Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » সজনে গাছগুলো সাদা ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে গাংনী উপজেলা জুড়ে




গাংনী উপজেলা জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সজনে গাছগুলো সাদা ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে। বসন্তের শুরুতে শিমুল লাল রং রঙ্গিন হয়ে বাহারে সাজসেজে উঠে,কৃষ্ণচুড়া তার অপরুপ রুপেসুবজ পাতার ভিতরে লাল ফুল প্রস্ফুটিত হয়ে মন কেড়ে নেয় পথ চলা পথিকের। তেমনি সাজ সেজে সাহারবাটি ইউপি দুইপাশের রাস্তার সজনে গাছগুলো সেজেছে সাদা শাড়িতে। অত্যন্ত সুস্বাদু ও রোগ প্রতিরোধক সবজি খ্যাত সজনে ফুলের পরিমাণ এতো বেশি যে কিছু গাছের পাতা পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে যেন এবার গাছে গাছে যে পরিমান ফুল এসেছে তাতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা সম্ভব।

সজনে একটি আমিষ জাতীয় সবজি এর বৈজ্ঞানিক নাম ((Moringa oleifera), সজনে প্রাচীনকাল থেকে গ্রাম বাংলার পাশাপাশি শহরে মানুষের কাছে অতি পরিচিত সুস্বাদু সবজি। সাধারণত মাঘ মাসের শেষ দিকে এবং ফাল্গুনের শুরুতে ফোটে সজনের ফুল। চৈত্রের শুরুতে কচি সজনের ডাটা খাওয়ার উপযোগী হলেও আষাঢ় মাস পর্যন্ত পাওয়া যায়। সজনে গাছ সব স্থানে লাগানো যায় যেমন, রাস্তার পাশ, জমির আইল, পুকুর ডোবার ও বাড়ির আশেপাশে পতিত জায়গা এবং কি সব ধরনের মাটিতে এর চাষ করানো যায়। সজনে পুষ্টিকর খাদ্য হওয়ায় এটি অর্থকরী ফসল ও বলা হয়। এটি শুধু সুস্বাদু নয় এর পাতা , ফল, ছাল থেকে বিভিন্ন ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সাহারবাটি গ্রামের হোমিও চিকিৎসক মোকাদ্দেসুর রহমান জানান, তার বাড়ির আঙ্গিনা ও জমিতে ২২ টি সজনে গাছ আছে। সাজনা গাছের থেকে আমরা ডাল সংগ্রহ করে সেই ডাল রোপণ করলে সেখান থেকে নতুন সাজনা গাছ হয়ে ওঠে। শুধু সজনে ডাঁটা নয়, এর পাতার অনেক উপকার আছে। গেল মৌসুমে ফুল ঝরে পড়ার পরপরই ২২ হাজার টাকায় সেগুলো বিক্রি করে দেন। পুষ্ট হলে দাম বেশি । গাংনী শহরের আক্তরুজজান মাস্টার বলেন, আমর বাড়ির সাথে দু’চারটি সজনে গাছ রয়েছে। এবার সজনে গাছে বেশি ফুল এসেছে দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। আলহাদুলিল্লাহ এটা খেতে খুবই মজাদার। সজনে পাতা অনেক উপকার ডাটা নিজেরা খায় প্রতিবেশীও আত্মীয় স্বজনদের দেওয়া হয়। জোড়পুকুরিয়া গ্রামের কামরুজ্জামান খোকন জানান, তার বাড়ি ও পুকুর পাড়ে ২০ টি সজনে গাছ রয়েছে। গাছে প্রচুর ফুল এসেছে। গাছের থেকে যে ডাটা আসে তা আমরা বাড়িতে খাই, বাড়ির লোকজন বিক্রি করে। তবে আগামীতে বাণিজ্যিকভাবে সজনে গাছ রোপণ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আব্দুল আল মারুফ জানান, সাজনে খুব সুন্দর, সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর একটি খাবার। এর পাতাও অত্যন্ত উপকারী। এটি পিত্তথলি, বাত ব্যথা, চিকন জর, শরীরের ব্যথা সহ অনেক রোগের ঔষধ হিসেবে কাজ করে। যদি কেউ চিকন জ্বর, পাতলা পায়খানা, কোষ্ঠকাঠিন্য, বুকে ব্যথা অনুভব করে বিশেষ করে ডানদিকের ব্যথা সে ক্ষেত্রে সজিনা পাতার রস করে বা সেদ্ধ করে বা তরকারিতে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এটি এজমা এবং হাঁপানিতেও কাজ করে তাই সব মিলে এদিকে ঔষধি গাছও বলা যেতে পারে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন জানান, উপজেলার বাণিজ্যিকভাবে কোন সজনে বাগান নেই। বাড়ির আশে পাশে পুকুর পাড়ে অনাদরে বেড়ে ওঠে এ গাছ। মৌসুমী এই দুই ধরনের সজনে আবাদ হয়ে থাকে। মার্চ থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত এ সময় বাজারে সজনে বেশি পাওয়া যায়। এটি একটি উচ্চমূল্যের ফসল, ও খুব কম যত্নের প্রয়োজন হয়। এটি যদি কোন কৃষক চাষাবাদ করেন তিনি অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন। সজনে কে বলা হয় পুষ্টির ডিনামাইট, পাতা থেকে শুরু করে ফল এর প্রত্যেকটি অংশ ব্যবহার করা যায়। কৃষক ভাইদেরকে বাণিজ্যিকভাবে সজনে চাষের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply