কমছে জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা, মৃত্যু ছাড়াল ২৯ হাজার
তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে সংঘটিত ৭.৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পের ৬ দিন পেরিয়েছে। সময় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কমছে ধ্বংস্তূপের নিচে আটকেপড়াদের জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা। বিপরীতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতদেহ উদ্ধারের সংখ্যা। এখন পর্যন্ত তুরস্ক ও সিরিয়া দুই দেশ মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ছাড়িয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি আঘাত হানা এ ভূমিকম্পটি এ অঞ্চলের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ। ১৯৯৯ সালের আগস্ট মাসে তুরস্কে সংঘটিত ৭.৪ মাত্রার ভূমিকম্পে ১৭ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়। এবার সেই রেকর্ড ভেঙে এখন পর্যন্ত দেশটিতে এককভাবে ২৪ হাজার ৬০০ মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
দেশটিতে রেকর্ড সংখ্যক মৃতদেহ উদ্ধারের দিনে পিছিয়ে নেই সিরিয়াও। সেখানেও এখন পর্যন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের সংখ্যা ৫ হাজার ১৮৯। সবমিলিয়ে দুই দেশে উদ্ধার করা মৃতদেহের সংখ্যা ২৯ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃত্যু ছাড়াল ২৮ হাজার
তুরস্কের হাতায় প্রদেশে কর্মরত আল জাজিরার সাংবাদিক বের্নার্ড স্মিথ জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের পর ১৪০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো উদ্ধারকারীরা আশা করছেন, তারা অনেককে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করতে পারবেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, স্থানীয় প্রশাসন পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাতায়ের রাজধানীর বিমানবন্দরটি চালু করবে।
এদিকে, তুরস্কে ভূমিকম্পকবলিত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। ব্যাপক লুটপাট ও সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে এখানে। সহিংসতার মুখে উদ্ধার কাজ স্থগিত করেছে জার্মানি ও অস্ট্রিয়ার উদ্ধারকর্মীরা। তবে দেশটির সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে ৪৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সময় শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে এরদোয়ান জানিয়েছিলেন, তার সরকার অতি অবশ্যই লুটপাটকারীদের খুঁজে বের করে শাস্তির মুখোমুখি করবে। এ লক্ষ্যে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। এরদোয়ান বলেন, ‘এর মানে হলো, এখন থেকে লুটপাট ও অপহরণকারীদের জানা উচিত, আইনের হাত তাদের অবশ্যই খুঁজে বের করবে।’
Tag: English News others world
No comments: