নিষিদ্ধ অস্ত্রের কারণে গাজার মাটিতে ফলবে না আর ফসল

নিষিদ্ধ অস্ত্রের কারণে গাজার মাটিতে ফলবে না আর ফসল গাজা যুদ্ধে হামলায় ইসরায়েলের আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ যুদ্ধাস্ত্রের ব্যবহারে শুধু ফিলিস্তিনিরা নিহত হয়েছেন তাই নয় বরং গাজার কৃষি জমির উৎপাদনশীলতাও নষ্ট হয়েছে। এমন তথ্য দিয়েছেন একজন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা। গাজায় ইসরাইলের ব্যবহার করা যুদ্ধাস্ত্র মানুষ নিহতের পাশাপাশি ফসলি জমির উৎপাদনশীলতা নষ্ট করেছে। ছবি:সংগৃহীত প্যালেস্টাইন এগ্রিকালচারাল ওয়ার্ক কমিটি ইউনিয়নের পরিচালক মোয়াইয়াদ বাশারত সংবাদ সংস্থা আনাদোলুকে বলেন, ‘‘ গাজায় হামলার ক্ষেত্রে ইসরাইল বেশ কিছু নিষিদ্ধ যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করেছে। যেমন সাদা ফসফরাস, ক্ষতিকর বোমা এবং যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া ক্ষেপণাস্ত্র যা মানুষ নিহতের পাশাপাশি ফসলের জন্যও মারাক্তক ক্ষতিকর’’।

তিনি বলেছেন যে এই ধরণের অস্ত্র ভবিষ্যতে অন্ধত্ব, ক্যান্সার, সেইসঙ্গে অঙ্গচ্ছেদ এবং ত্বক পুড়ে যাওয়ার মত ঘটনা ঘটতে পারে। সেইসঙ্গে তিনি সতর্ক করেন, এই পদার্থ মাটি ও ফসল বিষাক্ত করে ফেলতে পারে। আরও পড়ুনগাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি চেয়ে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব বাশারত আরও বলেন কৃষকরা সরাসরি এই উপকরণগুলির সংস্পর্শে আসে বলে তারা ত্বকের ক্যান্সার বা অন্যান্য শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগের ঝুঁকিতে থাকতে পারে। গাজার মানুষ, প্রাণী এবং পরিবেশের উপর ইসরায়েলের নিষিদ্ধ যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহারের নেতিবাচক প্রভাবের ওপর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বাশারত। তিনি কিছু গবেষককে উদ্ধৃত করে বলেছেন যে যেসব জমিতে এই পদার্থগুলো মিশে গেছে সেগুলি তিন থেকে পাঁচ বছরের জন্য ফসল ফলানোর উপযুক্ত নাও হতে পারে। যদি হয়ও তাহলে এর উৎপাদনশীলতা ভাল হবে না বলেও জানান। আরও পড়ুন:গাজায় ২৮ হাজার নিহত হয়েছে, নেতানিয়াহু বলছেন যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন! একটি ভিডিওতে দেখা গেছে যে ইসরায়েলি বোমায় গাজার মাটিতে ১০ মিটারেরও গভীর গর্ত তৈরি হয়েছে যা থেকে নির্ধারণ করা কঠিন যে মাটি কতটা পুড়ে গেছে। এই ফসলি জমিগুলো যে উৎপাদনের উপযোগী নয় তা সহজেই অনুমান করা যায়। সূত্র:টিআরটি