Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » য়টার্সের প্রতিবেদন ট্রাম্পকে হারাতে কিসের ছক কষছেন বাইডেন?




আগামী নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এ নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেনের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ হওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে আছেন সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরই মধ্যে দেশটিতে প্রচার-প্রচারণা জমে উঠেছে। একেক দিনে একেক ইস্যুতে উত্তাল দুই শিবির। অধিকাংশ জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে যে, টাম্প বাইডেন থেকে অনেক এগিয়ে রয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত নিউ হ্যাম্পশায়ারের প্রাইমারিতে জয়ের পর রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন দৌড়ে থাকা ট্রাম্পের প্রার্থিতার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়েছে। যদিও রিপাবলিকান পার্টির অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী নিকি হ্যালি শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রায়ই বাগ্‌যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছেন জো বাইডেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের সঙ্গে মাঠের লড়াইয়ে জিতে ফের হোয়াইট হাউজের মসনদে বসার প্রত্যয় জানিয়েছেন বাইডেন। যদিও সবশেষ জনমত জরিপগুলো ট্রাম্পকেই এগিয়ে রাখছে। এমনকি বাইডেনের শাসনামলে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, তার বয়স, অর্থনৈতিক পরিকল্পনা, সীমান্ত ও মধ্যপ্রাচ্য নীতি নিয়ে মার্কিনিরা বেশ ক্ষুব্ধ। ২০২০ সালের মতো আবারও ট্রাম্পকে পরাজিত করার জন্য বাইডেনের দলের নীতি নির্ধারকেরা কিছু সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছেন। এর মধ্যে রয়েছে ট্রাম্প গণতন্ত্রের জন্য গুরুতর হুমকি, গর্ভপাতের বিরুদ্ধে তার বিরোধিতা এবং ব্যক্তি স্বাধীনতার ক্ষেত্রে ঝুঁকি-- এসব বিষয় নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণা। বাইডেনের বয়স এখন ৮১ বছর। এই বয়সে প্রেসিডেন্ট পার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে অনেক মার্কিনির সংশয় থাকলেও, বাইডেন ও ডেমোক্র্যাট সমর্থকরা মনে করছেন, ট্রাম্পকে হারানোর জন্য তিনিই একমাত্র শক্তশালী প্রতিদ্বন্দ্বী। গত ডিসেম্বরে একটি নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘ট্রাম্প যদি আগামী নির্বাচনে প্রার্থী না হতেন, আমিও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতাম কি না, আমি নিশ্চিত নই। আমরা তাকে জয়ী হতে দিতে পারি না।’ অধিকাংশ জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে যে, টাম্প বাইডেন থেকে অনেক এগিয়ে রয়েছেন। ট্রাম্পের অনেক সমর্থক তার বিরুদ্ধে হওয়া মামলা নিয়েও চিন্তিত নয়। ট্রাম্পের সাজা হলেও তাকে ভোট দিতে তাদের কোনো সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন। রিপাবলিকান অনেক সমর্থক মনে করেন, ২০২০ সালে ট্রাম্পকে ভোট জালিয়াতির মাধ্যমে হারিয়ে দেয়া হয়েছে। আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আক্রমণ হলে ন্যাটো বাঁচাতে আসবে না: ট্রাম্প বাইডেনের নির্বাচনী প্রচার দলের কর্মকর্তারা বলছেন, এই মুহূর্তে বেশিরভাগ মার্কিনি ট্রাম্পকে হয় ভালোবাসেন, না হয় ঘৃণা করেন। বাইডেনের ক্ষেত্রেও বিষয়টি একই রকম। এমন পরিস্থিতিতে ২০২৪-এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনতে পারেন সে বিষয়েই নজর থাকবে। বাইডেন ও ডেমোক্র্যাটদের বিরুদ্ধে ‘ভীতি প্রদর্শনের’ অভিযোগ তুলেছেন ট্রাম্প। জানুয়ারির শুরুর দিকে বাইডেনের শাসনকে দুর্বল, অযোগ্য, দুর্নীতিতে ঠাসা ও ব্যর্থ বলে অভিযোগ করেন সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে সাবেক প্রেসিডেন্টের নির্বাচনে লড়ার ঘটনা নতুন নয়। দেশটির গত আড়াইশ বছরের ইতিহাসে সাতবার এমন ঘটনা ঘটেছে। যার সবশেষ ঘটনা বাইডেন বনাম ট্রাম্প লড়াই। তবে তাদের এই লড়াই ক্ষমতাসীন কোনো ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে সাবেক কোনো রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের লড়াইয়ের দ্বিতীয় ঘটনা। প্রায় ৭০ বছর আগে ১৯৫৬ সালের নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট অ্যাডলাই স্টিভেনসনের বিরুদ্ধে লড়েন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোয়াইট আইজেনহাওয়ার। আরও পড়ুন: ধর্ষণের মামলায় ৮৩ মিলিয়ন ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ ট্রাম্পকে অর্থনীতি বনাম গণতন্ত্র আগামী সপ্তাহগুলোতে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য সফর শুরু করবেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস। প্রার্থীদের কাছে কিছু কিছু অঙ্গরাজ্য যেগুলো ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট বা নির্বাচনী রণক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত; সেগুলোতে তারা শুরুতে সফর করবেন বলে জানা গেছে। এর মধ্যে রয়েছে পেনসিলভানিয়া, মিশিগান ও উইসকনসিন। এসব সফরে অর্থনৈতিক ইস্যুতে নজর দেবেন বাইডেন। এছাড়া ডোনাল্ড ট্রাম্প গণতন্ত্রের জন্য যে হুমকি সে বিষয়গুলোতে বাড়তি গুরুত্ব দিতে চান ডেমোক্র্যাটরা। এরই মধ্যে ২৭ জানুয়ারি সাউথ ক্যারোলিনায় ডেমোক্র্যাটদের সমর্থন জোরদারের অংশ হিসেবে অঙ্গরাজ্যটি সফরে যান বাইডেন। এটি কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। সেখানে একটি নৈশভোজে অংশ নেন বাইডেন। নৈশভোজের সময় দেয়া বক্তব্যে বাইডেন বলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ায় কৃষ্ণাঙ্গসহ বিপুলসংখ্যক মার্কিন নাগরিককে সহযোগিতা করতে পেরেছেন। যেমন হোয়াইট হাউসে কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়ার ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য রাখা হয়েছে, ঐতিহাসিকভাবে কৃষ্ণাঙ্গদের কলেজ হিসেবে পরিচিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে বড় বিনিয়োগ করেছেন, ইনসুলিনের খরচ কমিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে প্রথম কোনো কৃষ্ণাঙ্গ নারীকে নিয়োগ দিয়েছেন। নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে অঙ্গরাজ্যটিতে ডেমোক্র্যাটদের জয় পাওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে বাইডেন আশা করেন, সাউথ ক্যারোলিনার দিকে মনোযোগী হলে ডেমোক্র্যাটদের প্রতি কৃষ্ণাঙ্গদের সমর্থন বাড়বে। বাইডেন মনে করেন, ২০২০ সালের নির্বাচনের মতো এবারের নির্বাচনেও একই ফল আসবে। তিনি বলেন, ট্রাম্প আজকাল কিছুটা দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছেন। মনে হচ্ছে, তিনি নিকি হ্যালি আর ন্যান্সি পেলোসির মধ্যে পার্থক্য করতে পারছেন না। সম্প্রতি এক বক্তব্যে ট্রাম্প তার রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী হ্যালির নাম বলতে গিয়ে বারবারই পেলোসির নাম বলছিলেন। পেলোসি হলেন মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের সাবেক স্পিকার। এদিকে আসন্ন নির্বাচনে ট্রাম্পকে নারী ভোটারদের কাছে ধরাশায়ী করতে গর্ভপাতকেই প্রচার এজেন্ডা হিসেবে বেছে নিয়েছে ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটরা। এর আগে এক বিবৃতিতে কামালা হ্যারিস বলেন, ‘ট্রাম্প ২০২৪ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে পুনরায় নির্বাচিত হলে প্রতিটি রাজ্যে গর্ভপাতের আইন প্রয়োগ করার চেষ্টা করবেন। আরও পড়ুন: বাইডেনের চেয়ে অনেক এগিয়ে ট্রাম্প পর্যাপ্ত তহবিল নিয়ে ভয় ট্রাম্পের আইওয়া ও নিউ হ্যাম্পশায়ারে ট্রাম্পের জয়ের পর নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহের কর্মসূচি জোরালোভাবে শুরু করেছেন বাইডেন। ডেমোক্র্যাটদের নির্বাচনী প্রচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, ২০২৩ সালে শেষ তিন মাসে তারা বেশ ভালো মানের নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহ করেছেন। যার পরিমাণ ৯৭ মিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে একই সময়ে ট্রাম্প শিবির ৪৫ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করেছেন। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানেও রিপাবলিকান পার্টির তহবিল সংগ্রহ আশাব্যাঞ্জক নয়। ফ্লোরিডার অ্যাটর্নি ও বাইডেনের নির্বাচনী তহবিল কমিটির প্রধান জন মরগান বলেন, ট্রাম্পের আবার ফিরে আসাকে অনেক মার্কিনি ভয় পায়। কারণ তিনি ক্ষমতায় আসলে জনগণ তাদের দেশ, গণতন্ত্র, অধিকার হারানোর উচ্চ ঝুঁকিতে থাকবে। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনের জয়ের ক্ষেত্রে নির্বাচনী তহবিল একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করা হয়। ওই তহবিল ব্যবহার করে টেলিভিশন বিজ্ঞাপনে রিপাবলিকানদের জর্জরিত করে ফেলে বাইডেন শিবির।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply