হাতির পিঠে করে জঙ্গল ঘুরলেন মোদি

হাতির পিঠে চড়ে আসামের কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান ঘুরে দেখলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার (৯ মার্চ) সকাল জিপ গাড়িতে চড়েও জাতীয় উদ্যানের কিছু অংশ ঘুরে দেখেন তিনি। কাজিরাঙায় হাতির পিঠে ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, এবারই প্রথম কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান পরিদর্শনে গেছেন নরেন্দ্র মোদি। উদ্যানের এক কর্মকর্তা বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রথমে কোহোরা রেঞ্জের মিহিমুখ এলাকায় হাতির পিঠে চড়েন। কিছু অংশ পরিদর্শনের পরে একই রেঞ্জের ভেতরে জিপে চড়ে ভ্রমণ করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে ছিলেন কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানের পরিচালক সোনালী ঘোষ ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন বন কর্মকর্তারা। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জওহরলাল নেহরু ১৯৫৭ সালে কাজিরাঙা সাফারি পার্ক পরিদর্শন করেছিলেন। এরপর ইন্দিরা গান্ধীও দুইবার কাজিরাঙা ভ্রমণ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী ১৯৮৮ সালে একবার কাজিরাঙায় গিয়েছিলেন। এরপর শনিবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজিরাঙায় গেলেন নরেন্দ্র মোদি। আরও পড়ুন: নারীর ‘ক্ষমতায়নে’ রান্নার গ্যাসের দাম কমালো ভারত! সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, দুই দিনের সফরে উত্তর-পূর্ব ভারত গিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার তেজপুর বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে চেপে তিনি পানবাড়ি যান। সেখান থেকে গাড়িতে চড়ে সড়কপথে কাজিরাঙায় পৌঁছান। কোহরা রেঞ্জের অতিথিশালায় রাত কাটানোর পর শনিবার সকালে তিনি কাজিরাঙা জঙ্গল পরিদর্শনে বের হন। কাজিরাঙা জঙ্গল পরিদর্শন শেষে আজ যোরহাটে ১৮ হাজার কোটি রুপির বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন নরেন্দ্র মোদি। সেখানে একটি জনসভায় তার ভাষণ দেয়ার কথা রয়েছে। এরপর অরুণাচল সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে নরেন্দ্র মোদির। আরও পড়ুন: ভারতে পানির নিচে প্রথম মেট্রো, উদ্বোধন করলেন মোদি আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ১০০ রুপি কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার (৮ মার্চ) সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেয়া পোস্টে মোদি লিখেছেন, ‘আজ, নারী দিবসে আমাদের সরকার এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১০০ রুপি কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি সারা দেশে লাখ লাখ পরিবারের আর্থিক টানাপোড়েন লাঘব করবে, বিশেষ করে আমাদের নারী শক্তিকে তা উপকৃত করবে।’ তিনি বলেন, রান্নার গ্যাস আরও সাশ্রয়ী করার মাধ্যমে পরিবারগুলোকে সহায়তা এবং একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।