাস্টার কাজে সাহায্য করেন। এটা আল্লাহর ঘর। এই ঘরে আমাদের সবারই স্মৃতি রয়েছে। আমরা এখানে ছেলেবেলায় পবিত্র কুরআন শিক্ষা করতাম।’ তবে ভাগ্য ভালো যে, ভূমিকম্পের সময় মসজিদে কেউ ছিল না। সেদিন ভোরে ফজরের নামাজের আগেই ভূমিকম্প আঘাত হানে। মুসল্লিরা তখনও মসজিদে এসে পৌঁছাননি। তবে কিছুক্ষণ পরই তারা এসে দেখেন, মসজিদটি ভেঙে পড়েছে। আরও পড়ুন: তুরস্কে আবারও ভূমিকম্পের আঘাত মসজিদটি নেই, বিষয়টি গ্রামবাসীরা মেনে নিতে পারছেন না। তাই নতুন করে গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছেন তারা। আগের মতো আবারও অল্প অল্প হলেও আর্থিকভাবে এগিয়ে আসছেন ছোট-বড় গ্রামের সবাই। মাহের জারোয়ার বলছিলেন, ‘আমরা আমাদের ভেঙে পড়া বাড়িগুলো আর ফিরে চাই না। আমরা শুধু মসজিদটি চাই। আল্লাহর ঘর তার আগের রূপে ফিরে আসুক। যাতে গ্রামবাসী আবারও এখানে নামাজ আদায় করতে পারেন।’






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply