Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » ইউক্রেন যুদ্ধের এক বছর পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার কি আসন্ন




ইউক্রেন যুদ্ধের এক বছর পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার কি আসন্ন ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি। বিশ্ব ইতিহাসের অন্যতম আলোচিত দিন। এ দিনই প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ চালায় রাশিয়া। তারপর পেরিয়ে গেছে ৩৬৫ দিন। সময় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ কোনো পরিণতির দিকে আগানোর বদলে যেন এক অনির্দিষ্ট এবং অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে ধাবিত হচ্ছে। আর এরই সঙ্গে জোরেশোরে আলোচিত হচ্ছে পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা। যুদ্ধের প্রথম দিকে ইউক্রেনের একটি বনে প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য সমবেত

হয়েছেন বেসামরিক নাগরিকেরা। ছবি: সংগৃহীত এ আশঙ্কা আরও জোরদার হয়, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নতুন এক ঘোষণায়। ইউক্রেন যুদ্ধের এক বছর পূর্তির ঠিক দুদিন আগে পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ একটি পরমাণু চুক্তি বাতিল ঘোষণা করেছেন। ২১ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার স্টেট অব দ্য ন্যাশন-এর ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সবশেষ পরমাণু চুক্তি ‘নিউ স্টার্ট’ বা নতুন কৌশলগত অস্ত্র হ্রাসকরণ চুক্তি স্থগিত করেন পুতিন। পুতিনের এমন ঘোষণার পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে, তবে রাশিয়া কি পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে করা কৌশলগত অস্ত্র হ্রাসকরণ চুক্তি থেকে বেরিয়ে এসে কৌশলগত অস্ত্রের উৎপাদন বাড়াবে? এসব উৎপাদিত অস্ত্র কি ইউক্রেনে ব্যবহৃত হতে পারে? এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে, যখন রাশিয়া ইউক্রেনে যে বিশেষ লক্ষ্য অর্জন করার জন্য অভিযান চালিয়েছিল, তা অর্জিত হতে অনেক বেশি সময় লাগছে। পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা আরও তীব্র হয়, যখন রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমানে দেশটির নিরাপত্তা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেন, ‘রাশিয়া যদি জয় লাভ না করেই ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান বন্ধ করে দেয়, তবে রাশিয়া টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। পক্ষান্তরে যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করলেই যুদ্ধ শেষ হয়ে যাবে।’ মেদভেদেভের এমন মন্তব্যের পর স্পষ্টতই বুঝতে পারা যায় রাশিয়া ইউক্রেনে জিততে কতটা মরিয়া। আরও পড়ুন: ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ শান্তি বয়ে আনবে না: চীন রাশিয়ার কী মরিয়া না হয়ে উপায় রয়েছে আসলে? প্রথমত, রাশিয়ার এ যুদ্ধে জড়ানোই উচিত হয়নি। যদিও তাত্ত্বিক জায়গা থেকে আলোচনা রয়েছে যে, রাশিয়ার এ যুদ্ধ মূলত রুশ তাত্ত্বিক আলেকজান্দার দুগিনের ‘চতুর্থ রাজনৈতিক তত্ত্ব’ বাস্তবায়নের উদ্যোগ। এ তত্ত্বানুসারে, বিশ্বে গণতন্ত্র-উদারতাবাদের জায়গায় নতুন মতাদর্শ আসবে এবং যুক্তরাষ্ট্র কেন্দ্রিক এক মেরুক বিশ্বের বদলে বহুমেরুক বিশ্ব ব্যবস্থা কায়েম হবে। তবে রাশিয়া সরাসরি কখনো এমন কিছু দাবি করেনি। বরং রাশিয়া বারবার বলেছে, তারা ইউক্রেনকে নাজি মুক্ত করতে চায়। ইউক্রেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ন্যাটোর সদস্য হলে রাশিয়ার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে এ আশঙ্কা একাধিকবার প্রকাশ করেছে। কিন্তু ইউক্রেন কিংবা পশ্চিমা বিশ্ব এসবে কান দেয়নি। তারপরও ইউক্রেন যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী ছিল কিনা তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তবে আলোচনার টেবিলে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলা যেত, তা নিয়ে কারও কোনো সন্দেহ থাকার কথা নয়। তার খানিকটা আভাস আমরা দেখেছি ইউক্রেনের শস্য রফতানির বিষয়ে মস্কো এবং কিয়েভকে আলোচনার টেবিলে বসতে দেখে। জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় সেই আলোচনা সফল হয়েছিল। কিন্তু যুদ্ধ বন্ধে এমন কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি এখনও। বরং পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়াকে হারাতে বদ্ধপরিকর। সেই দৃঢ়প্রত্যয় প্রতিফলিত হয় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর কথায়। তিনি মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন চলাকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেছিলেন, ‘আমি রাশিয়াকে ইউক্রেনে পরাজিত অবস্থায় দেখতে চাই। আমি চাই, ইউক্রেন নিজের অবস্থান রক্ষায় সক্ষম হয়ে উঠুক।’ তবে পশ্চিমা বিশ্বের এ চাওয়া বিপজ্জনক। কারণ রাশিয়া এমন সব কৌশলগত অস্ত্রের অধিকারী, যা কেবল তাদের অন্যতম পরাশক্তির মর্যাদাই দেয়নি, একই সঙ্গে তাদের বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক সামরিক শক্তির অধিকারীও করেছে। পশ্চিমা বিশ্বের এ চাওয়া রাশিয়াকে পারমাণবিক অস্ত্রসহ অন্যান্য কৌশলগত অস্ত্র ব্যবহারে বাধ্য করতে পারে। আরও পড়ুন: যুদ্ধে হারলে রাশিয়া ‘টুকরো টুকরো হয়ে যাবে’ ২০২২ সালের মে মাসে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বৈঠকে সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার এই বিষয়ে সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছিলেন। সে সময় কিসিঞ্জার বলেছিলেন, ‘যুদ্ধ শেষ করতে প্রয়োজনে ইউক্রেনের উচিত রাশিয়ার কাছে ভূখণ্ড ছেড়ে দেয়া।’ এই মন্তব্য করেই তিনি ক্ষান্ত থাকেননি। তিনি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা বিশ্ব ইউক্রেনে রাশিয়ার যে অপমানজনক পরাজয় আশা করছে তা দীর্ঘ মেয়াদে ইউরোপের স্থিতিশীলতাকে নষ্ট করবে। পশ্চিমা বিশ্বের এই বিষয়টি উপলব্ধি করা উচিত যে—রাশিয়া ইউরোপের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তাই পশ্চিমের উচিত হবে না ‘তড়িঘড়ি’ কোনো সিদ্ধান্তে আসা। এ সময়, তিনি পশ্চিমা বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানান যে—তারা যেন ইউক্রেনকে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ‘পূর্বতন স্থিতাবস্থা (স্ট্যাটাস ক্যু)’ ফিরিয়ে আনতে আলোচনায় চাপ প্রয়োগ করে। কিসিঞ্জার বলেন, ‘এই আলোচনা আগামী দুই মাসের মধ্যে শুরু হতে হবে, পরিস্থিতি সমাধান অযোগ্য হয়ে যাওয়ার আগেই। আদর্শগতভাবে, দুই দেশের মধ্যকার বিভাজন তুলে ফেলে সম্পর্ক আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই যুদ্ধ আসলে কেবল ইউক্রেনের স্বাধীনতার বিষয়েই নয় বরং একই সঙ্গে তা রাশিয়ার নিজের বিরুদ্ধেও একটি নতুন যুদ্ধ।’ আরও পড়ুন: পুতিনের মন্তব্য বিশ্বের জন্য হুমকি: গুতেরেস কিসিঞ্জার প্রস্তাবিত স্ট্যাটাস ক্যু-এর অর্থ হলো রাশিয়া যেমন আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রিমিয়া নিয়ন্ত্রণ করছে তা করতে থাকবে এবং প্রয়োজনে ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চল দনবাসের দনেৎস্ক ও লুহানস্কও নিয়ন্ত্রণ করবে অনানুষ্ঠানিকভাবে। তবে ইউক্রেন এবং পশ্চিমা বিশ্ব বারবার কিসিঞ্জারের এমন প্রস্তাব তো বটেই রাশিয়ার এমন অবস্থান মানবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে। এই অবস্থায় রাশিয়া নিজের ভাঙন রুখতে এবং নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা কায়েমের লক্ষ্যে ইউক্রেনে পারমাণবিক হামলা চালাবে কিনা তা নিয়ে অবশ্যই নতুন করে ভাবতে হবে। রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর প্রথম সপ্তাহ অর্থাৎ ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকেই কৌশলগত পরমাণু অস্ত্রগুলো ‘হাই অ্যালার্ট’ অবস্থানে রাখার ঘোষণা দিয়েছিল। সেই আদেশ পুতিন তুলে নিয়েছেন এমনটা শোনা যায়নি। সর্বশেষ রাশিয়া আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র সারমাত মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে। সারমাত ক্ষেপণাস্ত্রটি একসঙ্গে ১০টিরও বেশি পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম। ফলে সবমিলিয়ে দেখা যায় যে, রাশিয়া তার লক্ষ্য হাসিলে প্রয়োজনে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারে প্রস্তুত। রাশিয়ার এই প্রস্তুতি থেকে অনুমান করতে পারা যায় দেশটি ইউক্রেনে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের একটি সুযোগ তৈরি করছে। এমন মন্তব্য করেছেন ব্রিটিশ থিংকট্যাংক চ্যাথাম হাউজের আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা কর্মসূচির পরিচালক প্যাট্রিসিয়া লুইস। তিনি বলেন, ‘আমরা যা মনে করি তা হলো, আগে শান্তিকালীন সময়ে রাশিয়া যাতে পারমাণবিক ব্যবহার করতে না পারে সে বিষয়ে একটি ভারসাম্য বজায় ছিল।’ আরও পড়ুন: খেরসনে ‘নির্দয়ভাবে’ বেসামরিকদের হত্যা করছে রাশিয়া: জেলেনস্কি প্যাট্রিসিয়া লুইস আরও বলেন, ‘কিন্ত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করার জন্য প্রেসিডেন্ট পুতিনের প্রয়োজন ছিল শান্তির সময়কে যুদ্ধকালীন সময়ে বদলে দেয়া। এ কারণে তিনি তার বাহিনীকে বিশেষ সামরিক অভিযানের মুডে রেখেছেন। যাতে চাইলে তিনি একে যুদ্ধ বলে ঘোষণা করতে পারেন (অবশ্য তিনি তার এক ভাষণে ইউক্রেনে অভিযানকে যুদ্ধ বলেছিলেন।) কিংবা প্রয়োজন অনুসারে সেখান থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করা যেতে পারে। আমরা সম্ভবত, একে যুদ্ধের প্রস্তুতি বলতে পারি। তবে তিনি যা করেছেন বলে মনে হচ্ছে, তা থেকে বোঝা যায়, তিনি যদি চান তবে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের জন্য একটি বৈধ প্ল্যাটফর্ম এরইমধ্যে তৈরি হয়ে গেছে।’ প্যাট্রিসিয়া লুইসের বক্তব্যকে সহজ করে বললে বলা যায়, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধকে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ নাম দিয়ে মূলত পরিভাষাগত জটিলতা তৈরি করেছেন। এর মাধ্যমে একই সঙ্গে তিনি ইউক্রেনে যুদ্ধকে বৈধ করার চেষ্টা চালিয়েছেন এবং যদি কখনো প্রয়োজন হয় পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের জন্য এই অভিযানকে যুদ্ধ হিসেবে আখ্যায়িত করে সেখানে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করার সুযোগও রেখেছেন। নিউ স্টার্ট চুক্তি থেকে রাশিয়া নিজেকে প্রত্যাহার করার পর রুশ কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, রাশিয়া যদিও চুক্তি থেকে সরে এসেছে তারপরও পরমাণু যুদ্ধ আসন্ন নয়। এ বিষয়ে রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই র‌্যাবকভ বলেন, ‘রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিউ স্টার্ট চুক্তিতে অংশগ্রহণ স্থগিত করায় পারমাণবিক সংঘাতের ঝুঁকি বাড়ায় না।’ কিন্তু বাস্তবতা, যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার অবস্থান এবং রুশ নীতি নির্ধারকদের বক্তব্য আশঙ্কা দূর হতে দেয় না। আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি বাতিল ঘোষণা পুতিনের মেদভেদেভ তো বটেই পুতিন নিজেও প্রয়োজনে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারেরর হুমকি দিয়েছেন। তিনি ন্যাটোকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আমি আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চাই যে, আমাদের দেশেও ধ্বংসকারক বিভিন্ন উপাদান রয়েছে এবং কিছু উপাদান ন্যাটো দেশগুলোর তুলনায় আরও বেশি আধুনিক।’ ফলে বুঝতে কষ্ট হয় না যে, পুতিন কেবল ব্লাফ বা ফাঁকা হুমকি দেননি। তার সারবত্তাও রয়েছে। ব্রিটিশ থিংকট্যাংক রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল প্রফেসর ম্যালকম শালমারস বলেন, ‘আমি এখনও রাশিয়ান পারমাণবিক শক্তির সাজসজ্জায় কোনো পরিবর্তনের প্রতিবেদন পাইনি। অবশ্য আমার কাছে এমন তথ্য খুব একটা আসে না। তবে আমি এমন প্রতিবেদন দেখিনি। সুতরাং এটি কীভাবে পরিবর্তিত হয় তা পরিষ্কার নয়। তবে ঘটনা যাই ঘটুক না কেন, আমাদের এটি মাথায় রাখতে হবে যে, রাশিয়া একটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশ।’ পশ্চিমা বিশ্বের বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের এ বিষয়টি মাথায় রাখা আরও বেশি প্রয়োজন। কারণ তারাই একমাত্র দেশ, যারা যুদ্ধক্ষেত্রে লক্ষ্য হাসিলে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের নজির রেখেছে। ফলে ইউক্রেন যুদ্ধের এ পর্যায়ে এসে রাশিয়া যে অবস্থানে রয়েছে, তাতে দেশটি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। তথ্যসূত্র: সিএনএন, ওয়াশিংটন পোস্ট, আল-জাজিরা, ইন্ডিপেন্ডেন্ট এবং সিএনবিসি






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply