Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » মুজিবনগর, আমঝুপি নীলকুঠি, ভাটপাড়া নীলকুঠিতে দেখা দিয়েছে পর্যটকের অভাব।




মেহেরপুরে পর্যটন, আবাসিক হোটেল ও রেস্তোরাঁ ব্যবসায় বিরাজ করছে অচলাবস্থা। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পবিত্র ভূমি মুজিবনগর, আমঝুপি নীলকুঠি, ভাটপাড়া নীলকুঠিতে দেখা দিয়েছে পর্যটকের অভাব। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পারছে না জায়গাগুলো। যুগ যুগ ধরে একই চিত্র মেহেরপুরের পর্যটন খাতে। সে কারণে মুজিবনগরসহ পর্যটন খাতগুলোতে দর্শণার্থীর দেখা নেই। সেখানে শতাধিক

প্রান্তিক ব্যবসায়ী পর্যটকের অভাবে তাদের ভাসমান দোকান গুটিঁয়ে রেখেছেন। পর্যটনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা জানান, পর্যটন খাতে নতুনত্ব না থাকায় পর্যটক আসছেন না। ফলে তাদের ব্যবসায় এতটাই ধ্বস নেমেছে যে কর্মচারীদের মাসিক বেতন বন্ধ হবার উপক্রম। মুজিবনগর পর্যটন এলাকায় ব্যক্তি উদ্যেগে গড়ে উঠেছে ‘অনন্যা’ ও ‘মনোরমা’ নামের দুটি মিনি পার্ক ও চিড়িয়াখানা। ‘অনন্যা’ পার্কের মালিক হাসানুজ্জামান লাল্টু বলেন, পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে মুজিবনগর। পর্যটক না পাওয়াতে চিড়িয়াখানার কর্মরত লোকবলের বেতন হয়তো বাকি রাখা যাবে কিন্তু প্রাণীদের খাবারের চাহিদা মেটাতে হচ্ছে ধার-দেনা করে। ঐতিহাসিক মেহেরপুর সারাদেশব্যাপী পরিচিত স্বাধীনতার সুতিকাগার মুজিবনগরের জন্য। বছরের প্রতিটি দিনেই পর্যটকে মুখরিত থাকতো জায়গাটি। তবে শীত মৌসুম শুরু হলেও দেখা নেই পর্যটকের। ব্রিটিশদের নীল চাষ ও চাষিদের নির্যাতনের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে আমঝুপি ও ভাটপাড়া নীলকুঠি। সেই জায়গাগুলোতেও পর্যটকদের আকর্ষণ করার মত নেই দৃশ্যমান কোনো কিছু। পুরোনো বাড়ি আর আমের বাগান ছাড়া কিছুই গড়ে ওঠেনি সেখানে। সেখানকার ব্যবসায়ীরা জানান, নাগরদোলা, বোট, আজব গুহা অচল অবস্থায় পড়ে আছে। স্থানীয় দুয়েকজন ছাড়া আর কেউ আসেনা নীলকুঠিতে। কয়েক বছর আগেও ভাটপাড়া নীলকুঠিতে বিভিন্ন সেমিনার, বিনোদন অনুষ্ঠান, পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকতো। এখন হাতে গোনা কয়েকজনের আসা যাওয়া হয়। কয়েকদিন আগে ভাটপাড়া নীলকুঠিতে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় কয়েকজন তরুণ-তরুণী সেখানে ঘোরাঘুরি করছেন। তাদের কাছে পর্যটক না আসার কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন, এখানে শুধু নামটাই আছে, দেখার মত তেমন কিছই নেই। অথচ পাশের জেলাগুলোতে সম্প্রতি তৈরি হওয়া ব্যক্তি মালিকানাধীন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। কারণ সেখানে বিনোদনের ব্যাপক ব্যবস্থা আছে। কিন্তু মেহেরপুরের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে শত শত বিঘা জায়গা রয়েছে ঝোঁপ ঝাঁড়ের দখলে। কোনো পরিবর্তন নেই। মুজিবনগরের আম্রকাননে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী বিক্রেতারা তাদের পণ্য ভ্যানে গুটিয়ে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রেখেছেন। সেখানে কোনো বিক্রেতার দেখা মেলেনি। তবে স্থানীয় কয়েকজন জানান, পর্যটক নেই, বেচা বিক্রি নেই, তাই ঢেকে রাখা হয়েছে সামগ্রী। তবে পর্যটক খাতে যুগপোযোগী পরিবর্তন আসছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রসাশক শামীম হাসান। তিনি বলেন, মুজিবনগরকে কেন্দ্র করে ৫৭০ কোটির টাকার একটি প্রকল্প অচিরেই বাস্তবায়িত হবে। সেটি হলে খুলনা বিভাগের মধ্যে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে মুজিবনগর। দেশি-বিদেশি পর্যটকে মুখরিত থাকবে আম্রকানন।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply