Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » স্বাধীনতা দিবসে মেহেরপুরে সরকারি অফিসে উত্তোলিত হলো না জাতীয় পতাকা।




হায় সেলুকাস - কি বিচিত্র এই দেশ স্বাধীনতার সুতিকাগার মেহেরপুরে স্বাধীনতা দিবসে সরকারি অফিসে উত্তোলিত হলো না জাতীয় পতাকা। মঙ্গলবার মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে মেহেরপুরে কয়েকটি সরকারি অফিসে জাতীয় পতাকার প্রতি অবমাননার অভিযোগ উঠেছে। মহান স্বাধীনতা দিবসে অফিস গুলোতে সরকারী বিধি অনুযায়ী উত্তোলন করা হয়নি জাতীয় পতাকা। বিষয়টি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও সচেতন সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি অফিস গুলো হল মেহেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়, মেহেরপুর সদর উপজেলা ভূমি অফিস এবং বিআরটিএ অফিস। মঙ্গলবার ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকারি বিধি অনুযায়ী বাংলাদেশের সকল সরকারি, আধা সরকারি, সায়িত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবনে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের প্রজ্ঞাপন জারি রয়েছে। মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানসূচিতেও বলা ছিল সকল সরকারি অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের কথা। তবে এ প্রজ্ঞাপনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মেহেরপুরে জেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়, মেহেরপুর সদর উপজেলা ভূমি অফিসারের কার্যালয় এবং বিআরটিএ অফিসের মতো গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সরকারি দপ্তরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়নি। ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্মাননা অনুষ্ঠিত হয় মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ও অন্যান্য অতিথিদের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকার অবমাননার বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী সহ অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

আলোচনা সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী বলেন, 'এই পতাকার জন্য আমরা মুক্তিযোদ্ধা করেছি। দেশ স্বাধীন করেছি। আজকে দেখছি খোদ সরকারি অফিসগুলোতেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়নি। এছাড়াও অনেকের কাছ থেকে খবর পাচ্ছি অনেক স্বায়ত্তশাসিত ও আধা সরকারি প্রতিষ্ঠান জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়নি। বিষয়টা আমাদের জন্য লজ্জাকর। এজন্য আমরা দেশ স্বাধীন করিনি। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে আর কি কথা বলবো। আমি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ' এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয় মসিউর রহমান বলেন, 'মেহেরপুরের সরকারি অফিসগুলোতেই জাতীয় পতাকার অবমাননা দীর্ঘদিন ধরেই একটি নিয়মিত ব্যাপার হয়ে উঠেছে। ইতোপূর্বে গত ১৭ ই মার্চ জাতীয় শিশু দিবসে কয়েকটি দপ্তরের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকতে দেখা গেছে। এমনকি জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মেহেরপুরের উপ-পরিচালকের অফিসে রাতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা অবস্থায় দেখা গেছে। বিষয়টি নিয়ে অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও লেখালেখি করেছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে কিনা সেটা জেলা বাসির জানা নেই। জাতীয় পতাকার অবমাননা নিয়ে সাধারণ জনগণের মধ্য থেকে অনেকেই বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন। তবে বিষয়টি সরকারি অফিসের হওয়াতে, ভবিষ্যতে হেনস্থার ভয়ে কেউ আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিতে রাজি হচ্ছেন না। জাতীয় দিবসে সরকারি অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করার বিষয়টি সম্পর্কে জানতে মেহেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসার মো:ওয়ালীউল্লাহ এবং সদর এসিল্যান্ড মাজহারুল ইসলাম কে তাদের সরকারি মোবাইল নম্বরে কয়েকবার ফোন দিলেও তারা ফোন ধরেননি। এ ব্যাপারে মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ শামীম হাসান বলেন, 'বিভিন্ন সরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করার বিষয়টি আমি শুনেছি। তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের দায়িত্বে অবহেলা পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করা হবে। জেলা প্রশাসক আরো বলেন, 'গত ২৫ মার্চেও অনেকে সরকারি কর্মসূচি পালনে ব্যর্থ হয়েছে। তাদেরকে ইতিমধ্যে কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply