Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » মেহেরপুরে ডাব সংকটের কারণে বাজারে নারকেলেরও দামও বেড়েছে




মেহেরপুরের কোথাও ডাব পাওয়া যাচ্ছে না। দু-এক জায়গায় মিললেও প্রতিটি ১৬০ থেকে ২শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জেলায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার নারকেল গাছ রয়েছে। খুচরা বিক্রেতারা গ্রামগঞ্জ ঘুরে ডাব সংগ্রহ করে বিক্রি করে। সাধারণত রমজান মাসে ও তাপদাহের কারণে ডাবের চাহিদা বাড়ে। বর্ষাকালে তেমন চাহিদা থাকে না। কিন্তু হঠাৎ করে তাপদাহ বেড়ে যাওয়াতে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ডাব জেলার চাহিদা মেটাতে পারছে না। এজন্য খুলনা থেকে প্রতিদিন ট্রাকে করে ডাব আনা হয়। কিন্তু ঈদের পর খুলনা থেকে কোনো চালান না আনায় চরম ডাব সংকট দেখা দিয়েছে। হাসপাতাল, ক্লিনিক চিকিৎসাধীন রোগীর বেডের নিচেও কোনো ডাবের দেখা মিলছে না। Advertisement

খুচরা ডাব বিক্রেতা রহমত আলীকে দেখা যায় নারকেল পর্যায়ের ৬টি ডাব নিয়ে শহরের পুরাতন পোস্ট অফিস মোড়ে বিক্রির জন্য অপেক্ষা করছেন। শারীরিকভাবে অসুস্থ খোরশেদ আলী ২শ টাকা দামে সেখান থেকে একটি ডাব কিনে পানি খেলেন। নাড়ু শেখ স্বাধীনতা-পূর্ব থেকে ডাব ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তিনি গাছ থেকে ডাব সংগ্রহ করে খুচরা বিক্রি করেন। তিনি বলেন, পাকিস্তান আমলে পাঁচ থেকে ছয় পয়সা করে ডাব কিনতেন গাছ মালিকদের কাছ থেকে। বিক্রি করতেন দশ পয়সা করে। বর্তমানে ৫০ টাকায় কিনে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি করেন। কিন্তু ঈদের পর বাইরে থেকে ডাব না আসায় সংকট দেখা দিয়েছে। স্থানীয় গাছ মালিকরাও ১২০/১৩০ টাকা করে ডাবের দাম হাঁকাচ্ছে। ওই ডাব দেড়শ দু’শ টাকা করে বিক্রি করতে হচ্ছে। তিনি জানান, এমন ডাব সংকট তিনি তার ব্যবসায়িক জীবনে দেখেননি। ডাব সংকটের কারণে বাজারে নারকেলেরও দামও বেড়েছে। ৬০ থেকে ৭০ টাকা দামের নারকেল ঈদের বাজারে ১শ টাকা করে বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে সেই নারকেলও ২শ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। ডাব ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে যে দামে ডাব বিক্রি হচ্ছে তাতে কোনো ডাবগাছের মালিক গাছে ডাব নারকেল হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে না। ডাবের এমন চাহিদার কারণে আগামী বছর নারকেল সংকট হবে মারাত্মক। সুমেল রসকার মেহেরপুরের একজন পরিবেশক ব্যবসায়ী। তিনি জানান, বাড়িতে সবাই মৌসুমি জ্বরে আক্রান্ত। রোগীদের জন্য শুক্রবার মেহেরপুর জেলার গ্রামগঞ্জ হাটবাজার ঘুরে কোথাও ডাব পাননি। যদিওবা দুএকটি বাজারে দেখা মিলেছে তা ঝুনা হওয়ার পর্যায়ের। নড়ালে ভেতরে পানি খেলার শব্দ পাওয়া যায়।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply