Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারিতে ভারতের প্রতিক্রিয়া




যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ‌‘সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা’র বিষয়ে সতর্ক করার একদিন পর এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, ‘ইরানের চাবাহার বন্দর প্রকল্পের মাধ্যমে পুরো অঞ্চল উপকৃত হবে এবং এই বিষয়ে কারও সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি রাখা উচিৎ নয়।’ ইরানের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে ভারতকে সতর্কবার্তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। চবি: সংগৃতীত ইরানের চাবাহার বন্দর পরিচালনার জন্য ১০ বছরের চুক্তি করেছে ভারত। এই ইস্যুতে মঙ্গলবার (১৪ মে) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক করে যে, তেহরানের সাথে ব্যবসায়িক চুক্তির কথা চিন্তা করার আগে যে কারও ‘নিষেধাজ্ঞার সম্ভাব্য ঝুঁকি’ সম্পর্কে সচেতন থাকা দরকার। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, চাবাহার বন্দর নিয়ে ভারত ও ইরানের চুক্তির বিষয়ে আমরা অবগত। ভারতের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। ইরানের সঙ্গে চাবাহার বন্দর নিয়ে তাদের সেই চুক্তিও দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের আওতায় পড়ে। তবে, ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারি আছে এবং থাকবে। বেদান্ত প্যাটেল আরও বলেন, যে কেউ ইরানের সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেন করতে চাইলে, তাদের সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন হতে হবে, সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার ঝুঁক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমন সতর্কবার্তার বিষয়ে কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে জয়শঙ্করকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি কিছু মন্তব্য দেখেছি, তবে আমি মনে করি, এটি যোগাযোগ এবং বোঝাপড়ার প্রশ্ন, যে এই প্রকল্প আসলে সবার সুবিধার জন্য। আমি মনে করি, কারও এই বিষয়ে সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি থাকা উচিত।’ আরও পড়ুন: ইরানের সঙ্গে চুক্তি, ভারতকে ‘নিষেধাজ্ঞার’ হুঁশিয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের! জয়শঙ্কর বলেন, তারা (মার্কিন) অতীতে এমটা করেনি। সুতরাং, আপনি যদি চাবাহার বন্দরের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব মনোভাব দেখেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই বিষয়ের প্রশংসা করেছিল যে, চাবাহার বন্দরের ব্যাপক প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে এবং আমরা এটা নিয়ে কাজ করব চাবাহার বন্দর পরিচালনার জন্য ইন্ডিয়ান পোর্টস গ্লোবাল লিমিটেড (আইপিজিএল) এবং ইরানের পোর্ট অ্যান্ড মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (পিএমও)-এর মধ্যে গত সোমবার (১৩ মে) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। জয়শঙ্কর আরও জানান, এই প্রকল্পের সাথে ভারতের একটি দীর্ঘ সম্পর্ক ছিল কিন্তু একটি দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি স্বাক্ষর করা সম্ভব হয়নি; যেটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। শেষ পর্যন্ত নয়াদিল্লি সমস্যাগুলি সমাধান করতে এবং দীর্ঘমেয়াদী চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে সক্ষম হয়েছে; যা সমগ্র অঞ্চলকে উপকৃত করবে। চাবাহার বন্দর ভারত এবং ইরানের একটি ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প; যা আফগানিস্তান এবং মধ্য এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট হিসাবে কাজ করবে। চাবাহার বন্দরের উন্নয়ন ও পরিচালনায় ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ভারত সরকার বন্দরের অবকাঠামো গড়তে বিনিয়োগ করেছে। এর আগে, রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম কিনেছিল ভারত। তখনও দিল্লিকে নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply