বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারের ট্রান্সপন্ডার থেকে কোনও সংকেত পাওয়া যায়নি!
নিহত হওয়া ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আব্দুল্লাহিয়ানকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি অনেক দিনের পুরোনো ছিল। তাছাড়া সেটিতে ট্রান্সপন্ডার লাগানো ছিল না, অথবা তা বন্ধ ছিল। তুরস্কের উদ্ধারকারী দলের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে এসব তথ্য।
রাইসিকে বহনকারী বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটিতে ট্রান্সপন্ডার থেকে সংকেত পাওয়া যায়নি। ছবি: সংগৃহীত
মঙ্গলবার (২১ মে) এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান তথ্যটি নিশ্চিত করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্কের পরিবহনমন্ত্রী আব্দুল কাদির ইউরালোগলু সাংবাদিকদের জানান, রাইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তুর্কি কর্তৃপক্ষ হেলিকপ্টারের ট্রান্সপন্ডার থেকে সংকেত পরীক্ষা করেছে। কিন্তু তারা দেখতে পায় ট্রান্সপন্ডার সিস্টেমটি বন্ধ ছিল বা লাগানোই ছিল না। ট্রান্সপন্ডার সাধারণত বিমানের উচ্চতা এবং অবস্থানের তথ্য সম্প্রচার করে।
আরও পড়ুন:ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইরানের শীর্ষ কর্মকর্তারা তাদের নেতাদের জন্য দুটি রাশিয়ান হেলিকপ্টার কেনার অনুরোধ করেছিলেন। পুরোনো হেলিকপ্টারগুলো কীভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে, তা নিয়ে আলোচনার মধ্যে রাশিয়ার হেলিকপ্টার কেনার কথা বলা হয়েছিল।
এ বিষয়ে ইরানের প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ ইরানের ওপর আরোপ করা মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে দায়ী করেছেন। কারণ এ নিষেধাজ্ঞার কারণে পুরোনো হেলিকপ্টারের জন্য এর বিভিন্ন অংশ বা জিনিস কেনা কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি আরও বলেন, এ দুর্ঘটনা ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অপরাধের কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে।
দুর্ঘটনায় পড়া রাইসির হেলিকপ্টারটি ছিল বেল- ২১২ মডেলের, যা একটি দুই ব্লেডের বিমান। বিমানটি ১৫ যাত্রী বহন করতে সক্ষম ছিল।
এদিকে, ইরানের একটি তদন্ত দল এরই মধ্যে পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তারা বিমান চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আবহাওয়া পরীক্ষা করা হয়েছিল কি-না, তাও পরীক্ষা করে দেখবে।
No comments: