Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » শিরোপা হাতে পেলেন সাগরিকারা




ফুটবল ফেডারেশনের মাঠে জিমের পেছনে একটি বোর্ড। সামনে খানিকটা জায়গাজুড়ে ছোট কার্পেট বিছানো। রোববার বাফুফে ভবনের পাশে কৃত্রিম টার্ফে এমন সাদামাটা আয়োজনের মধ্য দিয়েই সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ শিরোপাজয়ী মেয়েদের হাতে ট্রফি ও পদক তুলে দেওয়া হয়। তবে সব ছাপিয়ে টুর্নামেন্ট সেরা ও সর্বাধিক গোলদাতা সাগরিকা বন্দনায় মেতেছিলেন উপস্থিত সবাই। সাফ অ-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের নাটকীয় ফাইনালের টস কাণ্ডের পর বাংলাদেশ ও ভারত যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হয়। ৯ ফেব্রুয়ারি ভারত ট্রফি নিয়ে বাংলাদেশ ছাড়ে। নয় দিন পর রোববার চ্যাম্পিয়ন ট্রফি ও পদক বুঝে পেলেন স্বাগতিক ফুটবলাররা। চ্যাম্পিয়ন দলের অনেক ফুটবলার এসএসসি পরীক্ষার্থী। তাই ট্রফি নিতে আসতে পারেননি। ট্রফি নিতে আসেন মাত্র ১৩ জন ফুটবলার। সাফ অ-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপটি ছিল মূলত বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড সাগরিকাময়। দুটি ম্যাচে জয়ের কান্ডারি এবং ফাইনালে শেষ মুহূর্তে সমতাসূচক গোলটিও তার। স্বাভাবিকভাবেই টুর্নামেন্ট সেরা হন সাগরিকা। আর চার গোল করে ভারতের পূজা ও শিবানী দেবীর সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতা হন তিনি। দুটি পুরস্কার হাতে নিয়ে উচ্ছ¡সিত সাগরিকা বলেন, ‘ভালো লাগছে। আমি দুটি পুরস্কার পেয়েছি। জানতাম না আমি পুরস্কার পাব। ‘আজ সকালে শুনেছি।’ গতি, শটের পাওয়ার ও গোল করার দক্ষতায় অনেকেই তার মধ্যে জাতীয় দলের অধিনায়ক সাবিনার ছায়া খুঁজে পাচ্ছেন। দুজনের পজিশনও প্রায় একই। জুনিয়র সাফের সেরা খেলোয়াড় হয়েও অগ্রজ সাবিনাকে অনেক উপরেই রাখলেন সাগরিকা, ‘সাবিনা আপুর জায়গায় যেতে পারব না। তারপরও চেষ্টা করব।’ কেন যেতে পারবেন না তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন সাগরিকা, ‘আপুর খেলা আর আমার খেলা তো এক না। উনি অনেক সিনিয়র। তার জ্ঞান ও আমার জ্ঞান আলাদা। ওই জায়গায় যেতে আমার অনেক পরিশ্রম করতে হবে।’ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এই তারকা ফুটবলার যোগ করেন, ‘আমি আরও এগোতে চাই। এজন্য আরও বেশি ভালো খেলে জায়গা তৈরি করতে চাই।’ বাংলাদেশের ফুটবলে এখন পরিচিত নাম সাগরিকা। টুর্নামেন্টের আগে-পরে কেমন পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে সাগরিকা বলেন, ‘টুর্নামেন্টের আগে সাগরিকাকে কেউ চিনত না। এখন অনেকে চেনে।’ বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক আফঈদা খন্দকারও সতীর্থ সাগরিকার প্রশংসা করে বলেন, ‘সাগরিকা খুবই ভালো খেলোয়াড়। ওর ওপর আমাদের আস্থা ছিল সে গোল করবে এবং করেছেও।’ নারী দলের কোচ হিসাবে প্রথম সাফল্য পেলেন সাইফুল বারী টিটু। তিনিও তৃপ্ত, ‘ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন এমন একটা বোঝা ছিল আমার ওপর। চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেই দায়িত্বটা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি। তবে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে আরও ভালো লাগত।’






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply