Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » স্কোয়াশ চাষে ঝুঁকছেন মেহেরপুরের কৃষকরা




স্কোয়াশ চাষে ঝুঁকছেন মেহেরপুরের কৃষকরা

মেহেরপুরের সবজি চাষে নতুন চাষ হিসেবে যুক্ত হয়েছে উত্তর আমেরিকার স্কোয়াশ। মেহেরপুরের মাটি ও আবহাওয়া ভালো হওয়ায় সাড়া ফেলেছে ভোক্তা ও চাষিদের মধ্যে। খেতে সুস্বাদু আর অল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় বিদেশি সবজি স্কোয়াশ চাষে ঝুঁকছেন মেহেরপুর জেলার কৃষকরা। গত কয়েক বছর পরীক্ষামূলক চাষের পর বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু করেছে বেশ কিছু কৃষক। বিশেষ করে মুজিবনগর ও গাংনী উপজেলার কৃষকরা ঝুঁকছেন স্কোয়াশ চাষে। কৃষকরা বলছেন, চাহিদা ভালো আছে। তবে কৃষি বিভাগের তৎপরতা আরো বেশি হলে ব্যাপকহারে এই সুস্বাদু সবজিটি চাষ হবে বলে দাবি কৃষকদের। মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার জিয়াউল হক তার নিজস্ব ২ বিঘা জমিতে এবার স্কোয়াশ চাষ করেছেন। তিনি গত ৪ বছর ধরে এই স্কোয়াশ আবাদ করে আসছেন। জিয়াউল বলেন, প্রথমে বাজারজাতকরণে একটু সমস্যা হলেও এখন স্থানীয় বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা। পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এই সবজিটি প্রতি কেজি ৩০-৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে মেহেরপুরের বাজারে। এছাড়া জেলার বাইরে থেকে বিভিন্ন ফড়িয়ারা এসে ১২০০-১৪০০ টাকা মণ দরে কিনে নিয়ে যাচ্ছে। বিঘাপ্রতি এর ফলন ১৫০-১৬০ মণ। রোপণের ৫৫-৬০ দিনের মধ্যেই স্কোয়াশ উত্তোলন করা যায়। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বিঘাপ্রতি ১৫-২০ হাজার টাকা উৎপাদন খরচ হবে জানান জিয়াউল হক। মুজিবনগর উপজেলার নতুন পাড়ার মাঠে আবু সাইদ নামের একজন কৃষক চাষ করেছেন স্কোয়াশ। চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে তিনি বলেন, অক্টোবর মাসে এর বীজ বপন করা হয়। ফলন ধরা শুরু করলে মাস খানেক বা তারও বেশি সময় ধরে ফলন পাওয়া যায়। প্রতি সপ্তাহে অন্তত তিনবার গাছ থেকে স্কোয়াশ বিক্রি করতে পারবেন। পানির ব্যবহার কমাতে এবং আগাছা ও রোগবালাই থেকে গাছকে সুরক্ষা দিতে ব্যবহার করেছি মালচিং পেপার। কীটনাশকের পরিবর্তে ফেরোমন ট্যাপ ও ইয়োলো স্টিট ব্যবহার করা হচ্ছে। যাতে কীটনাশক মুক্ত সবজি উৎপাদন করে ভোক্তাপর্যায়ে পৌঁছে দেয়া যায়। উত্তর আমেরিকার এই সবজির পুষ্টিগুণও আছে প্রচুর। এ বিষয়ে পুষ্টিবিদ জান্নাতুননেছা জানান, স্কোয়াশে আছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম, অন্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, ম্যাঙ্গানিজ, বিটা ক্যারোটিন ও লুটেইন, ফোলেট কপার, রিবোফ্লাবিন, ফসফরাস, ক্যারোটিনয়েডস ও পটাশিয়ামের মতো মানবদেহের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থসমূহ, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, অ্যাজমা, ডায়াবেটিস ও হার্টের রোগ থেকে রক্ষা করে। ক্যান্সার প্রতিরোধে স্কোয়াশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা দেহের ফ্রি র‌্যাডিকেলস দূর করে এবং বিটা ক্যারোটিন ক্যান্সারের ক্ষতিকর পদার্থ থেকে দূরে রাখে আমাদের। গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, আমরা মেহেরপুরের মাটিতে যেন বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি সবজি আবাদ করতে পারি সেজন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ ও নানা পরামর্শ দিয়ে আসছি। তারই ফল সরূপ আমরা স্কোয়াশ চাষটাও ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছি। এতে খরচ কম ও লাভ বেশি। বাজারে চাহিদাও রয়েছে বেশ। ইতোমধ্যে বেশ কয়েক জায়গায় চাষটি সফলভাবে শুরু হয়েছে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply