Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » গাংনীর এমপি ডাক্তার এএসএম নাজমুল হক সাগর-এর উপস্থিতিতে পিঠা উৎসবে নতুন মাত্রা যােগ




হাজার বছরের সমৃদ্ধশালী সংস্কৃতির উত্তরাধিকারী বাঙালি জাতি। খাদ্যরসিক বাঙালিরা প্রাচীনকাল থেকে প্রধান খাদ্যের পরিপূরক মুখরোচক অনেক খাবার তৈরি করে আসছে। তবে পিঠা সর্বাধিক গুরুত্বের দাবিদার। শুধু খাবার হিসেবেই নয়। বরং লোকজ ঐতিহ্য এবং নারী সমাজের শিল্প নৈপুণ্যের স্মারক রূপেও পিঠা বিবেচিত হয়। বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছে পিঠা। যখনই পিঠা-পায়েস, পুলি কিংবা নাড়ুর কথা উঠে তখনি যেন শীত ঋতুটি আমাদের চোখে ও মনে ভেসে ওঠে। প্রতি শীতেই গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে শুরু হয় পিঠা পুলির উৎসব। বাংলার নারী সমাজ অতীতে শিক্ষা-দীক্ষায় অনগ্রসর ছিল সত্য, কিন্তু স্বীকার করতে হবে এদেশের নারী সমাজ লোকজ শিল্পকর্মে অত্যন্ত নিপুণ এবং সুদক্ষ। এলাকা অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন বা আলাদা রকম পিঠা তৈরি হয়ে থাকে। গ্রামাঞ্চলে সাধারণত নতুন ধান ওঠার পর থেকেই পিঠা তৈরির আয়োজন করা হয়। শীতের সময় বাহারি পিঠার উপস্থাপন ও আধিক্য দেখা যায়। বাঙালির লোক ইতিহাস ও ঐতিহ্যে পিঠা-পুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে বহুকাল ধরে। এটি লোকজ ও নান্দনিক সংস্কৃতিরই বহি:প্রকাশ। যান্ত্রিক সভ্যতার এই ইট-কাঠের নগরীতে হারিয়ে যেতে বসেছে পিঠার ঐতিহ্য। সময়ের স্রোত গড়িয়ে লোকজ এই শিল্প আবহমান বাংলার অপরিহার্য অঙ্গ হয়ে উঠলেও এ যুগে সামাজিকতার ক্ষেত্রে পিঠার প্রচলন অনেকটাই কমে এসেছে। তাই মুখরোচক খাবার হিসেবে পিঠার স্বাদ গ্রহণ ও জন সমক্ষে একে আরো পরিচিত করে তুলতে শহরে ও গ্রামে বিভিন্ন স্থানে শীতকে ঘিরে আয়োজন করা হয় পিঠা উৎসব। লোকজ এই ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে কনকনে শীতকে ভেদ করে মেহেরপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী গাংনী সরকারী মাধ্যমিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়ােজন করা হয় পিঠা উৎসব। বুধবার দিনব্যাপি বিদ্যালয় চত্বরে বর্ণাঢ্য আয়ােজনে অনুষ্ঠিত হয় পিঠা উৎসব। বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীদের হাতের নিপুণ ছােয়ায় ২শতাধিক নানা প্রকার পিঠার পসরা সাজানাে হয় ৩০টি স্টলের মাধ্যমে। এদিন দুপুরে পিঠা উৎসবে মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের নব-নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য ডাক্তার এএসএম নাজমুল হক সাগর-এর উপস্থিতিতে উৎসবে নতুন মাত্রা যােগ হয়। প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য ডাক্তার এএসএম নাজমুল হক সাগর পিঠা উৎসবের যারা প্রাণ, বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের সাথে মিশে একাকার হয়ে যান। প্রধান অতিথি কখনও নিজে পিঠা খাচ্ছিলেন। আবারাে কখনও কখনও শিক্ষক,শিক্ষার্থী,অভিভাবক ও অন্যান্য অতিথিদের পিঠা খাচ্ছিলেন। পিঠা খাওয়ানাের কাজে বাদ দেননি মিডিয়া কর্মীদেরও। এসময় সেখানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে আয়োজনে অংশ নেন গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক, গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা,গাংনী থানার ওসি তাজুল ইসলাম, গাংনী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল আলম, গাংনী মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পারভেজ সাজ্জাদ রাজাসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ। অনুষ্ঠানে সভাপতি করেন গাংনী সরকারী মাধ্যমিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফুজ্জামান লালু। দিনব্যাপি এ আয়ােজনের অংশ হিসাবে আলােচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পরিচালনা করেন বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক সুমন হােসেন। আয়োজনে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন,পিঠা উৎসবটিকেই বলা হয় বাঙালিয়ানা। এক সময় নতুন ঋতুর আগমন হলেই পিঠা উৎসব হতাে বাঙালির ঘরে ঘরে। এই যান্ত্রিক যুগে হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনার যে চেষ্টা করেছে গাংনী সরকারী মাধ্যমিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তা প্রশংসার দাবিদার। আমি আশা রাখছি,গাংনীর প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সংগঠন এই উদ্যােগটি নেবে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply