ইসরাইলের চার বসতি স্থাপনকারীর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
গাজার পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলার অভিযোগে ইসরাইলের চার অবৈধ বসতি স্থাপনকারীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) পশ্চিম তীরে ইসরাইলের সহিংসতা ‘অসহনীয় পর্যায়ে’ পৌঁছেছে দাবি করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টিকে অনুমোদন দিয়ে এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন বাইডেন। খবর:বিবিসির।
নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী ইসরাইলের ওই চারজন বসতি স্থাপনকারী যুক্তরাষ্ট্রের কোন ধরনের সম্পদ ব্যবহার করতে পারবেন না ও মার্কিন আর্থিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে কোনভাবে নিজেদের যুক্ত করতে পারবেন না।
বাইডেন এক আদেশে বলেন,
পশ্চিম তীরে উগ্রবাদী বসতি স্থাপনকারীদের সংঘাত সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। লাখ লাখ মানুষকে স্থানান্তরিত করছে। গ্রামের পর গ্রাম, সম্পদ ধ্বংস করে দিচ্ছে যা সহ্য করা যাচ্ছে না। এই অঞ্চলের শান্তি, স্থিতি ও নিরাপত্তাকে চরম ঝুঁকির মুখে ফেলে দিয়েছে।
আরও পড়ুন:নতুন করে ইসরাইল-হামাস যুদ্ধবিরতি নিয়ে ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’
বাইডেনের এই ঘোষণার পর ইসরাইল অসন্তোষ জানিয়েছে এবং দাবি করেছে যে পশ্চিম তীরের সংখ্যাগরিষ্ঠ বসতি নির্মাণকারী আইন মান্যকারী।
এ বিষয়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, যে কোন ক্ষেত্রে আইন লংঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় ইসরাইল। তাই এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুতর কোন পদক্ষেপ নেয়ার প্রয়োজন দেখে না তেল আবিব।
ইসরাইলের এই প্রতিক্রিয়ায় দু’দেশের সম্পর্ক আরও শীতল হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:মার্কিন সেনা নিহত / ইরানকে যেভাবে জবাব দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র
যদিও ইসরাইল-যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন থেকে মিত্র দেশ বলে বিবেচিত। কিন্তু গত কয়েক সপ্তা ধরে ফিলিস্তিন ইস্যুতে দু’দেশের মধ্যে মতবিরোধ স্পষ্ট হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে ইসরাইলের পাশাপাশি একটি আলাদা ফিলিস্তিন রাষ্ট্র যা দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান বলে পরিচিত এখন গাজায় শান্তি ফেরাতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয়। কিন্তু শুরু থেকেই এই ধারণার বিরোধীতা করে আসছেন নেতানিয়াহু। এবং এ বিষয়ে গত মাসে হোয়াইট হাউস বলেছে,
পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে যে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল সরকার ভিন্নভাবে চিন্তা করছে।
No comments: