Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » ঘূর্ণিঝড় রিমাল বিধ্বস্ত উপকূল, ১০ জন নিহত




ঘূর্ণিঝড় রিমাল বিধ্বস্ত উপকূল, ১০ জন নিহত ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে জোয়ারের সময় জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয় পটুয়াখালী জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকা। কিছু এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে বসতঘরেও। এই দুর্বিপাকে স্থানীয় লোকজন সংকটে পড়েন। গতকাল দুপুরে শহরের কালিকাপুর এলাকায় ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে জোয়ারের সময় জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয় পটুয়াখালী জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকা। কিছু এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে বসতঘরেও। এই দুর্বিপাকে স্থানীয় লোকজন সংকটে পড়েন। গতকাল দুপুরে শহরের কালিকাপুর এলাকায়ছবি: শংকর দাস বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে দেশের উপকূলীয় অঞ্চল। ছয় জেলায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তাঁদের বেশির ভাগই মারা গেছেন গাছচাপায় ও দেয়াল ভেঙে পড়ে। ঝোড়ো হাওয়ায় বিধ্বস্ত হয়েছে দেড় লাখ ঘরবাড়ি, বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে গ্রামের পর গ্রাম। ভেসে গেছে মাছের ঘের। কিছু স্থানে বন্ধ হয়ে গেছে সড়ক যোগাযোগ। অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে বাঁধ ভেঙে সাগরের লোনাপানি ঢুকে পড়েছে। সুপেয় পানির উৎসগুলো তলিয়ে গেছে। গতকাল সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা ও চট্টগ্রামে ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বরিশাল ও ভোলায় তিনজন করে মারা গেছেন। এ ছাড়া খুলনা, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী ও চট্টগ্রাম জেলায় একজন করে মানুষ মারা গেছেন। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে ডাল ভেঙে ও গাছ উপড়ে পড়ে বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে কয়েকটি জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন এসব এলাকার বাসিন্দারা। কয়েক কোটি মানুষ বিদ্যুৎ–বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। তবে ধীরে ধীরে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। যদিও এখনো প্রায় পৌনে তিন কোটি গ্রাহক বিদ্যুৎ–সুবিধার বাইরে আছেন। গতকাল সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়েছে। মুঠোফোনের নেটওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছে না অনেক স্থানে। মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটব জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ১৫ হাজার বেজ ট্র্যান্সিভার স্টেশন (বিটিএস, যা মোবাইল টাওয়ার নামে পরিচিত) গতকাল পর্যন্ত বন্ধ ছিল। এগুলো চালু করতে তাঁরা কাজ করছেন। এদিকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) জানিয়েছে, গতকাল বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৬৪টি জেলায় ২২ হাজার ২১৮টি ওয়েবসাইট অসচল রয়েছে। অর্থাৎ দেশের মোট সাইটের প্রায় ৪৯ শতাংশই অসচল রয়েছে। ১৯ জেলায় তাণ্ডব গতকাল সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ১৯ জেলার ১০৭টি উপজেলার বাসিন্দারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এসব এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৩৭ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি। সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে ৩৫ হাজার ৪৮৩টি ঘরবাড়ি। এ ছাড়া আংশিকভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৯২টি ঘরবাড়ি। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতির মুখে পড়া ১৯ জেলা হলো সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, ফেনী, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর ও যশোর। ঘূর্ণিঝড়টি গত রোববার রাত আটটার দিকে মোংলার দক্ষিণ-পশ্চিম দিক দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ উপকূল ও বাংলাদেশের খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম শুরু করে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, বরগুনাসহ উপকূলের বিভিন্ন জেলায় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যায়। রাত দেড়টা থেকে দুইটার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১১১ কিলোমিটার গতিবেগে বাতাস বয়ে গেছে পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সহায়তার জন্য ৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৫টি জেলায় নগদ সহায়তার ৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, ৫ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চাল, ৫ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, শিশুখাদ্য কেনার জন্য ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা, গোখাদ্য কেনার জন্য ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply