Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » বিরল:এস এস সি-১৯৮৬ সময়-সূচি প্রতিদিন সকাল ১০-দুপুর ১টা:বাংলা -১ম ও বিকাল ২টা-৫ টা :বাংলা-২য়




এই ছিল আমাদের কালের এস এস সি-১৯৮৬ সময়-সূচি ৬/৩/১৯৮৬ সকাল ১০-দুপুর ১টা:বাংলা -১ম

বিকাল ২টা-৫ টা :বাংলা-২য় একদিনেই ৬ ঘণ্টা(৩+৩) বর্ণনামূলক পরীক্ষা।মাঝখানে বিরতি ১ ঘণ্টা। বিরতির সময় খাওয়া,রিভাইস,মুরুব্বীদের ঝাড়ফুক,উপদেশ,ডাবের পানি,তাল পাখার বাতাস এক সাথে চলতো।বেশিরভাগ পরীক্ষার্থীর গলা দিয়ে খাবার ঢুকতো না রিভাইসের টেনশনে।সারারাত জেগে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়তেন।মাথায় পানি ঢালার কাহিনিতো আছেই।কিছু কুসংস্কার ছিল। ডিমের মতো পুষ্টিকর খাদ্য বর্জন অন্যতম।সিংহভাগ ছাত্র গণিত, ইংরেজিতে কিংবা বিজ্ঞানে ফেল করতেন।কেউ প্রথম বিভাগ (৬০%)পেলে এলাকায় ধন্য ধন্য পড়ে যেত।বোর্ড স্ট্যান্ডের খবর রেডিওর খবরে শোনা যেত।পরের দিন পত্রিকার প্রথম পাতায় মেধাতালিকার বিখ্যাত ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বাবা-মার সাথে ছবিতে দেখা যেত।গ্রামের হাইস্কুল থেকে অনেকে সম্মিলিত মেধাতালিকায় স্থান পেয়ে,স্টার মার্কস পেয়ে তাক লাগিয়ে দিতেন।তাদেরকে দেখেছি ঢাকা মেডিকেল,বুয়েটে চান্স পেয়ে পুরো জাতিকে অবাক করে দিতে।এলাকায় তাদেরকে এক নজর দেখার জন্য সবাই উদগ্রীব থাকতেন। ছুটিতে বাড়িতে এসে তারা যখন নিজ টিনের স্কুলের অভাবী শিক্ষকদের পায়ে হাত দিয়ে সালাম করতেন তখন সেই শিক্ষক নিজের অভাব-বঞ্চনা-হতাশার কথা ভুলে যেতেন।মাথায় হাত দিয়ে আশীর্বাদ করতেন।আমাদের সেই শিক্ষকগণের নামের সাথে বিএসসি,বিএড(ফার্স্ট ক্লাস) ইত্যাদি লেখা থাকতো।এখন বড় বড় দালান,হয়েছে A+ এর ছড়াছড়ি,বেতন বেড়েছে অনেক।সেই গুণগত উচ্চমানের ছাত্র আর শিক্ষকের বড়ই অভাব। দেশে শিক্ষকের ইজ্জত কমে গেছে।ছাত্র নাম ধারী মাস্তান বেড়ে গেছে ঢের। কোথায় যেন হারিয়ে গেল সেই কঠোর মূল্যবোধ।আজকের সমাজে প্রকৃত ভদ্রলোক যেন "বোকা মাস্টার"।তার উন্নতি নেই,ইজ্জত নেই সে বোকা মাস্টার।চরম বোকা সে।চারিদিকে টাউট আর দুর্নীতিবাজদের দৌরাত্ম্য।তবু তালেব মাস্টারদের আশায় চলছে এই স্বদেশ,বাংলাদেশ






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply